সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মানবতার কল্যাণে বিজয়ের ইতিহাস স্মরণীয় হোক |আমাদের শিল্পসাহিত্য

নজরুল ইসলাম তোফা:: আজকের এ বাংলাদেশটিকে স্বাধীনের পিছনে প্রতীকিভাবেই চলে আসে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদের রক্তে রাঙানো শহীদ মিনার, অসাম্প্রদায়িকতা,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইত্যাদি। এমন বিষয়গুলো আজকে প্রতীকিভাবেই প্রকাশ করানোর মাঝে বেঁধেছে সংঘাত। এই দেশের স্বাধীনতার পিছনে এমন কিছু বৃহৎ শক্তিগুলোর অবদানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। সুতরাং অসাম্প্রদায়িকতার বাংলাদেশে দিনে দিনেই সাম্প্রদায়িকতার তান্ডব যেন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সব ভিন্ন মনোভাব পোষণকারীদের এবং মতাবলম্বীদের গুরুত্ব দিয়েই যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কি়ংবা সংস্কৃতির আজ বিলুপ্তির পথে। 'মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধা  ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের গর্ব" এবং অহংকার'। এ মুুুক্তি যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা আজকে পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বলতেও পারি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ, আর তা দিনে দিনেই এসে দাঁড়িয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ।



১৯৪৭ সালে ব্রিটিশের নিকট থেকে এই দেশের জনগণ স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পাকিস্তানের দুই প্রদেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ইস্যু নিয়েই সম্পর্কের অবনতি ঘটে, সেগুলোর মধ্যে কিছু তুলে ধরা যেতে পারে যেমন ধরুন ভূূমি সংস্কার, রাষ্ট্র ভাষা, অর্থনীতি এবং প্রশাসনের কার্য ক্রমের মধ্যে যেন দু'প্রদেশের অনেক বৈষম্য, প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসন, পূর্বপাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও নানাধরনের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংঘাত সৃষ্টি হয়। মূলত 'ভাষা আন্দোলন' থেকে বাংলাদেশের মুুুক্তিযুদ্ধের নানা পটভূমি তৈরি হতে থাকে। একটু জানার চেষ্টা করি যে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকেই 'স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা' বলা যায়। এ বাঙালিরা ১৯৫৪ সালের ''নির্বাচনে জয়ী'' হওয়ার পরেও তারা ক্ষমতা পেয়ে পূর্বপাকিস্তান বা পূর্ববাংলাকে শাসন করার অধিকার পায়নি। ঠিক তখন পূূর্ববাংলার জনগণ মূলত “২১-দফা” প্রণয়ন করে জনগণকে সংঘ বদ্ধ করে রাজনৈতিক আন্দোলনের চিন্তা ভাবনা শুরু করে। আর ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে গিয়েও আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, সেখানেই 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে' পাকিস্তানের সেই সামরিক এবং বেসামরিক নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের জননেতা- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হয়নি কিংবা অস্বীকার করেছে। তাইতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তার প্রতিবাদে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক  দিয়েছিল। তিনি ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বা বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জন-সমুদ্রে ঘোষণা করেছিল, ''এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,.. এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তারই ঘোষণায় সাধারণ মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এরপরে ১৯৭১ এ ২৬ মার্চে আবার বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিলে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মুুুক্তি যুদ্ধে অংশ নেয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্ত ক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয় সূচিত হয়। অর্জিত বাংলার স্বাধীনতা। ২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর দুটি দিবস কিংবা দিনকে বুঝতে বা বুুঝাতে হয়তো বা অনেকেরই সমস্যা হয়। '‘স্বাধীনতা দিবস'’ ২৬ মার্চ আর ‘'বিজয় দিবস'’ ১৬ ডিসেম্বর এ দুটি দিবসকে গুলিয়ে ফেলি। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসটাকে নিয়ে বহুজনেরই উলটাপালটা হয়। পেপার পত্রিকাতেও    এ ভুল অনেকের চোখে পড়ে। দু'জায়গার কথাগুলোকে গুলিয়ে ফেলেই একাকার করে দেয়। পরিস্কার ধারণার আলোকেই বলতে হয়,- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসটা হচ্ছে ২৬ মার্চ তারিখে পালিত হওয়া এক জাতীয় দিবস, এইটিকেই ১৯৭১ সালের '২৫ মার্চ' রাতে তৎকালীন- পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবেই যেন স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। আর সেই মুহূর্তের রাতের পর দিনটি আসে ২৬ মার্চ, আর সে দিনটাকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা দিবস বলছেন। আরো পরিষ্কার ভাবেই বলতে চাই,- ২৬ মার্চের রাত বারোটা থেকেই এ দেশের জনগণ স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছে। কারণটা হলো যে, ১২টার পর মুহূর্তে পূর্ব পাকিস্তান কিংবা এ বাংলাদেশের জমিনে যতধরণের পাকিস্তানী সেনারা ছিলো তারা যেন হয়েই গেলো 'বিদেশী হানাদার শত্রু বাহিনী' এবং তাদের নিজস্ব এই জন্মভূমির মাটি থেকে তাড়াতে যে যুদ্ধ শুরু হলো- সেটাই হচ্ছে 'মুক্তিযুদ্ধ', স্বাধীনতার যুদ্ধ একথাটা- “একটু ভুল”। আর ‘২৬ মার্চ’- থেকেই যদি আমরা শুরুর প্রক্রিয়াতে স্বাধীন না হই তাহলে, মুক্তিযুদ্ধটা কিন্তু আর- 'মুক্তিযুদ্ধ' থাকে না, পাকিস্তানের সঙ্গে গৃহযুদ্ধ হয়ে যায়। সুতরাং, এমন বিদেশী দখলদার বাহিনীদের সহিত দীর্ঘ- ”নয় মাস” আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশে ‘বিজয়’ আনে, তাই তো আমরা পেয়েছি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস।



