সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

একটি খুনের গল্প :মনি খন্দকার

হরেরাম বাড়ি থেকে লাইব্রেরি যাবার পথে বাতাসে একটি বড় গাছ তার সামনে মড় মড় করে ভেঙ্গে পড়ে। ঠিক তেমন বাতাসো নয়। এটা হচ্ছে বৃদ্ধ কালের পতন। অনেক পুরনো গাছ ওটি। জীবনের কতোযে স্মৃতি ওই গাছটার সাথে লুকিয়ে। শৈশবে প্রচন্ড রোদ্দুরে কতোবার ওই গাছটার নিচে আশ্রয় নিয়েছে - জীবনের একটা বিশাল সময় ওই গাছটার নিচ দিয়ে হেঁটেছে।সেই গাছটা কিনা তার চোখের সামনে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে পড়লো। হরেরামের কাছে যদি কোনো বাড়তি শক্তি থাকতো তাহলে সে ওই গাছটাকে কোনদিন ওভাবে পড়তে দিতো না। গাছটার দিকে ক'বার পিছন ফিরে তাকিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।আজ তার লাইব্রেরিতে একটা গুরুত্ব পূর্ণ মিটিং হবে, হরেরাম জানে না কী হবে লাইব্রেরির ভবিষ্যৎ।

সেই শৈশব থেকে সে লাইব্রেরিতে চাকরি করছে, ঝড়, বৃষ্টি কোনো কিছুই হরেরামকে প্রতিরোধ করতে পারে নাই। কেউ না আসলেও সে একাই গেছে। পঞ্চান্ন বছরের অভ্যেস কিভাবে বাদ দেয়।সপ্তাহিক বন্ধের দিনটাও মাঝে মধ্যে গিয়ে বইগুলো নড়াচড়া করে। খুঁটেখুঁটে দেখে কোথাও কোনো পোকা কাটলো কিনা। কোনো পাতা ছিঁড়লে পাতলা কাগজ দিয়ে জোড়া লাগায়।

সেই কবেকার কথা। চার ক্লাস পর্যন্ত পড়ার পর আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। স্কুলের হেড মাস্টারের মাথায় ইটের টুকরো দিয়ে একটা ঢিল ছুঁড়ার পর, চিরদিনের জন্য তার লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যায়।পড়া না পারলে হেড স্যার খুব পিটাতো। একদিন শোধ নিতে, বাঁশ বাগানের আড়ালে লুকিয়ে মনের সুখে রেল লাইনের পাথর দিয়ে ইয়া জোরে একটা ঢিল ছোঁড়ে। সোজা গিয়ে ঠক করে লাগে মাস্টারের মাথায়। মাস্টার ওরে বাবারে বলে চিৎকার দিয়ে মাটিতে বসে পরে। ওকে চিনতে পেরে শেষে এক তুঘলকি কান্ড।স্কুল বাদ দিলেও গল্প পড়ার অভ্যেসটা ত্যাগ করতে পারেনি। দুই কিলো দূরে শহরের চেনাপুর লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ার চেষ্টা চালায়। লাইব্রেরিতে শত শত বই। দেখলেই মনটা জুরিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে সব বড়রা সদস্য। ছোটদের তেমন একটা প্রবেশাধিকার নেই। বয়সের ভারে ন্যুজ্ব লাইব্রেরিয়ান আফজাল হাজী প্রচন্ড বদ মেজাজি লোক। দুই দিন ধমকিয়েছে তাকে। আগে ক্লাসের বই পড়ো - বড় হয়ে এসব বই পড়বে। তবুও বিকেল হলেই হরেরাম লাইব্রেরির আশে পাশে গিয়ে ঘোরা ফেরা করে। সেই কবে বড় হবে আর কখন হাজী বই দেবে। মনে মনে ভাবে হাজীটা মরলে কী না ভালো হতো। হাজী মাঝে মধ্যে খুক করে কাশে মরো মরো করেও মরার কোনো লক্ষণ নেই।হাজী সাহেব ওর বই পড়ার প্রচন্ড আগ্রহ বুঝতে পেরে এক সময় ডেকে নিয়ে একটা বই ধরিয়ে দেয়। সেও তার অনেক নিয়ম রীতির মধ্যে। হাজী সাহেব যেইবই দেবে সেটাই পড়তে হবে। স্লেফের কোনো বইয়ে হাত দেয়া যাবে না, লাইব্রেরিতে কথা বলাতো দূরের বিষয় খুক করে কাশিও নিষেধ। ছোট মানুষবিধায় সপ্তাহে দুই দিনের বেশি লাইব্রেরিতে আসতে পারবে না। আরো কতোযে নিয়ম। সব নিয়মে রাজি হয়ে যায় হরেরাম। এক চিলতে হোক তবুও যে পাথর গলেছে এটাই ওর জন্য বড় পাওয়া।

