সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অশ্লীলতাকে বর্জন করে যথার্থভাবে ইউটিউব চ্যানেল পরিচালিত হোক - নজরুল ইসলাম তোফা |আমাদের শিল্পসাহিত্য

বর্তমানে সারাবিশ্বের ঘরে ঘরে বিনোদনের জন্য অনেকেই পছন্দের তালিকায় রেখেছে ইউটিউব। ইউটিউব মুলত নানা প্রকারের ভিডিও প্রচার কিংবা প্রকাশনার এক বৃহৎ ওয়েবসাইট। দেখা যায় যে, এমন প্রক্রিয়ায় কোটি কোটি মানুষ এখন ভিডিও নির্মাণ ক্লিপ ইউটিউবে দিচ্ছে। সেখানে সব সময় চলমান থাকে  শিক্ষা মূলক নানা অনুষ্ঠান, ডকুমেন্টারি, টিউটোরিয়াল, গান, নাটক, সিনেমা, কৌতুকসহ কৌতুকমূলক নাট্যাংশ থেকেই বিভিন্ন ধরনের রান্না, ভ্রমণ, ঐতিহ্য পূর্ণ স্হানের পাশাপাশি নানা ধরনের ৫০০ কোটি ভিডিও এক দিনেই দেখা যায় ইউটিউবে। বিস্ময়ের শেষ এখানেই নয়। প্রতি মিনিটে এখানে আপলোড কিংবা যোগ হচ্ছে প্রায়- ৩০০ ঘণ্টার ভিডিও। প্রায় ১৩০ কোটি খুব সাধারণ মানুষ সহ অভিজ্ঞ মানুষ'রা ইউটিউব ব্যবহার করেন। এই জনপ্রিয় মাধ্যমে ভিডিও নির্মাণ এবং প্রচার প্রচারণা যারা করেন তাদেরকে যেন ইউটিউবার বলছেন। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ গুগল মানসম্পন্ন কিংবা জনপ্রিয় ভিডিও গুলোর জন্যে নিবন্ধিত ইউটিউবারগনরা 'অর্থমূল্যেও পুরস্কৃত' হচ্ছেন। বছর না ঘুরতেই কোটিপতি বনে যাচ্ছেনও কেউ কেউ। কিন্তু দুঃখের বিষয়টা হচ্ছে, আমাদের বাংলাদেশে কিছু ইউটিউবার'রা অসৎ উপায় অবলম্বন করছেন। তারা সে স্বপ্নে বিভোর হয়ে অশ্লীলতার পথে পা বাড়িয়েছেন।

 
ইউটিউব সান ব্রুনো, ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত একটি মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তারা নির্বুদ্ধিতা পরিচয় দিচ্ছেন। দু্ঃখ হয় যে,- বর্তমানে মানুষদের ভিডিও দেখা মানেই 'ইউটিউব'। এমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, তাদের মোবাইল আছে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা ইউটিউবের প্রোগ্রামগুলি দেখেন না। কেউনা কেউ যেকোনো ধরনের শিক্ষা, খেলা-ধুলা, বিনোদন, সংবাদ, প্রযুক্তি, সাজসজ্জা, রান্না ও ভ্রমণ থেকে শুরু করে প্রায় সবধরনের ইউটিউবের ভিডিওতে দেখেন। ভালোমন্দের সমাহারে এগিয়ে যাচ্ছে ইউটিউব। কিন্তু আমাদের দেশে তরুণ প্রজন্মের ছেলেরা ভিডিও ক্লিপ নির্মাণে শুধুমাত্রই অশ্লীলতা খোঁজছেন। ইউটিউবে প্রকাশ করলেই তাদের 'অশ্লীলতার ছড়াছড়ি'। শিক্ষা-বিনোদনের নামে পরিবার থেকে অনুমতি নিয়েই নোংরা পথে হাঁটছেন। এক অনন্য মাধ্যম যদি হয় ইউটিউব তবে সেখানে নির্মাতাদের বাবা মাকে দৃষ্টি রাখা উচিত। এমন অশ্লীল নির্মাতারাই তাদের প্রিয়জন ও বাবা মাদের ভুল বুঝিয়ে বা অর্থ উপার্জনের সফলতার পথ শুনায়ে শুটিং স্পটে নোংরামি করছে। এ জনপ্রিয় মাধ্যম অর্থ দিলেও তারা অশ্লীলতার উপর ভর করে সমাজ পরিবেশকে নষ্ট করছে। যেকোনো সরকার   ক্ষমতায় থাকুক না কেন, সেই সরকারসহ এই সমাজের সামাজিক সচেতন ব্যক্তিরা তরুণপ্রজন্মকেই সচেতনতা কথা বুঝাতে হবে। ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করেই যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় তেমনি অনেক আয়ও করা যায়। তার মানে স্বাধীনতা পেয়েই কি নোংরামি করবেন। আপনার কি সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই।


