সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রাজনৈতিক কৌশলে গুল, গুঞ্জন ও গুজবের মতো বদঅভ্যাসে লিপ্ত মানুষ

নজরুল ইসলাম তোফা:
বর্তমানে বাংলাদেশে খুবই হৈচৈ বা মাতামাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুজব। এই গুজব আসলেই আভিধানিক অর্থ হলো- রটনা, ভুল বা অসঙ্গত তথ্য প্রচার। এমন''ভুল বা অসঙ্গত তথ্য'' নিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যেই যেন কিছু মানুষ তা ছড়ানোর মতো বদঅভ্যাসে লিপ্ত। আবার মনে করাযেতে পারে, রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে শক্তিশালী হাতিয়ার এই 'গুজব'। ইতিহাসের আলোকেই বলতে হয়, গুজব বরাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসাবে ব্যবহার করেছে দলিও জণগন ও রাজনীতিবিদরা। এ ক্ষেত্রে প্রতি পক্ষ সম্পর্কে- ইতিবাচকগুজব এর পরিবর্তেই নেতিবাচক গুজব সর্বদা অধিক কার্যকর হতেও দেখা গেছে। জনরব বা মুখেমুখে রটে-যাওয়া কথা কিংবা ভিত্তিহীন প্রচার এবং মিথ্যা রটনা এমন রকম বহু প্রতিশব্দ ব্যবহার করেই যেন কুচক্রী মহল ফায়দা লুটছে। সামাজিক বিজ্ঞানের ভাষায়, 'গুজব' হলো, এমন কোন বিবৃতি- যার সত্যতা 'অল্প সময়ের মধ্যে' অথবা কখনই তা নিশ্চত করাওসম্ভব হয় না। অনেক পন্ডিতের মতে, গুজব হল প্রচারণার একটি উপসেট মাত্র। 'অক্সফোর্ড' ডিক্শনারীতে দেখা যায় Rumour শব্দ। এতে বলছে- Report of doubtful accuracy. এ গুলো গুজবের মানে হতে পারে কিন্তু তার সংজ্ঞা বলা যায় না। আসলেই "সংজ্ঞা" ভাবতে গিয়ে সংজ্ঞাহীনহবার যোগাড়। সুতরাং মিথ্যে রটনা বলতেই পারি।গুজব ৩ অক্ষরের আপাত দৃষ্টিতে নিরীহ এই শব্দটি কখনো কখনোভীষণ অপ্রতিরোধ্য। এমন গুজবের গতিবেগ আলোর গতির চাইতেও দ্রুত। তাই প্রখ্যাত মার্কিন কথা সাহিত্যিক- মার্ক টোয়েনের ভাষ্য মতেই বলতে হয়, ‘সত্য তার জুতোর ফিতে বাঁধতেবাঁধতেই গুজব বা মিথ্যা সমস্ত পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে আসতে সক্ষম।’ গুজব অতীতেও হয়েছে এখনও হচ্ছে, তবে তার রূপরেখা আলাদা। অতীতে 'সাধারণ মানুষ' যে সব গুজব রটাতো সরল বিশ্বাসেই রটাতো কখনোই ভয়ঙ্কর ছিলনা। ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি যুগে হয়েছে তা তীব্র ভয়ঙ্কর। বর্তমান সময় তাকে কোনো একটি বিশেষ গোষ্ঠী বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের সামাজিক অবস্থানকেই ভিন্ন ভাবে উপাস্থপনের জন্য গুজবের আশ্রয় নিচ্ছে। নিশ্চিত ভাবেই গুজবকে মোকাবেলা করতে হবে।

কেন না বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই গুলো ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সবসময়ে শুনবেন লোকে বলে- গুজবে কান দেবেন না। কান দেবো না তো কি দেবো, নাক দেবো? 'গুজব' তো এমন যুগের অনেকের কাছে- Main Job হয়েছে। গুল, গুঞ্জন ও গুজব এই তিন বস্তু বা শব্দ ছাড়া সাধারন লোকেরা কিংবা বিশেষ করে স্ত্রীলোক বাঁচতেই পারে না। গুল থেকে গুঞ্জন আর গুঞ্জন থেকেই গুজব।