সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রাজশাহী থিয়েটার এবং কচিপাতা থিয়েটারের একজন কর্ণধার তাজুল ইসলাম |আমাদের শিল্পসাহিত্য

  • নজরুল ইসলাম তোফা: গণ মানুষের মনে জেগে উঠার স্বপ্নমালার মতো এক রহস্যের বহু দিনের 'নাট্যানুভূতির অনামা কুসুম'। বাস্তবের চেয়েও স্বপ্নের দিকেই এশিল্পের ঝোঁক- 'কিছু মানুষের হৃদয়ে অধিকতর'। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করবার জন্যেই নাট্য জগতের আলো-আঁধারি মাখা সিঁড়ির দিকে চেয়ে থাকে, এই শিল্প তাঁদের কখনো ডাকে আবার কখনো ডাকেই না। কারো কপালেই ডাক আসে অহরহ, ডেকে ডেকে কখনো ক্লান্ত হয় আর কেউ একবারও ডাক পায় না। কি যে, অধীর আগ্রহে থাকেন অবিরাম একটিবার ডাক শোনার জন্য। এমন স্বপ্নটা কি কখনো পুরন হবেনা তাঁদের। সে যেন তাঁর নিজের মতো করে সদা সর্বদাই স্বপ্নটাকে উপজীব্য করে নাট্য শিল্পের স্বরূপ অন্বেষণের চেষ্টার পাশাপাশি নানা ভাবে বিশ্লেষণ প্রেক্ষাপট বিবেচনা সহ নাট্যমঞ্চের কাজকর্মে গুরুত্বপূর্ণ সময় দিয়ে যাচ্ছেন। সে ব্যক্তিটার কালপরিক্রমায় বয়স   হলেও যেন মনে বয়স হয়নি। তিনি বলেন,- এই পৃথিবীর সব আলো এক দিন নিভে গেলে পরে, পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন, মানুষ রবে না আর, রবে শুধু এই মানুষের স্বপ্ন তখন। তিনি সৃজনে-উপলব্ধিতেই কতখানি সার্থক তাও হতে পারে এ লেখাটির উপজীব্য বিষয়।

রাজশাহীর নাট্যচর্চা নিয়ে এখানকার সংস্কৃতিমনা মানুষ অবশ্যই গর্ব করতেই পারে। আর বর্তমানের নাট্যাঙ্গনের কথা বলতে গেলে অতীতের স্মৃতি একবার আলোচনায় আনতেই হয়। অতীত সবসময়ের জন্য বর্তমানকে শক্তি জোগায় এবং ভবিষ্যতের স্বপ্নও দেখায়। তাই অভিজ্ঞতা অভিব্যক্তির সম্মিলিত উপস্থাপনের সাথেই যে প্রতিভাত হয়ে নানানমুখী শিল্পে পরিগণিত হয়েছে যাপিতজীবনে।তিনিই একজন নাট্যঅভিজ্ঞ এবং নাট্যজন মোঃ তাজুল ইসলাম। চীরসবুজ কিংবা তারুণ্যের প্রতীক রাজশাহীর সকল মানুষের পরিচিত মুখ তাজুল ইসলাম,- 'রাজশাহী থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা পাশাপাশি 'কচিপাতা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠা'। এই চীরশিশু মানুষটি যেন সদা সর্বদাই থাকেন খুব হাস্যোজ্জ্বল চেহারায়। তাঁর কথাবার্তাতে আছে যেন বিনয়ের ছোঁয়া। এ মানুষটি 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়' এর নাট্যকলায় সেরা সম্মাননা, রাজশাহী জেলার 'শিল্পকলা একাডেমী' থেকেও সম্মাননা পেয়েছেন। তাছাড়া বিভিন্ন জেলার নাট্যাঙ্গন থেকেও তাঁকে অনেক সম্মাননা প্রদান করে থাকেন। পাওয়া, আর না পাওয়ার মধ্যেই আক্ষেপ নেই তাঁর। তিনি নাটক ভালোবাসেন, নাটক নিয়েই সারা জীবন থাকতে চান। আনন্দঘন মূহুর্ত তাঁর এজীবদ্দশায় অনেক এসেছে। তিনি নিজে পথেই চলেন। ইউরিপিডিস একজন গ্রীক নাট্যকার বলেছিলেন যে, 'জ্ঞানী মানুষেরা নিজের পথেই চলেন'। তাঁর কথার সাথেই- "মোঃ তাজুল ইসলাম" এর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

