নিরব নামের এক যুবক গাড়ি থেকে নেমেছে। চোখে সানগ্লাস। এক ভিক্ষুক হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। মেয়ের অসুস্থতার জন্য সাহায্য চায়। নিরব পকেটের ম্যানিব্যাগ বের করে ১০০ টাকার নোট দিয়ে দেয় ভিক্ষুককে। সামনে পা বাড়াতে যাবে নিরব; হঠাৎ ভিক্ষুককে দেখে ট্যাচু হয়ে যায়। চোখের সানগ্লাস খুলে অবাক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে থাকে। ভিক্ষুকটি আর কেউ নয়, তার কলেজ জীবনের স্যার রহমত উল্লাহ (৫৮)। নিরব বোবা (স্তব্ধ) হয়ে যায়। নিরবের অবাক দৃষ্টি দেখে রহমত উল্লাহ স্যারও অবাক হয়ে জানতে চায় তাঁর পরিচয়। নিরব কি করবে বুঝতে পারছে না। চোখ দুটো টলমল করে উঠে। কারণ রহমত উল্লাহ একজন সৎ শিক্ষক ছিলেন ছাত্র জীবনে। রহমত উল্লাহ স্যারের ছাত্ররা দেশের অফিস-আদালতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। কিন্তু রহমত উল্লাহ স্যারের একি হাল? নিরব তার প্রিয় স্যারের করুণ অবস্থা অনুসন্ধান করতে শুরু করে। স্যারের একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ইয়াসমিনের স্বামী যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে তার পঙ্গু করে দিয়েছে। স্যার ও স্যারের মেয়ে ইয়াসমিনের করুণ পরিণতি নিয়ে নিরব মাঠে নামে। স্যারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। অবশেষে স্যারের মানবতার জীবনের কী অবসান হয়? স্যারের মেয়ে ইয়াসমিনের স্বামীর কি বিচা...
প্রকাশক ও সম্পাদক: জোয়ার্দার হাফিজ ঠিকানা: মানিকগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ।