সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হাজারো প্রতিকূলতায় অনলাইন ক্লাস |আমাদের শিল্পসাহিত্য

নজরুল ইসলাম তোফা: সারা বিশ্বসহ পুরো বাংলাদেশে করোনার করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত। থমকে আছে জীবনের গতি। সমস্যা সমাধানকল্পে মানুষ হয়ে পড়ছে নিরুপায়। মৌলিক চাহিদার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাষ্ট্র সহ পরিবার। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ সকল খাতে দেখা দিয়েছে খুব মন্দাভাব। সুতরাং প্রতিটি দেশের মত এ বাংলাদেশও নিজস্ব সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে যেন করোনাকালে জীবনযাত্রা মানটা গতিশীল রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে। যা বলতে তাহলো শিক্ষাখাতেও দেখা দিয়েছে বৃহৎ স্থবিরতা। এ স্থবিরতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাসের বিস্তার ঘটছে অতিদ্রুত গতিতে। প্রাইমারি থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে অনলাইনে ক্লাস চালু করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বহু শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি একেবারেই নতুন। তথাপি বিদ্যমান বাস্তবতার কারণেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের দিকে ঝুঁকছেন। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের যেন দিনে দিনে পড়াশোনাও থমকে গেছে। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, এমন এই করোনা কালের বাস্তবতাতে লকডাউন, আইসোলেশন, হোম কোয়ারেন্টাইন, সোশ্যাল ডিস্টেন্স  ইত্যাদি যে সব শব্দ গুলো ও পরিস্থিতির সাথেই আমরা পরিচয় হয়েছি। তদ্রূপ অনলাইন ক্লাসের সাথেও সবার পরিচয় হচ্ছে। আগে ছিলনা এখন আসছে অনেক কিছু নতুন শব্দ। এই শব্দগুলোকে নিয়েই বিরূপ পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন অনেকেই। বিশেষ করে প্রবীণ শিক্ষক এবং গ্রামাঞ্চলের শিক্ষক বা ছাত্র/ছাত্রীরা। শিক্ষাবিদরা একদিকে যেমন দেখছেন অসম্ভাবনা তেমনি অন্যদিকে সম্মুখীন হচ্ছেন বিভিন্ন সমস্যায়। অনলাইনে ক্লাস নিয়ে নানান জনের ভাবনাগুলো থেকেই উঠে আসছে এভাবে ক্লাস নিয়ে তেমন লাভ হবে না। বলা যায় যে, শুভঙ্করের ফাঁকি! তবুও শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে না পড়ে, সেটাই সকলের উদ্দেশ্য বা বর্তমান সরকারের সুচিন্তা। সুতরাং  এজন্যই না পাওয়ার চেয়েও কিছুটা পাওয়া যাবে বলেই অনলাইনে ক্লাসের গুরুত্বের কথা ভাবছেন। 


সমস্যা হলো যে অনলাইনে পাঠদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যালেন্স, নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট ডিভাইসের প্রয়োজন অত্যাবশ্যক। তা বহু ছাত্র/ছাত্রী এবং শিক্ষকদের কাছে নেই। বিশ্ববিদ্যালয় এবং শহরের কলেজের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগের ইন্টারনেট ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল এবং ল্যাপটপ হয়তো থাকে। তবে নেটওয়ার্কের সহজলভ্যতা নিয়ে গ্রামাঞ্চলে বহু ঝামেলা রয়েছে। যাদের ইন্টারনেট ডিভাইস নেই, তাদের জন্যে ডিপার্টমেন্টভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে হয়তো কিছুটা উপকৃত হবে। আরও একটা কমন শেয়ার ড্রাইভও জরুরি যেখান থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ডকুমেন্ট গুলোকে ডাউনলোড করে নিতে পারে। সবার কথাকে চিন্তা করতে হবে। ইন্টারনেট ব্যালেন্স ক্রয় করাটাও এখন অনেকের জন্যেই কষ্টকর। সে দিকেও একটা ভাল সিদ্ধান্ত থাকা দরকার বলে মনে করি।