তথ্যসূত্র মতেই বলতে হয়, গুজবের কবলে জড়িয়ে পড়ছে এই বাংলাদেশ তার অজস্র উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। একটি মহল আন্দোলনের নামে সকল শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়ে ছিল"গুজব" নামক নগ্ন খেলায়। সকলের জানা বিষয় ছোট ছোট বাচ্চাদের কাঁধে ভর করেই আন্দোলনে যোগ দিয়ে ছিল- প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া "রাজনৈতিক বেশ কিছু দল"। তখন তাদের স্লোগান হয়েছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিস-কে কলঙ্কিত করে। এই স্লোগানের আড়ালেই তাদের মুল ইস্যু হয়ে যায় ‘উই ওয়ান্ট গভর্মেন্ট ফল’। তারা একের পর এক 'মিথ্যা লাশের খবর' ভিডিও করেই সামাজিক সব যোগাযোগ মাধ্যম- ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে তা ছড়িয়ে দিয়েছিল। কয়েকটি মেয়েকে তারা ব্যবহার করে এ প্ল্যান বাস্তবায়নও করেছিল। সে মেয়েগুলো কান্নাকাটি করে এমন ভঙ্গিতে ভিডিওগুলোতে কথা বলেছিল যেনো তারা নিজের চোখেই দেখে আসছে লাশ আর ধর্ষিতদের। ভারতের কয়েকটি লাশ এবং ধর্ষিতদের ছবি এডিট করে সেইগুলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ছবি বলে গুজব ছড়িয়ে ছিল। সুতরাং- সে সময়ে সেই ঘটনা অধিকাংশ মানুষ এ গুজবটাও বিশ্বাস করা শুরু করেছিল। সবার জানা তখনি সেই আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করেছিল। তার পরেই আনেদালনরত শিক্ষার্থী'রা তাদের সহপাঠীর "মৃত্যুর গুজব" যাচাই বাছাই না করেই যেন আবেগে হামলা করতে চলেও গিয়ে ছিল সেই ধানমন্ডি ঝিগা তলায় অবস্থিত আওয়ামীলীগের দলীয় সভানেত্রীর নিজস্ব কার্যালয়ে। ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়েই হামলা করেছিল নেতা কর্মী বা দলীয় কার্যালয়ে। এই দিকে পুলিশ- দলীয় কার্যালয়ে থাকলেও তারা তখন ছিল নির্বিকার। কারণ- নির্দেশনা ছিল, সেই শিক্ষার্থীদের আঘাত করা যাবে না। তাইতারা চুপ করে ছিল। সে দিন সেখানে নেতা, কর্মী থাকায় শিক্ষার্থীদের হামলা বা গুজবের হামলা সর্বোচ্চ সহনশীলতার মনোভাবে প্রতিরোধ করেছিল।জানা দরকার সে শিক্ষার্থীরা শরীরে সাদা কাপড়ের ব্যান্ডেজ করে মিথ্যা আহত হওয়ার 'ছবি বা ভিডিও' ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছিল। কিছু শিক্ষার্থীর ব্যাগে-চাপাতি, ইটের টুকরা এবং পাথর পাওয়া গিয়েছিল। দোকানে দোকানে- সাদা শার্ট বানানোর হিড়িক, রক্ত মেখে রাস্তায় শুয়ে থাকা, ভুয়া আইডি কার্ড ছাপিয়ে গলায় ঝুলিয়ে এই আন্দোলনে অনেকে আগ্রাসী ও উগ্রবাদী আচরণ করতে প্রস্তুত হয়েছিল। এই মিথ্যা-গুজবটা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও চলে গিয়ে ছিল এবং তারা সেই গুজব বিশ্বাস করে ছিল।

আশ্চর্যজনক বিষয় হলো শিক্ষিত মানুষরা এমন এ গুজবে কমবেশি হলেও কান দিয়েছিল। কিন্তু কেউ তখন লাশের সন্ধান দিতেও পারেনি কিংবা যে কেউ ধর্ষিত হওয়ার প্রমাণ দিতে পারেনি, কেউ চোখ তুলে নেয়ার প্রমাণ পায়নি। কারও পরিবার আসেনি সেই দিন অভিযোগ নিয়ে তাদের সন্তান নিখোঁজ হয়েছে। থানায় কোন ব্যক্তি ডায়েরি করেনি- আহত বা নিহত হওয়ার ব্যাপারে। তাহলে শুধু শুধু কেনই এই গুজব ছড়িয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি করবার অপচেষ্টা করেছিল। আমাদের আসলে বুঝতে হবে, অতীতের গুজব আর বর্তমানের গুজব গুলো এক নয়। এখন