খুব অল্প বয়স থেকেই নাট্যজগতের কর্মের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। 'অভিনয় এবং থিয়েটার' নিয়েই যেন মাতামাতি করার পারিপার্শ্বিকতা তাঁর পরিবার তথা সমাজের নানা অভিভাবকদের অনেক প্রশ্রয় ছিল। ছোট, বড় নাটক বা গম্ভীরা, কবিতা, গানসহ নৃত্যকলার বিষয়ে লেখালেখির হাতও তাঁর অনেক ভালো। 'নাটক' নির্মাণের প্রয়োজনটা বোধ করতে শুরু করেছিল যেন 'উত্তর কৈশোরে'। তখন মঞ্চাবতরণের ঝোঁকটা যেন শুধুমাত্রই বিনোদনিত হবার আকাঙ্ক্ষার মধ্যে তরঙ্গতুলে, তাতো তাঁর কখনোই যেন সমাপ্ত হতো না, মঞ্চায়ন বা অভিনয় তখন মনের মধ্যেই অত্যাগহন এক বেদনার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলতে ছিল। তখন তাঁর মনে হতে শুধু করেছে নিজস্ব এক 'থিয়েটার' করতে না পারলে এই জীবন যাপিত হবে কোন উপায়ে? তাই তো তিনি শুধু করেছিলেন রাজশাহী থিয়েটার। এর পরে তাঁর মনে হয়েছিল শিশুকিশোররাও তো নাট্যচর্চার জায়গা খোঁজে, তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করে ছিল' "কচিপাতা থিয়েটার"।

শ্রদ্ধেয় মোঃ তাজুল ইসলাম, নাট্যচর্চার অবক্ষয়ের চরম সীমায় মশাল ধরেছিলেন। চীর প্রাচীন রাজশাহী বিভাগ এর সাংস্কৃতিক সংঘের একটি 'পদ্মা মঞ্চ', সেখানে তিনি অনেক নাটকে অভিনয় সহ নির্দেশনার পাশা পাশি নাট্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন। মঞ্চ হব- মঞ্চায়ন করব- এই রকম ভাসাভাসা কিন্তু অতি তীব্র এক স্রোতের টানে সে সময় ভাসতে শুধু করেছিলেন। তবুও তিনি তলিয়ে যায় নি, আজ অবধি হাল ধরেই আছেন। শিকড় ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না। তেমনি তিনি হচ্ছেন শিকড়ের এক তেজি পুরুষ। রাজশাহীর সংস্কৃতিমনা মানুষদের অবশ্য গর্বের পুরুষ। রাজশাহী শহরভিত্তিক নাট্যচর্চার প্লাটফর্ম বলতে ‘রাজশাহী থিয়েটার’ একটি উল্লেখযোগ্য নাম। থিয়েটার ১৯৯৮ সালেই জন্ম হয়। এখন পর্যন্ত বহু মঞ্চনাটক এবং পথনাটক প্রযোজনা করে যাচ্ছেন মোঃ তাজুল ইসলাম আর অভিনয় করেছেন অনেক নাটকে। তাঁর হাত ধরেই অনেক তরুণ প্রজন্ম অভিনয়, নির্দেশনা দেওয়ার শিক্ষা নিয়ে নাট্যাঙ্গনের খুব বড় পরিসরেই কাজ করছেন। তা ছাড়াও তিনি শিশু-কিশোরদের হাতে খড়ি দিয়ে যাচ্ছেন সেই কচিপাতা থিয়েটারে।

রাজশাহী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে তিনি প্রতিনিয়ত নাট্যকর্মীদের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখার সহিত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। তিনি না থাকলে যে
আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়না। এই নাট্যজন রাজশাহীর গর্বিত পুরুষ বা উজ্জ্বল নক্ষত্র। ভারতবর্ষের নাট্যচর্চা ও তৎপরবর্তী পাকিস্তান পর্বের নাট্য চর্চার পরে এই স্বাধীন বাংলাদেশের নাট্যচর্চার ক্ষেত্রেই "রাজশাহীর সাংস্কৃতিক অঙ্গন" যেন অন্য এক রূপ ধারণ করে। যাঁরা এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল তাঁদের মধ্যে অনেকেই আজ বেঁচে নেই। কিন্তু বেঁচে আছে তাঁদের সৃষ্টি। তমধে 'মোঃ তাজুল ইসলাম এর নাম উঠে আসে। "বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন" এর সাথে জড়িত আছেন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের দুইবার তিনি নির্বাচিত কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য এবং বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাবেক সমন্বয়কারী নাট্যজন তাজুল ইসলাম। তিনি নানাভাবেই যেন সকল অপশক্তি রুখে দিতে, শোষণ মুক্ত সমাজ বা অসাম্প্রদায়িক স্বদেশ গড়ে তুলতেই নাট্য চর্চাকে আরও গতিশীল করার প্রত্যয় সবসময়ে ব্যক্ত করেছেন খুব দৃঢ় চিত্তে।

