সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ঈমান ও হিংসা এক সঙ্গে একই অন্তরে থাকতে পারে না | আমাদের শিল্পসাহিত্য

নজরুল ইসলাম তোফা:: মানুষের নৈতিকতাবোধ লুপ্ত হয়ে গেছে, মূল্যবোধ চলেই গেছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং হিংসা বা লোভ গ্রাস করছে গোটা সমাজকে। মানুষের প্রতি সব মানুষের গভীর ভালোবাসা, কর্তব্যবোধ কিংবা সহানুভূতি দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে। শুধুই যেন তারা স্বার্থপরতায় অন্ধকারে হাবুডুবুই খাচ্ছে। একজন মানুষ তার চরিত্রকে দৃঢ় থাকতে অপারগ। তার কারণটা হলো, যেকোনো অবস্থা মোকাবিলা করতেই অক্ষম। ব্যর্থ হয়ে মানুষ শুধু মানুষের প্রতি হিংসাই করে। তাই বলতেই হয় হিংসা একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। এমন ব্যাধিটা অবশ্যই ক্ষতিকর। হিংসা সামাজিক বন্ধনগুলোর মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করে এবং মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করে। প্রতিপক্ষকে অস্ত্র, সন্ত্রাস এবং কু-কৌশলে হিংসা দ্বারা ঘায়েল করা নয়, নিজ কর্মের মাধ্যমে সব মানুষের মন জয় করা প্রয়োজন। ডনজুয়ান বলেছেন যে, 'সিংসা দিয়ে কখনো হিংসাকে হত্যা করা যায়না। অবশ্য আগুন নেভাতে যেমন পানির প্রয়োজন হয়, তেমনি হিংসাটাকে জয় করতে প্রেমের প্রয়োজন'। সিংসা করলে যেন তার প্রতিদানে শুধুই সিংসা পাওয়া যায়। আর প্রেম করলেও পাওয়া যায় প্রেমানন্দ। সৎ লোকেরা কখনোই পর নিন্দা ও নিজের প্রশংসা করে না। যে নিজ কর্মের প্রতি বিশ্বাস করতে পারে, সেই মানুষই অর্জন করতে পারে। পরিশ্রমী ব্যক্তিদেরকে অলসব্যক্তি এবং অল্পবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিরা শুধুই যেন হিংসা করে। পিটার উইসটিনভের মতামতের আলোকে বলা যায় যে, যুগ যুগ ধরে যারা মানুষের ভুল বা হিংসা করার উদ্দেশ্য খুঁজে বেড়ায়। সেগুলোর দ্বারাই যেন একদিন তাদের চরম মূল্য দিবে এবং শেষে অবশ্য তারা টেরও পেয়ে যাবে। যে হিংসা করে সে সবার আগে তো নিজের ক্ষতি করে। সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহর জমিনেই সর্ব প্রথমে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছিল তার মূলেই ছিল 'হিংসা'। এই প্রসঙ্গটির উদৃতি পবিত্র কুরআনে সূরা মায়েদার ২৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে। সুতরাং- হিংসা করে খারাপ সমালোচনার দিকে মন দেওয়াটা ঠিক নয়। আবার জ্যাক ওয়ার্নার বলেছেন যে, আজকের খবরের কাগজ অবশ্যই তা কালকের 'টয়লেট পেপার'। সুতরাং- আজকের যুগের নিন্দুক ব্যক্তি কিংবা মানুষ, কালকের পোকামাকড়। এমন এই পোকামাকড় কামড়ায় শুধুমাত্র হিংসার কারণে নয়, নিজকে বাঁচানো প্রয়োজনে। একই কথা নিন্দুক ও হিংসুক সমালোচকের জন্যেও প্রযোজ্য হবে। তারা কখনো মানব জাতির মঙ্গল কামনা করে না, চেষ্টা করে বেদনা এবং আঘাত দেওয়ার কঠিনতর ইস্যু খোঁজে। 