এ পৃথিবীতে মাত্র দুইটি দেশ- "স্বাধীনতার ডাক বা কথা'' ঘোষণা দিয়েই দেশ স্বাধীন করেছে। এ 'বাংলাদেশ আর আমেরিকা'। সেই হিসাবে ২৬ মার্চ থেকেই এ বাংলাদেশ স্বাধীন, তা অবশ্যই সাংবিধানিক ভাবেই প্রতিষ্ঠিত, এটা নিয়ে আদৌ তর্কের কোন অবকাশ নেই। বলা প্রয়োজন যে, পাকিস্তানের শাসকরাই চেয়ে ছিল ক্ষমতা সব সময় পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে থাকুক। সুতরাং তারা যেন দিনে দিনে পূর্ব পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের মানুষকে যাঁতা কলে বন্দি রাখার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।পূর্ব পাকিস্তানের ‘পাট’, ‘চামড়া’ বা ‘চা’ রপ্তানি করেই যে বিদেশি মুদ্রা আয় হতো- তা পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন কাজে চতুরতার সঙ্গে তারা ব্যয় করতো। পূর্ব পাকিস্তান এর চাষ করা ফসলের বাজার দাম পশ্চিম পাকিস্তানেই অনেক কম আর পূর্ব পাকিস্তানে অনেক বেশি। এই সব অসংখ্য তথ্য রয়েছে। যা পূর্ব পাকিস্তান এবং আজকের বাংলাদেশের সকল জনতা মেনে নিতে পারেন নি। আর ভেতরে ভেতরে যেন একধরনের ক্রোধ সৃৃষ্টি হয়েছিল এ দেশের জনগণের। সারা পূর্ব পাকিস্তান বা আজকের এ দেশ তখন মিছিলের নগরী হয়েছিল। 


১মার্চ পাকিস্তানের সেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেব জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার পরে বিভিন্ন কাজে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান মুখোমুখি অবস্থানেই দাঁড়িয়ে যায়। পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠির মুখোশ উম্মোচিত হয়। পূর্ববাংলার জনসাধারণ বুুঝতে পারে এইবার তারা আলাদা জন্ম ভূমি গড়তে পারবে। এ দেশের পরিস্হিতি যদিও আয়ত্তের বাইরে চলে যায়, তবুও ৩ মার্চে ঢাকাতে 'কারফিউ জারি' করে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছিল। এই খবর বাংলার জনতা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বাইরের যারা তাদেরও যেন দেশের জন্য উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছিল। আর সেই সময়ে মিছিলমিটিংয়ের নতুন গতি পেয়েছিল। আবার ২মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এদেশের পতাকা ওড়িয়েছিল ডাকসুর ভিপি, আ স ম আব্দুর রব আর ৪মার্চে ঢাকায় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিল ছাত্রলীগ নেতা, শাহজাহান সিরাজ। তার ভিত্তিতেই বলা যায় এই দেশে কারফিউ হয়ে ছিল। আসলেই মার্চ থেকে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলকভাবে আলোচনা করার ইচ্ছা থাকলেও অল্প পরিসরেই তা সম্ভব হচ্ছেনা। তবুও বলি এদেশটা পাওয়ার উদ্দ্যেশে আওয়ামীলীগের ডাকেই সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত জোরদার ভাবে হরতাল পালিত হয়েছিল।


জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশনায়- দুপুর আড়াইটা থেকেই বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অতি জরুরি কাজ করার জন্যে সরকারি বেসরকারি অফিস কিংবা ব্যাংক খোলে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। তাছাড়াও তিনি জরুরি সার্ভিস, হাসপাতাল, ঔষধের নানান দোকান অ্যাম্বুলেন্স সহ সংবাদ পত্র এবং সংবাদ পত্রের গাড়ি, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন এইগুলো সেই হরতালের বাহিরে রেখে ছিল। এক কথায় বলতে গেলে, জাতির জনক "বঙ্গবন্ধু" যা যা বলেছিল তাই ঘটেছিল। তার নির্দেশে পূর্ববাংলার সকল জনতা একীভূত হয়ে এই দেশটি স্বাধীন করেছে। আরো জানা দরকার, ৬ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ‘ইয়াহিয়া খান’ রেড়িওতে জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দেয়। এতেই ”২৫ মার্চ” জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে বসার ঘোষণা ছিল। আর তার সঙ্গে বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, এক প্রকার হুমকি বা ধমক দিয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তা একেবারেই যেন সহ্য করতে পারেননি, তিনিও ৭ মার্চের ভাষণেই তার অনেক জবাব দিয়ে ছিল। আবার ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আমাদের পূর্ব পাকিস্তান আসে এবং ১৬মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সে বৈঠকে কোনো কাজ না আসলে বঙ্গবন্ধু- ''শেখ মুজিবুর রহমান" বাংলা ছাড়ার ডাক দেন। ক্ষুব্ধ 'ইয়াহিয়া' রাগেই যেন ফোঁস ফোঁস করে। এ ধরনের আরো অনেক বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু কোনো প্রকার কাজ হয়নি। অনেকাংশে তাদের কাল ক্ষেপণের মধ্য দিয়ে যেন পশ্চিম পাকিস্তান থেকেই- গোলা বারুদ, সৈন্য-সামন্ত বাংলার জমিনে খুব দ্রুত গতিতে আসতে থাকে। তখনই পূর্ববাংলার মানুষরা যুক্তিতর্কের উর্ধ্বে উঠেই যেন স্বাধীনতা অর্জনের নেশায় উম্মত্ত হয়ে যায় এবং যার যাছিল গাইতি, বল্লম, রামদা, বর্শা, লাঠি এই গুলো নিয়েই রাস্তায় নেমে পড়ে। সুতরাং তারাই তো আমাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’, তাঁরা এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে।