বঙ্গবন্ধু চত্বর আলুপট্টিতে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা, এরপর মুনস্ গার্ড পার্ক বড়কুঠি মুক্তমঞ্চ, লালন মঞ্চ ও রাজশাহী শহরের ঐতিহ্যবাহী "পদ্মা মঞ্চ" সহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে তাঁর পদচারণা নাহলে যেন নাটক পরিবেশন হয় না। তা ছাড়াও তো- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন সহ রাকসু ভবনে যেসব আলোচনা, নাচ-গান কিংবা আড্ডা চলে সেসব জায়গায় উপস্থিত থেকে নাট্য অতিথি হয়েই শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান ও বিনোদনের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হয়ে থাকেন। রাজশাহীর নাট্য কর্মী-সাংস্কৃতিক কর্মীদের ''বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কিংবা বাংলাদেশ শিশু একাডেমি"র মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি না হলে অনুষ্ঠান চলেই না। সত্যি বলতে কি রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নানা সময় চলে সিটি মেয়র নাট্য উৎসব। সেই নাট্য মঞ্চটাকে সঠিকভাবে নির্মাণ সহ নাটক মঞ্চায়নের উপযোগী করা থেকে 'শুরু কিংবা শেষ' করা পর্যন্ত তাঁর অবদান থাকে।না হলেই রাজশাহীর সাংস্কৃতিকচর্চার মান সত্যিই অনন্য রূপ নেয় না বলেই সবার বিশ্বাস।

এই জীবদ্দশায় এতো কিছু করার পরেও এমন মানুষটি কখনো সখনো হয়ে যান অসুস্থ। তবুও প্রানের জায়গাটি হলো নাট্যাঙ্গন। জানা যায় যে, অসুস্থতা যখন খুব বাড়ে তখন লান্সে ইনফেকসান ধরা পড়ে। উচ্চতর চিকিৎসার জন্য তাকে খুব তাড়াতাড়ি ভারতে নিতে হয়েছে। শ্রদ্ধেয়  তাজুল ইসলাম ভাইয়ের সামনেই যেন ৭৪তম আবির্ভাব দিবস হবে। অনেক সময়ে কেক কেটে ও ফানুস উড়িয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে অভিন্দন জানায়ে থাকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী জননেতা সভাপতি ও সিটি মেয়র জনাব এ.এইচ.এম. খাইরুজ্জামান লিটন সহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেণী ভাবি উপস্থিত থাকার চেষ্টাও করেছেন। "রাজশাহী থিয়েটার"- এর প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার জন্য, উনিই সেখানে বিখ্যাত হন। রাজশাহী থিয়েটার এর নাট্যকর্মীদেরসহ তাঁর কচিপাতা থিয়েটার এর কর্মীরাও ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সকল শিশু, কিশোর, যুবকরা তাঁকে নিয়ে শুভ জন্মদিন পালন করেন। সেখানে রাজশাহী শহরের কিংবা রা.বি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত সংগঠনের নেতা কর্মী'রা উপস্থিত থেকে সারা দিন নাটক-গান-নৃত্য- গম্ভীরা গানের বিভিন্ন আয়োজন করেন। আমন্ত্রণে উপস্থিত সবাই তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে থাকেন। সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ নাট্যজন মো: তাজুল ইসলামের ফুসফুসে আক্রান্ত হয়ে থাকলেও যেন প্রাণচ্ছল মানুষটি আরও সতেজ হয়ে উঠেন, যখন একপাল থিয়েটার বন্ধুরা এসেই খোঁজ খবর নেয়। যাঁরা সাহস জোগালেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জনাব কাজী সাইদ হোসেন দুলাল, ইলা মিত্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী মশগুল হোসেন ইতি, পুঠিয়া থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক: সাগর কুমার, রাজশাহী থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম প্রমুখ।

পরিশেষে বলতে চাই যে এমন তারুণ্যের প্রতীক, শিকড় সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ ব্যক্তিটিকেই ঢাকা থেকে কারগাড়ি নিয়ে শুধুমাত্র তাঁকে দেখার জন্যেই-  এ তরুণ প্রজন্মের 'নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকার' যখন এসে ছিল ঠিক তখনই শ্রদ্ধেয় শিমুল সরকার ভাই আমাকে ডেকে ছিলেন। আমি সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলাম। নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকার তাঁকে  বলেছিলেন তাজুল ভাই প্রস্তুতি নেন, আমি আপনাকে আমার নিজের লেখা ও পরিচালনা একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দিবো। তখন শ্রদ্ধেয় তাজুল ভাই যে কি খুশি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আবার আমিও কোনো এক সময়েই নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকার এর কথার ফাঁকেই বলা যায় কানে কানে বলেছিলাম তাজুল ভাই আপনাকে নিয়ে একটা খুববড় লেখা প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে। উনি বললেন যে, তথ্য চাও তো ঠিক আছে আমার ফেসবুকেই পাবে। অনেকদিন পরে হলেও উনার কথা এবং স্মৃতিকথা আলোচনার প্রচেষ্টা মাত্র।

লেখকঃ
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...