'আব্রাহাম লিঙ্ক'ও বলেছেন, সমালোচনা করার অধিকার তারই আছে, যার সাহায্য করার মতো হৃদয়টা আছে। তাই- হিংসুক ব্যক্তিরা স্থায়ী কষ্টেই ভোগে। এমন কারণে হিংসুকব্যক্তিরা মনোদৈহিক রোগে যেন আক্রান্ত হয়। আল্লাহকে চেনা, ভালো মানুষকে চেনা ও সঠিক বা সত্যকে উপলব্ধি করা, মারেফাত এবং আধ্যাত্মিকতার পথে হিংসার কঠিন হিজাব অথবা পর্দা'র মতো আড়াল তৈরি করে। হিংসুক ব্যক্তি সবাইকেই হিংসা করে থাকে, এমন কি নিজের আপন জনদেরকেও না বুঝেই 'হিংসা' করে। ফলে সে সকল হিংসুকরা বন্ধুবান্ধব হারাতে বাধ্য হয়। হিংসুক ব্যক্তিরা কখনো উচ্চ ও মহৎ পর্যায়ে যেতে পারে না। শেখ সাদী (রহ.) বলেন, যে সৎ হয় নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না। নিন্দুকেরা নিন্দাটা করেই যাক এতে তারই ক্ষতি হয়। যে কোনো মানুষ প্রশংসনীয় আচরণ করবে, আবার হিংসাটাও করবে তাতো হয় না। তাই তো- আল হাদিসের আলোকে বলতেই হয়, ''ঈমান এবং হিংসা এক সঙ্গে একই অন্তরে থাকতে পারে না''।


নৈতিকতার একটি ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কাজই হলো হিংসা। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, নীচ লোকের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে- "অশ্লীল বাক্য আর হিংসা'' করা। যদিও মানুষদের হিংসার সাথে কমবেশি সাক্ষাৎ ঘটে। প্রকৃত ঘটনা হলো, সকল মানুষ চেষ্টা করে অন্যের চেয়ে এগিয়ে থাকতে বা নিজেকে তুলনামূলকভাবেই বড়ো বা যোগ্যতরো অথবা শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতরো ভাবা। অপর মানুষদের চেয়ে- কী করে অনেক বেশি অর্জন, উপার্জন কিংবা আহরণ করা যায় সে চিন্তা না করেই যেন শুধু মগ্ন থাকে হিংসা নিয়ে। মানুষের ভেতরে এই যে নেতিবাচক এক প্রতিযোগিতার চিন্তা এটাই 'মানসিক সৌন্দর্যের সর্ববৃহৎ অবক্ষয়'। তাই ইতিবাচক অনুভূতির গোড়ায় গলদ নিঃসন্দেহে। কেননা এ অনুভূতি আছে বলেইতো মানুষ চেষ্টা তদবির চালায়, পরিশ্রম করে এবং বিচিত্র কর্মকাণ্ডে নিজেকেই জড়ায়। পক্ষান্তরে, মানব জাতির মধ্যে অনেকেই ভালো মানুষও রয়েছে, যারা অপরের ভালো কিছু সহ্য করে নেয়। অন্য মানুষের ভালো কিছু দেখলে মন খারাপ করে না। তাকে উৎসাহ যুগিয়ে থাকে। কেউবা তা প্রকাশ করেই জানান দেয় মঙ্গল হোক। সুতরাং তিনিই হিংসুটে মানুষ নিজকে শ্রেষ্ঠতর মানুষ হিসেবে দাবি করে। অন্যের ভালো থাকা এবং সুখে থাকা তিনি মেনে নিতেই পারে না। কিন্তু এমন হিংসা করাটা মূলত একধরনের বৃহৎ পাপ, আবার তারা জানেও না এটা ভয়ানক ব্যাধি। রাবেয়া বসরী বলেছেন, 'পরশ্রীকাতর ও লোভী ব্যক্তি কখনো শান্তি পায় না।'

হিংসা বিদ্বেষ মানুষকেই জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। হিংসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধর্ম সহ পবিত্র কোরআনে শক্ত অবস্থান আছে। কোরআনের মধ্যেই সূরা ফালাকে ঘোষণাও আসে তাহলো,- ‘'আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে পানাহ চাই, যখন সে হিংসা করে।" হযরত আলী (রাঃ)ও বলেছেন যে,- 'সুস্থ থাকার জন্য হলেও হিংসা পরিত্যাগ করো, কেননা হিংসা মানুষকে ভিতর হতে গলিয়ে দেয়"। নষ্ট করে দেয় আত্মাকে। দিনে দিনেই যেন মানুষ অসুস্থ ও অশুদ্ধ ব্যক্তির কাতারে পড়ে। অন্যদিকে যাকে হিংসা করে তার সাময়িক ক্ষতি হলেও সেখানে অহেতুক সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। "লোকে হিংসা করছে মানেই, আপনি উন্নতি করছেন। কিন্তু যেমুহুর্তে হিংসাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করবেন, অবনতির রাস্তা খুলে যাবে। কে কি ভাবছে- তা নিয়ে মাথা ঘামালে নিজের কাজটা করবেন কখন। আলী ইবনে আবু তালিব (আঃ) তাঁর সু- চিন্তিত মতামতের আলোকে বলেন, 'যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করতে পারবে, সে কখনো সফলতা থেকে বঞ্চিত হবে না। তাই সফল হবার জন্য তার একটু বেশি সময় লাগতে পারে।' সুতরাং অপছন্দ ও অন্ধকার মনে হওয়া ব্যক্তিদের এবং আলোকিত ব্যক্তিদের কখনোই গাল-মন্দ করা যাবে না। নিজ থেকে ছোট্ট একটি বাতি জ্বালানোই উত্তম। কেননা দেখাও যায় যে নিজ কর্মে প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং পরিশ্রমী না হয়ে নিন্দুক ব্যক্তিরাই যেন- অন্যের কর্মের প্রতি হীন মনমানসিকতা, ঈর্ষাপরায়ণতা বা সম্পদ পাওয়ার মোহ, পদমর্যাদার লোভ-লালসা অথবা হিংসা-বিদ্বেষের মতো অনেক নেতিবাচক কর্মকান্ড করে থাকে। হিংসা-বিদ্বেষ মুমিনের সৎ কর্ম ও পুণ্যকে তার একান্ত অজান্তেই কুরে কুরে খায়। এই মানুষকেই হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, শঠতা-কপটতা, অশান্তি ও হানাহানি ইত্যাদি সামাজিক অনাচারের পথকে পরিহার করেই পারস্পরিক ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনেই যেন আবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। ইসলাম সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের প্রতিই মানুষের পরিশীলিত জীবনবোধ সৃষ্টি করে নিজকে গড়ে তোলা উচিত। এসব   বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মানুষদেরই মুল কথা, উক্তি বা বাণী।  হিংসা সমাজ জীবন এবং কর্ম জীবনেই অনেক অশান্তি বয়ে আনে। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। সৃজনশীল কর্ম কান্ডকে ব্যহত করে। 'আমল ও ঈমান' ধ্বংস করেই কুফরের দিকে নিয়ে যায়। হিংসা কারো জীবন ও মনের মাঝে প্রবেশ করানো উচিত নয়। মানব চরিত্রে যে গুলো খারাপ দিক আছে, তার মধ্যেই হিংসা-বিদ্বেষ মারাত্মক ক্ষতিকারক। ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজে পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ, ঈর্ষাকাতরতা কিংবা কলহ-বিবাদ প্রভৃতি মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবনকেই যেন অত্যন্ত বিষময় করে তোলে। এতে করেই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি- মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। অন্যের সুখ-শান্তি ও ধন-সম্পদ বিনষ্ট এবং ধ্বংস করে।

পরিশেষে বলা যায়, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সতর্ক বার্তা দিয়েই পৃথিবীর মানুষের মধ্যে পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষের পরিবর্তে সামাজিক শান্তি, সম্প্রীতিকে বজায় রাখার উদ্দেশ্য তুলে ধরেছেন। (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৪) ‘'আল্লাহ পাক নিজ অনুগ্রহে মানুষদেরকে যা দিয়েছেন, সেই জন্যেই কি তারা ঈর্ষা করে?’ ইসলাম আসলেই অন্যের প্রতি হিংসা করা ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়াকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নিষিদ্ধ করেছে। সুতরাং সিংসা তারাই করতে পাবে, যাদের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার কোনো যোগ্যতা নেই। আর কখন যে কোন মানুষকে কার দরজায় দাঁড় করাবে তা কোনো মানুষও টের পারেনা, শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রণে হয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের অমানুষিক খারাপ আচরন কিংবা হিংসা করা উচিৎ নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিংসাকে নিয়ে বলেন, তোমরা পরস্পরকে হিংসা করো না, একে অপরের সাথে কোনো সম্পর্কচ্ছেদও করোনা, একজন আরেক জনকেও কখনো ঘৃণা করো না। বরং- আল্লাহ তাআলার বান্দা হিসেবেই- পরস্পরের ভাই হও। হিংসার পরিণতি হলো দুঃখ এবং হতাশা। কেননা সকল মানুষের উল্লেখ যোগ্য অর্জন বা নিয়ামত প্রাপ্তিটাই যেন হিংসুক ব্যক্তির অন্তরে ঈর্ষা, হতাশা ও কষ্টের জন্ম দেয়। এতে এক সময় সেই মানুষরাই কঠিন মর্মপীড়ায় ভুগতে থাকে। তাদের দেখা দেয় নানাধরনের শারীরিক সমস্যা। আবার যখন কোনো মানুষ, অন্য মানুষের প্রতি ঈর্ষাতুর হয়, তখন সে আল্লাহ তায়ালা'র প্রজ্ঞাকেই সন্দেহ করে। আল্লাহর বিভিন্ন নির্দেশ এবং সিদ্বান্ত'কে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সৃষ্টিকর্তা কাকে কোন নিয়ামত দিবেন কিংবা কার প্রতি কতটুকু দয়া দেখাবেন, তা একান্তই তাঁর নিজ ইচ্ছাধীন। তারপরও হিংসুক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মানুষরা চায় ঈর্ষাকৃত ব্যক্তি কর্তৃক উপভোগকৃত নিয়ামতটি যেন হারিয়ে যায়। তারা চায় নিজে তা উপভোগ করতে। তারা পারুক আর নাইবা পারুক, ঐসব অর্জন ও নিয়ামতকে ভোগ করার উপযুক্ত হোক বা না হোক। তাই বিখ্যাত মনীষীদের সত্য  বাণী এবং উক্তির আলোকে জীবনযাপন করলে হয়তো হিংসাকে দূূূর করে খুব সুন্দর জীবন গড়ে তোলা সম্ভব।হিংসা থেকে বাঁচার জন্যেই যেন উত্তম আচরণ ও পবিত্র অন্তরের অধিকারী হতে হবে। অন্যমানুষদের যে কোনো কিছু অর্জন কিংবা উপভোগ করেছে, সে নিয়ামতটাকে নিজের জন্যেই প্রত্যাশা করার অনুমতি আছে। তবে এই শর্তে যে, উপভোগকারী কোনো ব্যক্তির নিকট থেকে তা কেড়ে নেওয়া হোক এমনটা প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। সৃষ্টি কর্তার দেওয়া নিয়ামত বা সুফল অন্যকেউ শ্রম দিয়ে তা নিজের করে ভোগ করুক, তাও অন্যকে অপছন্দ এবং হিংসা করে নয়। মানুষের উচিত, সৃষ্টি কর্তা অন্যকেই কী দিয়েছে, সেটা নিয়ে কু-চিন্তা ও হিংসা না করে তাকে যে সব গুণাবলি কিংবা নেয়ামত দিয়েছে, সেইগুলোর কথা চিন্তা করা এবং প্রয়োজনে তা গণনা করেই নিজ জীবন কর্মে প্রতিফলন ঘটানো। অহেতুক আত্ত্বদম্ভ, পরচর্চা বা হিংসা করে নয়। আমিত্ত্ব বা নিজস্বতাকে প্রতিষ্ঠিত করে চেতনাকে জাগ্রত উচিত। জাতীয় কবি- "কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ওরা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেস আর নিন্দাবাদ, আমরা বলব সাম্য শান্তি আর এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।

লেখক:-

নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...