সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ক্ষমতার অহংকার ও দাম্ভিকতা চিরজীবন থাকে না | আমাদের শিল্পসাহিত্য

নজরুল ইসলাম তোফা:: সবশ্রেণীর মানুষদের জীবনের উৎকর্ষ-অপকর্ষের সুবিচার হয় তাদের 'চরিত্র'-পরিচয়ে। মানুষদের ''জীবন এবং কর্মের'' মহিমায় তাদের চরিত্রের আলোকেই পায় দীপ্তি। সকল মানুষ তার চরিত্র-বৈশিষ্ট্য অনুসারেই কাজ বা চিন্তা করে এবং সেই অনুযায়ী যেন সমাজজীবনে ভূমিকা রাখে। মানুষের জীবনে চরিত্র যে তার অহংকার ও সম্পদ। জনৈক দার্শনিক বলে ছিলেন, মানুষ হচ্ছে তিন প্রকার। একশ্রেণীর মানুষ হলো খাদ্যের জন্য সংগ্রাম করে যাদের দরকার হয় সবসময়েই খাদ্য। আরেক শ্রেণীর মানুষ হলো, ঠিক ওষুধের মতোই যাদের দরকার হয় মাঝে মাঝে। আরেক শ্রেণীর মানুষরা হলো, রোগের মতো যা তাদের কখনো যেন দরকার হয় না। এ মানুষরা এই তিনটি বিষয় নিজ থেকে বিশ্বাস করে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা এখানে বৃহৎ ভুমিকা আছে তাইতো তাঁরা এমন আচরণেই কথা কপচায় এবং দাপটের সঙ্গেই চলে। যার যেটা শক্তিশালী সে সেটা নিয়ে অহংকার করে। সুতরাং, সৃষ্টিকর্তা তাদের অহংকার একনিমেষেই পরিবর্তন করে দিতেও পারেন। মানুষের বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু বোকামীর কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তাইতো এই জগতের মানুষরা দাম্ভিকতা প্রকাশ করে এবং অহংকার করে।


সৃষ্টিকর্তা তাদেকে দেয় উজ্জ্বল শোভা ও সমুন্নত মহিমা। ফুলের সম্পদ যেমন তার সৌন্দর্য কিংবা সুরভি, আবার মানুষের সম্পদ তেমনি যেন চরিত্রশক্তি। নানা সদগুণের সমন্বয়েই যেন সব মানুষ হয়ে উঠে চরিত্রবান। মানুষদের সাথে সেই রূপ আচার আচরণ করো যেমন তারা পছন্দ করে। কিন্তু নিজের ইচ্ছা বা পছন্দ মাফিক আচরণ কর না। তাতে তারা কষ্ট পায়, একজনের কোনো রোগ হয়না কিন্তু সে ব্যক্তি রোগী ব্যক্তিকে অবহেলা করে বনজঙ্গল কিংবা রাস্তায় রোগীকে ফেলে চলে যায়। কিযে নির্মমতা ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ এই সমাজে আছে। তাদের যদি কোনো সময়ে এমন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েই যায় তখন তাদের উপায় কি, তারা একবারেও ভাবে না। সদাচারণ, সত্যবচন, সৎসংকল্প এবং সৎ জ্ঞান হয় তার জীবনে আদর্শ। মানুষ হিতৈষী হয় তার জীবনব্রত নিয়ে।সে মানুষ কোথায়, সমাজ কি অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে।ভূল করা দোষের কথা নয় বরং ভূলের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকা দোষণীয়। দেখা যাচ্ছে দিন দিন যেন ভুলের উপর ইচ্ছা করেই হাবুডুবু খাচ্ছে। চারিত্রিক দৃঢ়তাও মানুষদের বিন্দুমাত্র খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক সময় আমাদের জানা ছিল, চারিত্রিক গুণাবলীর স্পর্শে সমাজের অধম ব্যক্তিরাও নিজের কুলষিত জীবনকে সুধরে নেয়ার যেন সুযোগ পায়। এখন সুধরে নেওয়া তো দূরের কথা মানুষ অহংকারী হয়ে উঠছে। এখানে অহংকার শব্দটাকে যেই ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা, তার উদ্দেশ্য অবশ্যই ভিন্ন আঙ্গিকে। অহংকার গুরুগম্ভীর শব্দটা অবশ্যই মানুষের কাছে পরিচিত হলেও তা নেতিবাচক একটি শব্দ। মানুষ তাকে নিজস্ব আত্মায় ইচ্ছাকৃতভাবে ধারন করে অনেক বড়াই করে। এ ধরনের কথাকে ভেবেই বলা যেতে পারে যে, অহংকারী মানুষরা কখনোই ভালো মানুষদের কাছে সম্মান পায় না। কিসের এতো অহংকার? অনেক সবুজ ধান গাছের পাকা ধান গুলো কাটছে একটি মহল, কিন্তু সেই ধান গাছের ছবিতে দেখা যায় পাকা ধাপগুলি যেন  চোখেই পড়ছে না। জমির মালিকও বলছেন, পাকা ধান কাটা হচ্ছে। মালিক কি ভয়েই বলছেন আমাদের জানা নেই। হয়তো বা ক্ষমতার দাপটে মালিকে বলিয়ে নিতেও পারেন। ক্ষমতার দাপট কিংবা দাম্ভিকতাটাও- সে সকল মানুষের আত্মঅহংকার পর্যায়ে পড়ে বলেই মনে করতে পারি।