হরেরামের মতো একজন পুঁচকের পক্ষে লাইব্রেরিতে বসে বই পড়া এটা কম কথা নয়। শহরের সব নামজাদা লোকেরা আসে এখানে -মুন্সেফ, উকিল, মোক্তার, হাইস্কুলের হেড স্যার আরো কতো বড় বড় মাপের মানুষ। সবাই কিন্তু লাইব্রেরিয়ান হাজী সাহেবকে শ্রদ্ধা করে। ষাট বছর থেকে আছেন এই লাইব্রেরিতে। বইয়ের একটি পাতায় দাগ লাগলেও সেটার জন্য জরিমানা গুনতে হয়। শহরের সব চেয়ে স্বনামধন্য ব্যক্তি বলরাম চৌধুরি লাইব্রেরির সভাপতি, তিনি হাজী সাহেবের ছোট বেলার বন্ধু। আগে প্রায় লাইব্রেরিতে আসতেন এখন আর তেমন বাইরে বেরুতে পারেন না। হাজী সাহেবের একজন সহকারী আছে আব্দুর রহিম। সে কারো সাথে কোনো কথা বলে না। আব্দুর রহিমের বয়সো প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই। তার কাজ কেউ কিছুচাইলে সেটা বের করে দেয়া। রহিমের মাসিক বেতন ত্রিশ টাকা। হাজী সাহেব কোনো টাকা নেন না। ওটা তার পেশা নয় নেশা। বাপ দাদারা যা রেখে গেছে তাই দিয়ে হাজী সাহেবের আরো দুই পুরুষ চলে যাবে।