বাংলাদেশের “স্বাধীনতা সংগ্রাম” ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং শোষণের বিরুদ্ধে। ১৮ মার্চ এক অসহযোগ আন্দোলনে ১৬ দিনেই তারা "পদার্পণ করে"। এ আন্দোলনের ঢেউ গ্রাম হতে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। সংকটাপন্ন অবস্থায় এইদেশ, যুদ্ধ চলছে, চলছে লাশের মিছিল। ২০ মার্চ জয়দেবপুরের রাজ-বাড়ীতেই অবস্থিত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি দক্ষ 'ব্যাটালিয়ন' তাদের হাতিয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রকে 'নস্যাৎ' করে দেয়। তারপরে শহর হতে গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা সবাই মিলে টঙ্গী এবং জয়দেবপুরের মোড়ে একটা ব্যারিকেড গড়ে তোলে নব নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের সদস্য, মোঃ শামসুল হকের নেতৃত্বে। ২২ মার্চে শহর হতে গ্রাম পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য বাঙালী সংগ্রামে গর্জে ওঠে। এমন ভাবে যতই দিন রাত অতিবাহিত হচ্ছিল, ‘'রাজনৈতিক সঙ্কট'’ ততই গভীরতর হয়ে যাচ্ছিল। এর পরে আরও আসে, ইতিহাসের একটি ভয়ালতম কালোরাত্রি। সে কালো রাতটা যেন বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে আতংকের রাত। পশ্চিমপাকিস্তানের সামরিক সরকার থেকে গণ হত্যার নির্দেশ আসে। তখন ব্যাপক পরিমাণেই পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের সমাগম ঘটে। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নির্বিচারে গণ হত্যা শুরু হয় এমন রাতে। ২৫ মার্চ কালো রাত ও অপারেশন সার্চলাইট অপারেশনে নেমেছিল সেই কুচক্রী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যেন নির্বিচার হত্যার সাথে সাথেই জ্বালাও পোড়াও স্বাধীনতাকামী বাঙালীর কণ্ঠস্বরটাকে বুলেট দিয়ে চিরতরে স্তব্ধ করার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এ অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিলো ইপিআর (“ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস”, বর্তমানে বিজিবি) ও এই দেশের পুলিশ সহ বাঙালী সেনা সদস্যদের নিরস্ত্র করা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ আওয়ামীলীগ এর নেতা এবং গুরুত্ব পূর্ণ ১৬ জন ব্যক্তির বাসায় হানা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। জ্বলছে ঢাকা আর মরছেও বাঙালী'রা। একই সাথে শুরু হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার প্রথম প্রহর। এ ভাবেই ‘'মুক্তিযুদ্ধ'’ চলতে চলতে যখন হানাদার পাকবাহিনী বুঝে গেল পরাজয় তাদের অনিবার্য তখনই তারা এ পূর্ব বাংলাকে মেধা-শূন্য, পঙ্গু, কিংবা নেতৃত্বহীন করার জন্যই ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার, আল-বদর, আল -শামস বাহিনীর সহযোগিতায় অন্ধকার রাতে হত্যা করে  বহু সংখ্যক অধ্যাপক, প্রকৌশলী, ডাক্তার, আইনজীবী, শিল্পী বা কবি-সাহিত্যিকদের। তথ্যের আলোকেই প্রথম সারির দু শতাধিক বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে হত্যার মাধ্যমে ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচনা করে ছিল।এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই প্রায় দুই লাখ মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে এই 'স্বাধীনতা'৷ আবার বহু জন তাঁদের মূল্যবান ধনসম্পদকেও হারিয়ে ছিল। ‘অগ্নি সংযোগ’, ‘নারী ধর্ষণ’, ‘গণহত্যা’, ‘সংঘর্ষ’ কিংবা ‘হামলা’, আর লুটতরাজের মতো অনেক অপ্রীতিরক ঘটনা-ঘটে যাওয়ার পরও বাঙালির চেতনায় যেন স্বাধীনতা ছিল।



ইশতেহারে বলাই ছিল, আজ থেকেই “স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ” এমন ঘোষণার কথাটা পূর্ণবাংলার মানুষের প্রাণশক্তি, আর তাইতো ৫৪ হাজার বর্গমাইলের ৭কোটি মানুষের আবাস ভূূমির নাম হবে বাংলাদেশ, এতে‌ আজ বাঙালি গর্বিত। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের পর যুদ্ধ সুকৌশলে চালিয়েই পাক-বাহিনীর আত্ম সমর্পণের মধ্য দিয়েই ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় করেছে। সুতরাং, অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন বাংলাদেশের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হয়ে ছিল বাঙালি জাতির মুল কর্ণধার। সারাবিশ্বের দরবারে বা মানচিত্রে সংযোজিত হয়েছে 'নতুন ও স্বাধীন' এদেশ, ''গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ''। এই বাংলার জনপ্রিয় নেতা,- ''বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান" জেল থেকে বাহির হয়েই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল আর তিনিই এ দেশের স্থপতি, তাকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখার জন্যেই প্রতিকী ভাস্কর্য নির্মাণ করা জাতির কাছে হবে অনেক গর্বের বিষয়। তাছাড়াও তরুণ প্রজন্ম আগামীতে মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করায় হয়তো বাধাগ্রস্ত হবে। ভুলে গেলে কি চলবে, তিনিই ছিলেন সকল জাতি‌ পেশার একজন‌ অসাম্প্রদায়িক নেতা। সুতরাং যুুুুগেযুগে এমন কালজয়ী সর্বশ্রেষ্ঠ মহানায়কের হাত ধরে অর্জিত হওয়া "লাল সবুজের জাতীয় পতাকা" এবং তাঁর ভাস্কর্য অক্ষন্ন রাখা আমার, আপনার অসাম্প্রদায়িক চেতনাতে লালন করা উচিত। 


লেখক: 

নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...