ঘুম ভাঙলে সকাল, আর না ভাঙলে পরকাল। অহেতুক এতো অহংকার বা দাপট কেন? মানুষ নিজের অবস্থান নিয়ে অনেক গর্ব এবং অহংকার করে থাকে কিন্তু ভেবে দেখেও না যে, তাঁর যা অবস্থান রয়েছে তার পেছনে যে কার না কারো অবদান আছে। সুতরাং বলা যেতে পারে অহংকারী ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষেই অকৃতজ্ঞ, কৃতঘ্ন ও গর্বিত কুলাঙ্গার। খুব 'বেশি অহংকার'- কখনোই ভালো হয় না। তিন ধরনের মানুষ অনেক বেশি 'অহংকার' করে থাকে। বেশি শিক্ষিত হলে, বেশি সুন্দর হলে, হঠাৎ করেই তারা বড়লোক হলে। তা ছাড়াও আরো একটি কারণ রয়েছে, তাহলো অল্প বিদ্যা অর্জনকারী ব্যক্তি নিজকে অহেতুক আড়াল করে রাখার জন্যেই যেন এক ধরনের ভাব ধরে অহংকার করে। সুতরাং জ্ঞানীরা মূর্খদেকে চিনতে পারে কেননা সে জ্ঞানী। পক্ষান্তরে মূর্খ জ্ঞানীকে চিনতে পারে না, কেননা সে মূর্খ। তাই তো সামাজিক ভাবে কে জ্ঞানী  আর কে মূর্খ বুঝা কঠিন। শুধুই এই সমাজে লক্ষ্য করা যায় দাম্ভিকতা কিংবা অহংকারের বেড়াজালে সাধারণ মানুষরা বন্ধি। অ-মানুষের জ্ঞান কবে হবে, যে অধিকার আদায়ের পেছনে চেষ্টা চালানো হয় তা কখনই বৃথা যায় না। সততা ও নিষ্ঠার সহিত অহংকার পরিহার করেই কি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার করা যায় না। কেনই বা এই দেশের হতদরিদ্র অসহায় মানুষদের 'খাদ্যদ্রব্য' ক্ষমতার দাপটে চুরি করে খেতে হবে।

সমগ্র পৃথিবীতে আজ অবধি যত সত্য কথাগুলো জানা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম সত্যি কথা অহঙ্কার পতনের মূল আর মানুষের নায্য চাহিদা থেকে বঞ্চিত করা। তাই তো 'জন রে' বলেছিলেন, 'লোভী ও অহংকারী মানুষকে বিধাতা সবচাইতে বেশী ঘৃণা করে।' তাই বলতেই হয় যে, "যতক্ষণ অহংকার ততক্ষন অজ্ঞান। যতক্ষণ নিজ স্বার্থ ততক্ষণ পতন"। অহংকার কিংব অত্মসাতে মতোই স্বার্থ থাকতে কখনোই মুক্তি হবে না। নীচু হলে তবে উঁচু হওয়া যায়, চাতক পাখির বাসা নিচে কিন্তু উঠে খুব উঁচুতে। এ ধরনের 'অহংকার নয়' আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করলেই বড় হওয়া যায়, সকল শ্রেণীর মানুর জাতি সম্মান করে। যাদের আত্ম বিশ্বাসের অভাব এবং আত্মবিশ্বাসেই অন্ধ তারা অন্য মানুষকে ভালো কাজ থেকে কি ভাবে সরিয়ে রাখা যায় সে চেষ্টাই করে থাকে। তারা নিজেরা পারে না বলেই যেন, অন্যকে কৌশলে ফেলে বিভিন্ন চাল ঘটিয়ে চাল চোরি এবং অন্যান্য কিছু পেলেই ভোগ করে থাকে। আবার অতি আত্মবিশ্বাস ও অহঙ্কারহীন মানুষকে নিজ চেষ্টা কিংবা ''সঠিক কিছু শেখা'' থেকেই বিরত রাখতেও চেষ্টা করে। দাম্ভিকতার শিক্ষায় বেশকিছু মানুষরাই এক দিন না এক দিন নিজ স্বার্থ ও অহংকার দেখিয়েই কখন পতন ঘটে যায় তা টেরও পায় না এবং পরেই আপসোস করে। অহংকার এটি অনেক 'খারাপ গুণ'। এটা অবশ্যই শয়তানের বৈশিষ্ট্য, ঠিক শয়তান মানুষকে দিনে পর দিন অহংকারী রূপেই বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। তাই "সৃষ্টি কর্তা" মনেই করেছেন, অহংকারী মানুষ গুলো কখনোই ভালো হয় না। দিনে দিনেই তাদের অন্তরকে 'আলোহীন' করে দেয়। তাদের অন্তরটিতেই যেন একসময়- 'পরিপূর্ণ অহংকার' জায়গা করে নেয়। আর কোনোভাবে সরাতে পারে। ভালো চেতনা নষ্ট  হয়ে যায়। সর্ব প্রথম সৃষ্টি কর্তা এবং তাঁর সৃষ্টির ওপর যে অহংকার করেছিল সে হচ্ছে, অভিশপ্ত ইবলিস। সুতরাং অহংকার ইবলিসি চরিত্র।