জানা দরকার যে,সরকারী হিসাবে বাংলাদেশে প্রায় ৬৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭ হাজারের মত মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২হাজার ৫শত কলেজ আছে, তার মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৫ কোটি। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত করা একটি বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। দেশের অনেকগুলো এলাকায় ইন্টারনেট কিংবা টিভির আওতায় নেই। তাই, অনেকেই যেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বা অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম হতে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার একজন ছাত্রের নিকট থেকে জানা, অনলাইনে যেহেতু অনেকগুলো ডিভাইসের মাধ্যমেই ছাত্র/ছাত্রীরা লগ ইন করছে, তাই এত গুলি যন্ত্রের শব্দের ফলে তৈরি হচ্ছে প্রচন্ড নয়েস। তাই অনলাইন ক্লাসের জন্যে জরুরি স্মার্টফোন/ল্যাপটপ/ট্যাব নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে কি না তা অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের এককালীন সুদ বিহীন ঋণদান কিংবা ঋণ এবং কিস্তিতে ল্যাপটপ/ট্যাব/স্মার্টফোন কেনার সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি ছিল। যা করাই হয়নি। কিছু দিন আগেই প্রকাশিত ডেটা প্যাকেজের মূল্য বিচারে সারাবিশ্বের চেয়ে বাংলাদেশের মূল্য অনেক বেশি। করানোর এমন সময়েই শিক্ষার্থীদের 'পার্টটাইম আয়ের অংশ বন্ধ' হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ বর্তমানে আর্থিক সংকটে রয়েছে। তার ওপর ডাটা প্যাকেজ কেনার নাই সামর্থ্য। নতুন বাজেটে 'মোবাইল সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধি' করাতেই যেন ইন্টারনেটের খরচ আরো ৫% বাড়িয়ে দিয়েছে।


খুব কাছেরই এক শিক্ষক তিনি প্রকাশে অনিচ্ছুক, তিনি শিক্ষার্থীগুলোকে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত করাতে না পেরে বলেন, একাধিক সমস্যা তুলে ধরেই 'ছাত্র/ছাত্রীরা' ক্লাস মুখী হচ্ছে না। অনলাইনের ক্লাসটি এক প্রকার অসম্ভব। তিনি আরো বলেন যেখানে কোন অপারেটর তাদের ৬৪ জেলাতে নেটওয়ার্ক কাভারেজ করতে সক্ষম নয়। আর ২ জি দিয়ে ফেসবুক চালাতে বহু কষ্ট হয়। তাতে ৩/৪জি নেট ছাড়া লাইভ ক্লাস সম্ভব হয় না। তাছাড়াও খুবই বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেব উচ্চ মূল্যের ইন্টারনেট। আবার বহু জনের ভালো মানের মোবাইল নেই, যাদের যা আছে তা হ্যাং হয়ে যায়। অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন বাসায় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা কিংবা বিভিন্ন ডিভাইস চালানোর দক্ষতা না থাকা, ইন্টারনেট না থাকা বা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না পাওয়ার দরুণ ক্লাসের ব্যর্থতা নেমে আসে। এমতাবস্থায় কিকরে ক্লাসের পরিপূর্ণতা ফিরিয়ে আনবেন, তা নিয়েই তো শিক্ষক-ছাত্র-অভিভাবক এবং সরকারের সকল মহল দিশেহারা। অনলাইনে ক্লাস শুধু তাত্ত্বিক পাঠদান সম্ভব হচ্ছে কিন্তু ব্যবহারিক ক্লাসটা না হওয়ার অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। শুধু মাত্র পরীক্ষার বৈতরণি পারি দিয়ে সেশনজট মোকাবেলা করাটা সম্ভব এছাড়া ব্যবহারিক ক্লাস দিয়ে শিক্ষার্থীর কখনোই সুফল বয়ে আনবে না।  মানসম্মত শিক্ষার ঘাটতি থেকে যাবে। বলতেই হয় যে, চারুকলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ ক্লাসই হাতে কলমে ধরে ধরেই বারবার শিক্ষা দিতে হয়। এখানে ব্যবহারিক এক একটা ক্লাস ৫/৬দিন ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবেই চলে। আবার মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা যদি হাতে কলমে শিক্ষা না নেয় তাহলে শুধুই সার্টিফিকেট অর্জন হব। তাদের নামের সাথেই একজন ডাক্তার যুক্ত হবে কিন্তু তারা স্বস্ব কর্মক্ষেত্রে যেন অদক্ষ থেকে যাবে। এ দেশে এমন বেশ কিছুটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের শিক্ষা কার্য ক্রমে বারবার হাতে ধরিয়েই প্র্যাকটিস করাতে হয়, মুখের কথার গুরুত্ব খুবই কম।