ইউটিউব ব্যবহারকারীদের আপলোড দেওয়া বা দেখার সুযোগ প্রদানসহ তাকে মূল্যায়ন করা, শেয়ার, প্লেলিস্টে যুক্তকরণ, রিপোর্ট, ভিডিওগুলিতেও মন্তব্য করা কিংবা অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সাবস্ক্রাইব করার খুবই সুবিধা প্রদান করেছে। এই ইউটিউব ব্যবহারকারী-উৎপাদিত ও কর্পোরেট মিডিয়ায় ভিডিও গুলো যেন একটি বিস্তারিত উপস্থাপন প্রদান করে। উপলভ্য সামগ্রীর মধ্যেই ভিডিও ক্লিপ, মুভি ট্রেলার, টিভি শো ক্লিপ, স্বল্পদৈর্ঘ্য বা প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, অডিও রেকর্ডিং, সঙ্গীত ভিডিও, ভিডিও ব্লগিং ও লাইভ স্ট্রিম, স্বল্পদৈর্ঘ্য মূল ভিডিও কিংবা শিক্ষামূলক ভিডিওর মতো অন্যান্য সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত আছে বলে এই  ইউটিউবে বেশিরভাগ সামগ্রী ব্যক্তিগতভাবে আপলোড করা যায়। তবে ভেভো, বিবিসি, সিবিএস কি়ংবা হুলুসহ মিডিয়া কর্পোরেশন সমূহ 'ইউটিউব' এর অংশীদারিত্বের প্রোগ্রামে অংশ হিসাবেই তাদের কিছু উপাদান ইউটিউব এর মাধ্যমে সরবরাহ করে। এইখানে যিনি ইউটিউব এর নিবন্ধিত বা ব্যবহারকারী তারাই কেবল মাত্র এ সাইটেই ভিডিও দেখতে। তবে তাদেরকে কোনোকিছু আপলোড করার সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় নাই। আর যা পারবেন, তা হলো নিবন্ধিত ব্যবহারকারীদেরও 'সীমাহীন সংখ্যক' ভিডিও আপলোড সহ বিভিন্ন ভিডিওতেই মন্তব্য করার অনুমতি। আবার বয়স-সীমাবদ্ধ এমনধরনের বেশকিছু ভিডিওগুলো কেবল নিবন্ধিত ব্যবহারকারীদের জন্যেই কমপক্ষে '১৮ বছর' বয়সের মানুষদের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে দেখার অনুমোদন রয়েছে।


ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওর মধ্যে থাকা  যাকিছু কপিরাইটযুক্ত বিষয়বস্তু তাকে দেখাশুনা কিংবা পরিচালনা করার জন্য যেন ইউটিউব সদাসর্বদা আছে। সেইগুলির রিপোর্ট অনুসারেই অ্যালগরিদম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও মিথ্যাচার প্রচার বিষয়ক কমিটি আছে। এমন ভিডিও গুলিকেই ইউটিউব স্থগিত করে। আবার শিশুদের লক্ষ্য করেই ভিডিও গুলোতে জনপ্রিয় চরিত্র গুলোতে জড়িত সহিংস এবং যৌন পরামর্শদায়ক সামগ্রী, নাবালিকাদের ভিডিও মন্তব্য বিভাগে যেন 'পেডোফিলিক ক্রিয়াকলাপ' আকর্ষণ ও বিজ্ঞাপনে নগদীকরণের জন্যেও 'ইউটিউব' উপযুক্ত সামগ্রী বা অর্থ প্রদানের একটি বৃহৎ ওঠানামার নীতিমালা রয়েছে। ইউটিউব বা নির্বাচিত নির্মাতা গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন উপার্জন অর্জন করে থাকে, এটি এমন একটি 'প্রোগ্রাম' যা সাইটের সামগ্রী ও শ্রোতা অনুযায়ী বিজ্ঞাপনকে লক্ষ্য করে। এই ইউটিউবের সিংহ ভাগ ভিডিও নিখরচায় দেখার জন্য উন্মুক্ত। তবে একটা কথা যে, এটি "সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক প্রিমিয়াম চ্যানেল"। চলচ্চিত্র ভাড়ার পাশাপাশিও ইউটিউব মিউজিক কিংবা ইউটিউব প্রিমিয়াম সহ সাবস্ক্রিপশন পরিসেবাগুলি যথা ক্রমে প্রিমিয়াম, বিজ্ঞাপন-মুক্ত সঙ্গীত স্ট্রিমিং ও উল্লেখ যোগ্য ব্যক্তিত্ব থেকেই 'কমিশন যুক্ত একচেটিয়া সামগ্রী' সহ সমস্ত সামগ্রীতে বিনা মূল্যে প্রবেশযোগ্য। 

যাক এ আলোচনায় যা বলতে চাই তা হলো, ইউনিসেফ বলছে,- বিশ্বজুড়ে রোজ ১ লাখ ৭৫ হাজার কোমলমতি শিশু নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর অর্থ হচ্ছে, প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একজন শিশু প্রথম বারের মতো ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে। আর সেই শিশুদের ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করাটাই তাদের মূখ্য কাজে দাঁড়ায়। ইউটিউবের ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর হাত থেকে এই শিশুদের রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারসহ সকল মানুষের। বলতে দ্বিধা নেই যদি এক্ষেত্রে সরকার, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসে। তবে তাদের ভবিষ্যৎ হবে খুব ভয়াবহ। এই প্রযুক্তি শিল্পগুলোর সাথে তারা ব্যবসায় জড়িত তাদেরও এক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে, তাদের পরিচ্ছন্নভাবেই ভিডিও নির্মাণ করতে হবে। তারা নোংরামিকে বর্জন করলে হয়তো শিশুরা সমাজের বৃহৎ বৃহৎ কাজে লাগার সম্ভাবনা আছে। ক্ষীণবুদ্ধি সম্পূর্ণ যে সকল মানুষগুলো আছে, পর্যবেক্ষণে দেখা যায়- তারাই‌ ইউটিউব চ্যানেলে সুবিধা মতো টাকা উপার্জনের জন্যই কাজ করছে। কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ বেশ কিছু মানুষ করতে পারলেও এই সমাজকে দেখাতে পারেনা। কারণ হলো 'ভালো মানুষের শত্রু বেশি' এবং তারা ইউটিউবের মে সাবস্ক্রাইব বিষয়টা আছে সেখানে সাবস্ক্রাইব করতে চাননা। কারো ভালো আজকে এ সমাজে কেউ চায় না।মূঢ়তার পরিচয় দিয়ে আর কাউকে অপমান করতে চাই না। দেশের জন্য, জাতির জন্য হলেও ইউটিউবে ''ভালো কিছু আপলোড করতে হবে। সর্বশেষে একটা কথা বলা যায়, সফলতার জন্য সময় ও শ্রমের যথাযত মুল্যায়নটা জরুরি, তা হতে হবে সৎ উদ্দেশ্যে।

অভিভাবকদের ১টা ইউটিউব চ্যানেলে লিংক দেওয়া হচ্ছে-https://www.youtube.com/watch?v=LqmvxKlqFEQ&feature=share&app=desktop&persist_app=1
সাবস্ক্রাইব করে তাদের ভালো ভালো কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারেন। 


✍️লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...