সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অশিক্ষিত মানুষের চেয়ে অল্প শিক্ষিত মানুষই বেশি ক্ষতিকর

নজরুল ইসলাম তোফা:: সব জিনিস এবং বিষয়ের মর্যাদা সব মানুষের বোঝার ক্ষমতা বা দক্ষতা থাকে না। যথাযথ স্থানে যথাযোগ্য ব্যক্তি অধিষ্ঠিত না হলে সত্য, সুন্দর, মঙ্গল একেবারে ধুলিষ্মাৎ হয়। সেখানে স্হান করে নেয় যেন অত্যাচার, জুলুম আর দুর্নীতি।

সুুতরাং জীবনকে সুুুন্দর ওশোভন রূপে গড়ে তোলা না হলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায় না। এজন্য মানব জীবনে যেন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জ্ঞানের। জ্ঞানই শক্তি আর জ্ঞানেই মুক্তি। কারণ, জীবন যাপনে সকল মানুষকে হাজারো সমস্যা মোকাবিলা করেই 'সম্মুখে অগ্রসর' হতে হয়। আপন জন্মের ব্যাপারেই মানুষের নিজের কোনো ভূমিকা থাকে না। উঁচু বা নিচু, ধনী বা দরিদ্র পরিবারে তারজন্ম হওয়াই যেন তার ইচ্ছা ও কর্মের ওপর নির্ভর করে না। কিন্তু কর্ম জীবনে তার ভূমিকা এবং অবদানের দায় তার নিজেরউপর বর্তায়। এই পৃথিবীতে মানুষের প্রকৃত বিচারে তার জন্ম-পরিচয় তেমন গুরুত্ব বহন করে না বলেই মনে করি।বরং মানুষ কর্ম-অবদানের মাধ্যমেই পেয়ে থাকে বহু মর্যাদার স্হান বা আসন এবং হয়ে যান একে বারেই বরণীয়-স্মরণীয়। পক্ষান্তরে আবার বলা যায়, এমন সমাজে এক দল লোক রয়েছে, যারা কি না তাদেরই বংশ আভিজাত্যে নিজেদের জ্ঞানী এবং সম্ভ্রান্ত মনে করে। তারা বংশ মর্যাদার অজু হাতে সমাজে বিশেষ মর্যাদা দাবিও করে। সুতরাং- এমন আলোচনার মুলউদ্দেশ্যটা হলো অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্কর বা ভয়ঙ্করী। অতি জ্ঞানী ভাবধরা গোবরে পোকার পাণ্ডিত্যেরই কিঞ্চিৎ বিশ্লেষণ মাত্র। অল্পবিদ্যা অর্থ সামান্য লেখা পড়া বা জ্ঞান। আর "অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী" হচ্ছে সামান্য বিদ্যা ক্ষতিকর, কারণ এতে অহঙ্কার জন্মে, কিন্তু জ্ঞান হয় না। ছোট বেলায় সবাই পড়াশোনায় ব্যবহার করতো অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী (অল্প বিদ্যার গর্ব)। আবার তাকে বাক্য তৈরিতেও নিয়ে যেতো।

-"অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী বলেই অর্বাচীন- জব্বার মিয়া এ বাংলাদেশের সেরা বৈজ্ঞানিক "ড. কুদরাত-এ-খুদা'র" বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সমালোচনায় অগ্রসর হয়েছিল।সুতরাং সে সব মানুষের প্রয়াস বাস্তবতা বিবর্জিত ও হাস্যকর। আসলে এখনো সমাজের নিচুতলায় জন্ম নিয়েও তারা কর্ম বা অবদানে বড় কিংবা জ্ঞানী হতে পারছে। মানব সমাজের ইতিহাসে এ রকম উদাহরণ অজস্র। কিন্তু "অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী" এই প্রবাদটা কম বেশি সকলের জানা থাকলেও প্রয়োগটা কম। ''অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর বা ভয়ঙ্করী" কথাটি অতিমাত্রায় সত্য।বলতে চাই যে অশিক্ষিত মানুষের চেয়ে অল্পশিক্ষিত মানুষরা সমাজের জন্যে বেশি ক্ষতি কর। অশিক্ষিত মানুষরা কেউ কোন বিষয়ে না জেনে মন্তব্য করে না বা তর্ক করে না। নিজেকে নিয়েও তারা জাহির করে না। পক্ষান্তরেই অল্প অশিক্ষিত মানুষরা যা জানে না তা নিয়ে তর্ক করতে দ্বিধা করেনা। তারা তাদের স্বল্প বিদ্যাকে পুঁজি করে পৃথিবীর সব কিছুকেই পরিমাপ করতে চায় আবার যেন ঠকবাজী করে তা পরিমাপ করেও ফেলে।

সকল অল্প শিক্ষিত মানুষকে কটাক্ষ করে এমন এই আলোচনার মুলবিষয় নয়। ‘অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী' এই প্রবাদ বাক্যটিকে এতদিন কথার কথাতেই যেন দাঁড় করানো হতো৷ কিন্তু মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উক্তি দ্বারা বুঝা যায় যে, তাঁরও ইতিহাস ও ভিক্তি রয়েছে।তিনি বলেন, আমরা সবাই কম বেশি জানি তা হলো অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। কিন্তু কেন ভয়ঙ্করী তা জানি না। মানুষদের জ্ঞান-বিজ্ঞানকেই বাড়িয়ে চলার সাধনারক্ষেত্রে যেন চির দিনই আমিত্বের অহংকার বড় বাধা হয়ে থেকেছে। মানুষ যেটুকু জানেন, তারচেয়ে সেটা বলা এবং জানানোর জন্য 'চেষ্টা কিংবা গর্ব' করেন।মনে করে থাকেন যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন হয়েছে,- এটাই মানুষের অহংকার কিংবা তার- "নিজস্ব অল্প বিদ্যার অহংকার"।

লেখক:নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...