এমতাবস্থায় এ অনলাইনে ক্লাস বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনাবিহীন যাত্রাটা অবশ্যই সংকটময়। সামাজিক ভাবে এমন অবস্থা আরও যেন বৈষম্যময় করে তুলছে। যা কিনা শিক্ষার্থীদের এক বড় অংশের 'অনলাইন ক্লাস' অনিশ্চিত করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চরিত্রের সঙ্গে বা চারুকলা কিংবা মেডিকেল চরিত্রের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। আবার শিক্ষাক্ষেত্রে নানান বৈষম্যের বিষয় আলোচনায় এলেই অনেক শিক্ষকরা "ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো" রয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের চাপেও কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই সীমিত সক্ষমতা নিয়ে ক্লাস শুরু করেছে কেউ কেউ। আসলেই এইদেশে অনলাইন ক্লাসের জন্যে  প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হয় নি। তাই সবাই   সীমিত পরিসরেই চালাতে চাইলেও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন সেটাও অনুপস্থিত আছে। তাছাড়াও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগই শিক্ষার্থীরা যেহেতু প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে সেহেতু বলা যায় 'নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট' সেবার বিষ উপেক্ষিত রয়েছে। চারুকলা অনুষদ কিংবা চারুকলা কলেজের ব্যবহারিক এবং বিজ্ঞান অনুষদের ল্যাবভিত্তিক ক্লাস এখানে অনুপস্থিত। এছাড়াও বিজ্ঞান অনুষদের ফলিত বিভাগগুলো শুধু থিওরিভিত্তিক ক্লাস করছে। একই অবস্থাতে রয়েছে চারুকলা অনুষদ এবং  কলেজ। শুধুই লেকচার দিচ্ছে তার বাইরে প্রাকটিক্যাল ক্লাসের যে প্রয়োজনীয়তা তা একেবারে যেন অনুপস্থিত আছে অনলাইন ক্লাসে। এছাড়াও সকল স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের ক্লাস রুমের বাইরে যে পড়ার আবহ থাকে সে বিষয়ে কোনোই ইঙ্গিত নেই। তাই এই করোনাকালেই ছাত্র/ছাত্রীরা 'ডিজিটাল লাইব্রেরির' সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছ। ক্লাসের বাইরে ম্যাটারিয়ালস দেওয়া ও শিক্ষার্থীদের লজিস্টিক সাপোর্টের বিষয়টিও আমলে নেওয়া হয় নি। সুতরাং, অনলাইনে ক্লাসটা যেন শুভঙ্করের ফাঁকি!


একটা সময় ছিল যখন ফোন এবং ল্যাপটপে মুখ গুঁজে থাকলেই জুটত কেবল বকুনি। কিন্তু এই করোনা বিপদে  বা সঙ্কটে সন্তানদের মা-বাবারা খুব কষ্ট করেই মোবাইল কিনে দিচ্ছে। কোথাও চলছে 'ভিডিও কনফারেন্স' এবং  কোথাও আবার হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ বা কোথাও নানান অ্যাপ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী কিংবা শিক্ষকদের ব্যতিব্যস্ততা। শহরের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাসে পাল্লা দিচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকার নানান স্কুল কলেজও। বর্তমান সরকার সংসদ টিভিতে খুব নিয়মিতভাবে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্যে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করছে। এদিকে আশার খবর অনলাইনে ক্লাস শুরু করার জন্যে সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেন জুম অ্যাপসের মতোই নিজস্ব একটি 'অনলাইন প্লাটফর্ম' তৈরির চেষ্টাও করছে। যাতে করে শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষা কার্যক্রমকে সেই অ্যাপসের মাধম্যেই যুক্ত করা যায়। এতে করে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন পাঠদান প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়া সম্ভব হবে। আবার শিক্ষাবর্ষের মেয়াদটা বৃদ্ধি করা হবে এ কথাও বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ দেশের শিক্ষার্থীর পড়া শোনাকে গতিশীল রাখার জন্যই ''শিক্ষা মন্ত্রণালয়'' অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকেই যেন 'আদর্শ' মানছে। আবার যেন এটাও বলেছে, "সু-শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় অনলাইন মাধ্যমে দেখা দিয়েছে বেশ কিছু সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা।


