হরেরাম বাড়ি থেকে লাইব্রেরি যাবার পথে বাতাসে একটি বড় গাছ তার সামনে মড় মড় করে ভেঙ্গে পড়ে। ঠিক তেমন বাতাসো নয়। এটা হচ্ছে বৃদ্ধ কালের পতন। অনেক পুরনো গাছ ওটি। জীবনের কতোযে স্মৃতি ওই গাছটার সাথে লুকিয়ে। শৈশবে প্রচন্ড রোদ্দুরে কতোবার ওই গাছটার নিচে আশ্রয় নিয়েছে - জীবনের একটা বিশাল সময় ওই গাছটার নিচ দিয়ে হেঁটেছে।সেই গাছটা কিনা তার চোখের সামনে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে পড়লো। হরেরামের কাছে যদি কোনো বাড়তি শক্তি থাকতো তাহলে সে ওই গাছটাকে কোনদিন ওভাবে পড়তে দিতো না। গাছটার দিকে ক'বার পিছন ফিরে তাকিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।আজ তার লাইব্রেরিতে একটা গুরুত্ব পূর্ণ মিটিং হবে, হরেরাম জানে না কী হবে লাইব্রেরির ভবিষ্যৎ। সেই শৈশব থেকে সে লাইব্রেরিতে চাকরি করছে, ঝড়, বৃষ্টি কোনো কিছুই হরেরামকে প্রতিরোধ করতে পারে নাই। কেউ না আসলেও সে একাই গেছে। পঞ্চান্ন বছরের অভ্যেস কিভাবে বাদ দেয়।সপ্তাহিক বন্ধের দিনটাও মাঝে মধ্যে গিয়ে বইগুলো নড়াচড়া করে। খুঁটেখুঁটে দেখে কোথাও কোনো পোকা কাটলো কিনা। কোনো পাতা ছিঁড়লে পাতলা কাগজ দিয়ে জোড়া লাগায়। সেই কবেকার কথা। চার ক্লাস পর্যন্ত পড়ার পর আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। স্কুলের হেড মাস্টার...
প্রকাশক ও সম্পাদক: জোয়ার্দার হাফিজ ঠিকানা: মানিকগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ।