সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কঠিন জ্বর ২/৩দিন ধরে ঘুম নেই আবোলতাবোল চলি

আমি শুয়ে শুয়ে ভাবি মাথাটা শূন্য কি লিখব, কি লিখব ভাই আমি? দিন কাটে তো রাত কাটে না কি যে করি কি ভাবি। ভাবায় মগজে চলে ঝড়, যেন কালবৈশাখী ঝড় আমি যে শব্দ খোঁজে পাইনা। আসেও না মগজে শান্তির কথা। কয়েকটিবার লিখেছি ভালো নেই। অল্পকিছু কথা এখন লিখি মনে যা আসে তাই, মন বলে-তারুণ্যের দিন আমার শেষ। ভাষা খোঁজেও যে পাই না, আমার যা ছিল সততা শুদ্ধতা সেতো বর্তমান ও আগামীকে নিয়ে। কেউ কি উদাহরন হিসেবে আমাকে নিয়ে দূ'কলম লিখবে কি না জানি না।  আমার আত্মাতে 'শান্তি' দেওয়ার একনিষ্ঠ সাধনার সাধক পুরুষ কে আছে জানি না। না পাওয়াকে ছাড়িয়ে হতাশাকেই মাড়িয়ে এখনো আমি ভাবি,.. শুধুই ভাবি। স্বদেশকে ভালোবাসি, বিজয়ের পতাকা উড়ানো বীর আমি নই। তবুও স্বাধীনতার কথা বলি। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, তাঁর আদর্শের কথা বলি। শত্রুরা পরাজিত হয়েছে কি হয়নি তাতো আমার লেখা হয়নি। সর্ববিজয়ী মহাবীর আজ তুমি বঙ্গবন্ধু। তুমি আমার অন্তরে আছো, আজ আমি যে ক্লান্ত, ভুলানো তোমাকে আর একটু যদি সময় হয়। লিখবো তোমাকে। লিখার সাহস হয়নি বলেই তোমাকে আজও দু-কলম লিখতে পারি নি। আর একটু বাঁচার ইচ্ছে জাগে। সৃষ্টি কর্তা তুমি আমায় সুস্থতা দাও- দাও শক্তি, সাহস এবং মনোবল।

আমার মাথা আর যদি কাজ না করে। আমার এই লেখা শব্দগুলি দয়া করে কখনো ডিলিট করবেননা ভাইজান। আপনারা যে হাত বাজিয়ে দিয়েছেন আমার মৃত্যুর পরে যেন তরুণপ্রজন্মরা পড়ে। তা যেন ইতিহাস হয়েই থাকে। আমার সকল তনুমন প্রান আজ থরথর করেই কাঁপছে, তাতে শুধু একটি মাত্র সুরেই ধ্বনিত হচ্ছে আরকি আমি আপনার মনে খোরাক সামান্য দুকলম লেখা দিয়ে পুরন করতে পারবো কিনা। আপনারা আমাকে অনেক ভালো বাসা দিয়েছেন আমি ধন্য। যে দিন আমার এমন ''লেখা'' আপনাদের ভাল লেগেছে। সেদিন থেকেই আমি অনেক কল্পনা করেই রেখেছি বছর শেষে একটি "প্রবন্ধ পুস্তক" বাহির করবো। আর একটি লেখা আমার পরিপূর্ণ তৈরি আছে তা আগামীতে প্রকাশ করবো। কি অসম্ভব সময়ে আমার- অসুখ, কি করুন পরিনতি আমার। আমার এই  জন্ম গ্রহন কি বৃথা হয়ে যাবে। আমি একজন সৃষ্টিকর্তার খাদেম। মনোবল আমার এখন যে খুবই 'দুর্বল'। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি মুসলমান। আমি নাস্তিক নই

আমি এই দেশে এই সমাজে জন্মেছি বলেই আমি এমন দেশেরই এই সমাজেরই শুধু নই, আমি সকল মানুষের। সুন্দরের ধ্যান, শৈল্পিক চর্চার মধ্যেই আমার জীবন, তার নান্দনিকতা মাঝেই আমার "ধর্ম"। নাট্যাভিনয় বা নাটক পড়া এবং লেখার চর্চা করার চেষ্টা আমার নিত্য দিনের কর্ম। আমার সারা জীবনের সাধনা ছিল আমি এক জন শিল্পী হবো। তা পুরন হয়েছে, আমি একজন চিত্র শিল্পী। শুধুমাত্র সুন্দর কিংবা অসুন্দরকে এমন হাতের ছোঁয়ায় শৈল্পিককতার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার এ হাতে  কেমন যাদু আছে তার দেখা আজো মেলেনি। পদ্মফুলই দেখিনি, শাপলা ফুলও ফুটেনি। আমার এই চোখে চোখ ভারা জল আজো শুকাইনি। শ্বশানের পথে, গোরস্থানের পথে, ক্ষুধা মানুষের ব্যথিত জীবনের কাছে আছো যেন আমার কোমল তুলির আঁচড় পড়েনি। বৃদ্ধাশ্রমের দুঃখী  মানুষের পাশে আজো দাঁড়ানো হয়নি।,কারাগারের যেই মানুষ গুলো কি অপরাধে অন্ধকূপেই আছে, তাদেরকে আমার আজো বিশ্লেষণ করা হয়নি। ফাঁসির মঞ্চে তাকে দেখবো বলে দিনে দিনে বড় হয়েও আজো দেখা হয়নি। খামাখা আমার অনেক ইচ্ছা, লোকের মনে করে আমি 'পাগল'। তাতে কি নাটকে ঠিক ময়েজ পাগলা হয় ১০৫ পর্বে অভিনয় করেছি। ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলাম বড় বড় অভিনেতাদের। 'আই অ্যাম ময়েজ পাগলা, সব শালারে দিবো বাঁশ, কাঁপন ছাড়া দাফন হবে লাশ।' কেউ যদি এ সংলাপের- "চোরকাব্য নাটক" না দেখে থাকেন তা হলে ইউটিউব lovetv তে চলে যান। এ নীরিহ ময়েজ পাগলা মানুষটাই গ্রামের মানুষকে আছড়ে-কামড়ে তেড়ে নিয়ে বেড়ায়।  ইচ্ছা আমার কোন দিনই শেষ হবে না। আমার নাট্যগুরু, নাট্যকার ও পরিচালক 'শিমুল সরকার' যতো দিন বেঁচে থাকবেন, আর আমি যদি বেঁচে থাকি। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদী এক মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ যুদ্ধ বিগ্রহ, আর সাধারণ মানুষের জীবনে একদিকে কঠোর দারিদ্র-ঋন-অভাব, অন্যদিকে লোভ লালসার বেশকিছু মানুষ ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা পাষান স্তুপের মতো জমা করে রাখছে। এই অসম ভেদ জ্ঞানকে দূর করতেই আমি- বেঁচে থাকতে চাই। আমার প্রবন্ধ, কাব্য, সংগীত, শিল্প চর্চা এবং কর্ম জীবনের সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করতে বেঁচে থাকতে চাই। আমি যশ চাই না খ্যাতি চাই না এবং প্রতিষ্ঠা চাইনা, নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নেতা হতে চাই না। জীবনে আমার যতোই "কষ্ট আর দুঃখ" আসুক না কেন, আমি সৃষ্টি কর্তার কাছে শুধুমাত্র এই জীবন-ভিক্ষা চাই। আমি দিয়ে যাবো নিজকে নিঃশেষ করে সকলের মাঝে বিলিয়ে, সকলের বাঁচার মাঝে থাকবো আমি বেঁচে। এই আমার ব্রত এ আমার সাধনা এই আমার তপস্যা। 'বাবা' আমার নাম রেখেছেন 'নজরুল ইসলাম'। শখ করে যেন আরও উপহার দিলেন নামের সঙ্গেই- "তোফা"। বাবাকে একদিন প্রশ্ন করেছিলাম তোফা কেন নামের সঙ্গে বাবা, বাবা বললেন, আমি তো কাজী নজরুল ইসলামের ভক্ত তাই তোমার- নামটে তাঁর নামের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছি। তার উপহার হিসেবেই তুমি আমার কাছে "তোফা"। তাই এখন আমিও কাজী নজরুল ইসলামকে হৃদয়েই লালন করি। আর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার ধ্যানজ্ঞান তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু কিছু দিন বাঁচিতে চাই, চাই খোদার কাছে সুস্থতা আর তোমরা কি দেখিতে কি পাও আমি এখন উন্মাদ। কঠিন জ্বর দু'তিনদিন ধরে ঘুম নেই তাই আবোলতাবোলেই চলি।

করোনা ভীতি আমার চোখে জল এনেছে বিনা কারণে। আমার শুধুই যে জ্বর, সামান্য পেশার আর- দীর্ঘ দিনের ডায়াবেটিস সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাস আমাকে যেন আতঙ্কিত করেছে। আজ জীবনাকাশে একি কঠিন বাজ হেনেছে বিনা কারণে। দিনে দিনে দিন ফুরায়, রাত এসে আঘাত হানে, কি মুল্য দিতে হবে আমায় জানি না- ১০৫ ডিগ্রি জ্বর, কখনো কখনো চাদর মুড়ি দিয়ে কাঁপতে হয় জ্বর তো হয় তা তো নতুন নয়, কিন্তু করোনা ভাইরাসের ভয় আমায় লকডাউন করেছে। অবশ্যই- বিনা কারণেই সে যে আমায় চিনে নিলোই কি নিলোনা, আমি জানবো কি করে। এ জীবনে অনেক যতন করে যা প্রেমের বীজ বুনেছি তা কি বিফলে যাবে। আমি তো খুঁজি কারণ মন আমায় করে বারণ, কোথায় যাই কি যে খাই, পাই বা না পাই তবুও খাই, যে যা বলে তাই। মন আমার আজ কেন সেই আগুনে জ্বলে। আমি যে অনেক উপদেশ পাই প্রিয় বন্ধুদের কাছে, তাতে কিছুটা শস্তি মিলে। আমার আছে ''টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল'' কিংবা  আমার প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী সহ কাছের প্রিয়- ভাই ও বন্ধু।তাদের মজার কিছু উপদেশে আমার শান্তি মিলে। সবাই আমাকে প্রানখুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করবেন ভাই

লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...