তবুও আমরা একটি সুস্থ বিশ্বের, একটি সুস্থ পরিবেশের স্বপ্ন দেখি। আমরা স্বপ্ন দেখি জ্ঞান বা সু-শিক্ষা'র একটি আলোকিত বাংলাদেশের। একসময়েই করোনার দুঃস্বপ্ন থেমে যাবে। তার আগের সময় টুকু ভালো কিছু করবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে। এক্ষেত্রে বহু সমস্যা, সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অনলাইন ক্লাসের দিকে ঝুঁকতে হবে। বিদ্যমান সমস্যা ও অসুবিধা গুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠে, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যেই হোক এবং করোনা কালিন মুহূর্তের জন্যই হোক অতিদ্রুত অনলাইন ক্লাসটাকে 'শিক্ষা ও শিক্ষার্থী বান্ধব' করে তুলতে হবে। এমন করোনা পরিস্থিতি কিযে হয় তা কেউ জানেনা। তাই এই পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাসের অন্যতম সফলতা হলো, দীর্ঘদিন 'গৃহবন্ধি থাকা' অনেক  ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনার সাথে যুক্ত থাকতে পারছে।


তাই আপাতত ভালোয় মন্দয় মিশিয়েই চলছে অনলাইন ক্লাশ। বহু সমস্যা আছে, তবে এটার প্রয়োজনও আছে, যা অস্বিকার করা যাবে না। আশা করা যায় ধীরেধীরেই এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। অনলাইনে ও অফলাইনে স্বেচ্ছামূলক কাজ করার প্রতি শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদেরকে আগ্রহী করে তুলতেই পারেন বর্তমানের সরকার। তাছাড়া দৈনন্দিন কাজে ব্যবহূত জরুরি অ্যাপ ও সফটওয়্যার শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের জন্যে বিশেষত এটা হয়তো শ্রেষ্ঠ সময়, যা তার 'স্কিল বৃদ্ধিতে সহায়ক' হতেও পারে। শত শত প্রতিকূলতায় ডিজিটালাইজেশনের পথে যাত্রার প্রথম ধাপ। যুগের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকায়ন গ্রহণ করে নিয়েই অনলাইন ভিক্তিক কর্মকাণ্ড সমূহ এগিয়েও নিয়ে যেতে পারে সম্মুখ যাত্রায়। অনস্বীকার্য, অনলাইন ক্লাসের বদৌলতে দূরত্বের কারনেই যে কোর্সগুলো করা সম্ভব হচ্ছিল না তা হয়েছে সহজলভ্য। অনেক শিক্ষার্থী এ সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে সারা বিশ্বের নামি-দামি বিদ্যাপীঠ হতে নিয়মিতভাবে কোর্স করে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে। সুতরাং মন্দের ভালো এই অনলাইনের ক্লাস। দোদুল্যমান সমস্যা দূরীকরণেই "বর্তমান সরকার" যেগুলো বৃহৎ পদক্ষেপ নিয়েছে তারমধ্যেই অনলাইনের ক্লাসটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। যদিও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার প্রযুক্তি 'আছে বা নাই' তার বৈষম্যের মাত্রা অনেকটা মারাত্মক। তবুও, একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে অন্যান্য পড়া শোনা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্যসহ বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে অধ্যয়ন করার জন্য এমন অনলাইন মাধ্যম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।


লেখকঃ নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...