অতীতের চেয়ে দিনেদিনেই তা যেন বিভিন্ন ধারাতেই রুপ দিয়ে ভয়াবহ গুজবে দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন গুজব অহরহ চোখে পড়ে। যেমন- 'পদ্মা সেতু নির্মাণে মাথা লাগবে'। অবশ্য ফেসবুকের আগে প্রথম 'ইউটিউবে' ভিডিও শেয়ারিংয়ের মাধ্যমেই এমন গুজব ছড়ানো হয়। এর জেরে আবার- ছেলেধরা সন্দেহে এ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮ জনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সেই গুজবের জেরে প্রায় প্রতি দিনই নিরীহ মানুষ গণপিটুনির শিকার হচ্ছে। সুতরাং এই গুজব ছড়ানো কিংবা গণপিটুনি নিয়ে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেই সব মানুষকে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রমতে বলতেই হয়, ক'জন গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকেই যেন তারা জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে। গুজব সৃষ্টিকারী এ দেশের উন্নয়ন কর্ম কাণ্ড বাধাগ্রস্ত করা সহ অস্থিরতা সৃষ্টির জন্যেই পরিকল্পিত ভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। এর পেছনে হোতাদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশের সাইবার বিভাগগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যাচ্ছে। এরমধ্যে দুবাইয়ে একজন মাস্টার মাইন্ডকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলতেই হয়, ভাইরাসের মতো এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সব জায়গায়। এতে করে নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। প্রিয় সন্তানটি ছেলেধরার খপ্পরে পড়তে পারে- অনেকে সন্ত্রস্ত এই কারণে; কেউ সন্ত্রস্ত ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ভয়ে। এগুজবকে কাজে লাগিয়েই স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের ব্যক্তিগত শত্রুদের টার্গেট করতেও পারে- এমন আশঙ্কা হিসাবে রাখা উচিত। অনেকের ধারণা, সুপরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে ও সেটিকে ব্যবহার করে এবং মানুষের অন্ধ বিশ্বাস কিংবা এই কুসংস্কারকে কাজে লাগিয়ে এ দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার অপচেষ্টাটা অস্বাভাবিক হবে না। তাই কোনো মহল পরিকল্পিতভাবেই গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার যেন কঠিন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।পুলিশদের ভাষ্য মতে, আবার যারা "গুজব" বিশ্বাসী হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তারা ফৌজদারি অপরাধে জড়াচ্ছে। সুতরাং, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নিতে চান আইন -শৃঙ্খলা বাহিনী বা বর্তমান সরকার। কোথাও গুজব ছড়ানো সন্দেহজনক হলে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ বাহিনীকেই জানানো দরকার। গুজবে অপরাধকারী সন্দেহ হলে গণপিটুনিতে হত্যা করার আইনটা হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কাউকে দেননি সরকার।

লেখক: নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক’।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...