অহংকারী মানুষ খুব জঘন্য স্বভাবের হয়। এটা আসলে আত্মার মারাত্মক মরন ব্যাধি। মানুষ নিজেকে অন্যদের থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম বলে মনে করলেই যেন মনের মধ্যে এক ধরনের আনন্দের হাওয়া বয়ে যায়। এমন-- আনন্দ হাওয়ার কারনে মন ফুলে ফেপে উঠে। এটাই অহংকার।মনে রাখতে হবে যে অহংকার ও বড়াই মানবাত্মার জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং মারাত্মক ব্যাধি, যা কিনা মানুষদের নৈতিক চরিত্রকে শুধু কলুষিতই করে না বরং মানুষদের সত্যের পথ থেকে খুব দূরে সরিয়ে ভ্রষ্টতা বা গোমরাহির পথে নিয়ে যায়। কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষদের অন্তরে অহংকার ও বড়াই এর অনুপ্রবেশ ঘটে ঠিক তখনই তার জ্ঞান, বুদ্ধির ওপরেই তা বিস্তার করে। নানা প্রলোভন ও প্ররোচনার মাধ্যমেই খারাপ আত্মা খুব শক্ত হস্তেই টেনে নিয়ে যায় কু-পথে এবং বাধ্য করে সত্যকে অস্বীকার বা বাস্তবতাকেই প্রত্যাখ্যান করার মতো অনেক কিছু। ইচ্ছা জাগ্রত থাকেও না খুব ভালো কাজে। 'অংহকারী মানুষ' সবসময়ে চেষ্টা করে অন্যের হক কুক্ষিগত করে নিজের ফায়দা লুটা যায় কিভাবে। তাদের কাছে খুব সজ্জিত ও সৌন্দর্য মণ্ডিত ব্যপারগুলো হয়ে ওঠে যেন কিছু বাতিল, ভ্রান্ত, ভ্রষ্টতাসহ গোমরাহি মতোই নানা বিষয়। যার কিনা কোনো বাস্তবতা খোঁজে পাওয়া যায় না। এ সবের সাথে আরও যোগ হতে থাকে, যেই মানুষ যতোই বড় হোক না কেন, তাকে অহংকারী'রা নিকৃষ্ট মনে করবে এবং তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করে তাকে অপমান করবে। দেখা যায় অনেক মানুষরা আবার প্রতিভার কারণে প্রাথমিকভাবেই সফল হয়, কিন্তু সেই মানুষরা অহঙ্কারের কারণেই যেন নিজের সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি। অহংকারী মানুষেরাই তার নিজের ভুল ত্রুটি কাউকে দেখতেও দেয়না। ইগো তাকে অন্ধ করে দেয়, সে যতটা না বড়, নিজেকে তার চেয়েও যেন বেশি বড় করে দেখতে শুরু করে। কারও পরামর্শ এরা নেয় না। মনে করে নিজেই সবচেয়ে ভালো বোঝে।সুতরাং এমন ধরনের মানুষ সমাজে অহরহ চোখে পড়ে নিজেকে নিয়েই অহংকার করতে করতে ধ্বংস হয়েছে। সমাজ তাদেরকে অনেকেই ঘৃণার চোখে দেখে। সুতরাং পা পিছলে পড়ে যাওয়া লজ্জার কথা নয়। বরং যথাযথ সময়ে উঠে না দাঁড়ানোই লজ্জার ব্যাপার। এ মানুষদের লজ্জা হবে কবে।

অহংকার- তো তারাই করে, যাদের কোনো ধরনের গুন নেই। অহংকার শব্দটির প্রতিশব্দটা হচ্ছে: আত্মাভিমান অহমিকা ও গর্ব। অহংকার অথবা গর্ব এমন একপ্রকার  আবরণ, যা মানুষের সকল মহত্ত্ব আবৃত করেও ফেলে। মানুষের সকল মানবীয় গুণের বহিঃপ্রকাশ হলো মহত্ত্ব। এইসব মানবীয় গুণাবলি দিয়েই মানুষেরা অন্যান্য প্রাণী থেকে নিজেকে আলাদা করেছে। হয়েছেও 'সৃষ্টির সেরা' জীব। মহৎ মানুষরা অহংকারী ও আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে, দেশ ও দশের কল্যাণে আত্মোৎসর্গ করেছে। তাই, তাঁরা সকল প্রকার "হীনতা, দীনতা, সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা বা অহংকার" থেকে মুক্ত থাকে। তাঁরা সবসময় দেশ, জাতি ও সমাজকে নিয়ে চিন্তা করে, নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যায়। তারা বিশ্বাস করেন, মরিচা- যেমন লোহাকে বিনষ্ট করে, তেমনি অতিরিক্ত অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে।সৎ মানুষেরা এও বিশ্বাস করেন যে, অহংকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ ধ্বংস করে দেন, তার প্রভাব-প্রতাপ নস্যাৎ করে দেন এবং তার জীবনকে সংকুচিত করে দেন। যে ব্যক্তি অহংকার করতে চায় কিংবা বড়ত্ব দেখাতে চায় আল্লাহ তাকে বেইজ্জতি করেন। সুতরাং, অহংকারী হওয়া ঠিক নয়, গারিবদেকে ঘৃণা করা উচিত নয়। তাদের যা প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। মানুষের সাথেই বন্ধুত্ব ছিন্ন করে অর্থ উপার্জন করতে যেও না। কারণটা, বন্ধুত্ব স্থাপনই যেন নিজস্ব অর্থাপর্জনের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম তা স্মরণ রাখতে হবে।

লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...