একবার লাইব্রেরির বার্ষিক সভায় হাজী সাহেবের জন্য মাসিক সম্মানি ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছিলো, তিনি সেটা নিতে অস্বিকৃতি জানান। কমিটিকে সাফ জানিয়ে দেন, তার জন্য কোনো বেতন ভাতা নির্ধারণ করা হলেলাইব্রেরি ছেড়ে চলে যাবে। সেই থেকে আর কেউ ওই প্রসঙ্গ তোলেনি।হাজী সাহের চলে গেছে সেই কতো বছর। আজ হরেরামের মনে কতোযে প্রশ্ন কতো স্মৃতির ঝুড়ি। হাজী সাহেব মরার আগে এক বিশাল পাহাড় রক্ষার দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে যায় হরেরামের কাঁধে। আজো সেটা শত ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা ও মানব সৃষ্ট ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে আগলে রেখেছে রাম। এখন তার কেনো জানি মনে হয় - সে বুঝি আর পারছে না - হেরে যাচ্ছে হাজী সাহেবের সুরক্ষিত পাহাড় রক্ষায়। এখন আগেকার সেই সব মানুষেরা আর নেই। সেই সভাপতি, সম্পাদক, আগেকার মুন্সেফ, উকিল, মোক্তার। মানুষ বদলের সাথে মানুষের ভাবাবেগ,আচার আচরণ সব কী রকম যেনো বদলে গেছে। এখন আর বই পড়তে তেমন কেউ আসে না। বিকেল বেলা দু'একজন লোক আসে শুধু পত্রিকা পড়ার জন্য। আগে সদস্যদের মাসিক চাঁদা দিয়ে বই কেনা, লাইব্রেরির আসবাব, সংস্কার, সহকারীর বেতন দিয়ে আরো টাকা বাঁচতো। এখন মাসিক সদস্যরা কেউ লাইব্রেরির দিকে মুখই ফেরায় না। কারো কাছে দু'চার বার গেলেও অল্প ক'টা টাকা সেটাই দিতে চায় না।ক'দিন থেকে হরেরামের মন ও শরীর কোনটাই ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে লাইব্রেরির অচল অবস্থা ও বেশ কিছুদিন থেকে কমিটির উল্টোপাল্টা সিদ্ধান্ত রামের মনটাকে আরো ভেঙ্গে দিয়েছে। রাম আর কী করতে পারবে -সেতো কমিটির লোক নয়, একজন কর্মচারি মাত্র। শত বছরের এই লাইব্রেরিটার অনতি দূরে হয়েছে সরকারি গণগ্রন্থাগার। ওরা সব দিক থেকে অাধুনিক। না থাকার মধ্যেও যে ক'জন পাঠক আছে তারা এখন সেখানেই যায়। তাদের অনেকগুলো কম্পিউটর চলে। নূতন জেনারেশনের ছেলেরা এখন অধিকাংশ সময় ন্যাট চালায়। পৃথিবীর বিভিন্ন লাইব্রেরির ক্যাটলগ ঘেটে দেখে, বোতাম টিপলেই পৃথিবী এখন স্কীনে ভেসে উঠে। চাঁদা দিতে হয় না। এসি রুম। সরকারি লাইব্রেরির সাথে কোনভাবে এই পুরনো লাইব্রেরিটার পেরে উঠা সম্ভব নয়।লাইব্রেরির আজকের মিটিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আজকের মিটিংএর উপর নির্ভর করবে এটা থাকবে কী থাকবে না। সবাই যথাসময়ে এসে উপস্থিত হয়। নিয়ম মাফিক শুরু হয় মিটিং এর কার্যক্রম। লাইব্রেরির সম্পাদক সাহের উপস্থিত সুধিমন্ডলির শুভেচ্ছা জানিয়ে যা বলেন, তার মূল সারমর্ম হচ্ছে- বর্তমান ওটা নামকাওয়াস্তে কোনভাবে টিকে আছে। বর্তমান এখানে আর তেমন কেউ আসে না। সরকার একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য উদযোগি হয়েছে। এলাকার স্হানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক সাহেব উভয়ে লাইব্রেরির এই জমিটা স্টেডিয়াম তৈরির জন্য দেয়া যায় কিনা সেজন্য সভাপতি সাহেব ও সম্পাদককে ডেকেছিলো। তারা কমিটির মিটিংয়ের পর সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানিয়েছেন। মিটিংয়ে সম্পাদকের বিচার বিশ্লেষণ ও সভাপতির তাত্বিক আলোচনায় উপস্থিত সুধি বৃন্দের সবাই স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠার পক্ষে সম্মতি দেয়। অনেকে বলেন, এটার যেহেতু এখন সেরকম কোন কার্যক্রম নেই এটা রেখে আর লাভ কি? তাছাড়া স্টেডিয়াম হলে এলাকার হাজার হাজার লোক খেলা উপভোগ করবে। তাদের ছেলে মেয়েরা বড় বড় ক্রিকেটার হয়ে উঠবে, দেশবিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাবে। হরেরাম এতোক্ষণ সবার কথা মনোযোগ সহকারে শুনছিলেন। সভাপতি যখন সবাইকে হাত তুলে স্টেডিয়ামেরপক্ষে সম্মতি চান। হরেরাম না, না বলে চিৎকার দিয়ে উঠেন। এর আগে কেউ কোনোদিন হরেরামের এরকম প্রতিবাদী কন্ঠস্বর শোনেনি। তিনি বলেন, আপনারা শত বছরের এই ঐতিহ্যবাহী লাইব্রেরিকে হত্যা করতে পারেন না। এটা অন্যায়।সবাই তার এরকম আচরণে স্তম্ভিত হয়ে যায়। কেউ কিছু বলার আগে সভাপতি সাহেব উঠে দাঁড়ান।
বলেন, আপনারা দাদার কথায় মনে কিছু নেবেন না। তিনি তার প্রায় শৈশবকাল থেকে এই লাইব্রেরির সাথে জড়িত, এটাকে সন্তানের মতো আগলে আছেন। কাজেই তার পক্ষে আবেগ তাড়িত হওয়া স্বাভাবিক এবং আমার ধারনা এই লাইব্রেরিকে ভালোবেসেই জীবনে আর বিয়ে থা করেননি। তিনি এখন বার্দ্ধকে পৌঁছেছেন, এই শেষ বয়সে আর কোথায় যাবেন। তিনি এখানে যে বেতন পান তার বাকি জীবন কাটানোর জন্য এর চেয়ে অধিক বেতনে- সভাপতির আবাসিক হোটেলে চাকরির ব্যাবস্থা করে দেবেন। এসময় আরো অনেকে উঠে - রাম দাদাকে কেউ তার ফার্মে, কেউ ইট ভাটায়, কেউ জুতার দোকানে চাকরির কথা বলেন। মূহুর্তে অনেকগুলো চাকরি জুটে যায় হরেরাম দাদার। তিনি নিশ্চুপ পাথরের মতো বসে থাকেন -তার মুখের সব ভাষা হারিয়ে যায়।মিটিং শেষে একে একে সবাই চলে যায় থাকে শুধুহরেরাম। প্রতিদিনের মতোই লাইব্রেরির জানালা কপাট লাগিয়ে নিজের হাজিরা খাতায় সই করে দরজার দিকে এগিয়ে যান তিনি। এসময় হরেরামের দু'চোখ বেয়ে ঝরঝর করে পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে। তালা লাগানোর পর তিনি হাউহাউ করে কেঁদে উঠেন। সে কান্নার শব্দ কেউ শুনতে পায় না, শোনে শুধু একাই হরেরাম।পরের দিন সকালে লাইব্রেরির সভাপতির বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় একজন ত্রিশোর্ধ যুবক। সভাপতি সাহেব বেরুতে লাইব্রির চাবিটা তার হাতে তুলে দিয়ে বলে, জ্যেঠু গতকাল মরার কিছুক্ষণ আগে চাবিটা আপনাকে দিতে বলেছেন। সভাপতি কিছুক্ষণ স্থির থেকে বলেন, কিভাবে মারা গেলো?ছেলিটি বলে, বুকে ব্যথা হয়েছিলো। তারপর ক'টা হেঁচকি দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে। সভাপতি জানতে চায় তার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া কখন হবে? ছেলেটি সময়ের কথা বলে চলে যায়। তিনি ছেলেটির যাত্রা পথে নিস্তব্ধ তাকিয়ে থাকেন।
____________________

♦আমাদের শিল্পসাহিত্য

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...