সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দীপ্ত জীবন উপাখ্যানের একটি বৃহৎ আলেখ্য : নজরুল ইসলাম তোফা || আমাদের শিল্পসাহিত্য

‘‘ভোর হলো দোর খোল খুকুমণি ওঠরে’’
এভাবেই যেন ডেকে তাঁর বাবা খুব ভোরে কোলে নিয়ে আদর, সোহাগ করতেন। সে ডাকে নাকি 'নজরুল ইসলাম তোফা' সাড়া দিয়ে বাবার সাথে আধো আধো অস্পষ্টকথায় যেন মগ্ন হয়ে থাকতেন। ছেলের ছোট্ট চোখে স্বপ্নও দেখতো তাঁর 'বাবা', তাকে ধরে রাখার তখন কোনো ক্যামেরা পান নি, ছোট্টবেলার সেই প্রতিটি মুহূর্ত ও প্রতিটি দিন, অতীতের বহু স্বপ্ন গুলো স্মৃতিরপটে তাকে ধরে রাখা বা না রাখাই যেন একেকটা ছবি বা চিত্র, মহামূল্যবান কাব্যতেই যেন রূপ নিত। তাঁর বুকের ভেতরের শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রটাও যেন সারাপৃথিবীর সর্বোচ্চ বড় গুদাম, তাই তো সেখানে সুরকে বেঁধে রাখা কোনো এক পণ্যের বস্তার মতোই যে।আরো তো আছে ছেলে বেলার সেই সু-মধুর সময় নিয়ে কথা। তাঁর বাবার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর অনেক ভক্ত ছিলেন, তাই তাঁর নামও হয়ে গেল নজরুল ইসলাম তোফা। কাজী নজরুলের-তোফা না কি তিনিই। সেই জাতীয় কবি-নজরুলের রেখে যাওয়া এমনতোফা কিংবা উপহারই যেন তিনি। তাঁর বাবার এ ধারণা নিয়েই সন্তানের ভবিষ্যৎ ও মঙ্গল কামনা করতেন। তাঁর চোখে মুখে শৈশব থেকেই দেখতে পেলেন যেন শিল্প সংস্কৃতির ছোঁয়া। তিনি দিনেদিনে বড় হচ্ছেন, বুঝতে বা জানতেও পারছেন বহুকিছু। তাঁর শুরু হয়ে যায় গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে ভাবুক মনে একাকিত্বে হাঁটাহাঁটি। অনেক সকালেই সূর্য-উদয়ের আগেঘুম থেকে উঠে যেন পথে-ঘাটে পড়ে থাকা ''ময়লা কাগজ'' পড়া শুরু করেন। পড়ে থাকা সেই ময়লা যুক্ত কাগজের ছড়া বা কবিতা পছন্দ হলেই যেন তা কাটিংকরে ঘরে এনে আবৃত্তির পাশাপাশি সেগুলোর ভাব ধারায় অনেক কবিতা ও ছড়া খেলা লেখি করতেন এবং নিজের সে লেখাগুলোতে মনের মাধুরী দিয়ে নানা ধরনের ইলাসট্রেশন, ক্যালিগ্রাফি করা আরম্ভ করতেন। তাছাড়াও বইয়ের মলাটে প্রচ্ছদ অংঙ্কন সহ ছড়া কিংবা কবিতা লিখে নিজস্ব প্রতিভার আলোয় মনের অজান্তে ছুটে চলতেন। এইগুলো দেখে তাঁর বাবা আনন্দ পেতেন এবং তাঁর নিজের গ্রাম'পাঁজর ভাঙ্গা' বাজার থেকে ক্রয় করে দিতেন কাজী নজরুল ইসলামের ছড়া ও কবিতার বই। সেই সময় বাবা মনে করেছিল, তরুণজীবনে এমন শিল্প জ্ঞানহীন ছেলের প্রতিভার বিকাশ অমন্দ নয়, এক দিন তাকে শিল্পের মাস্টার তৈরি করবো। আজ তা সত্য হয়েই গেছে, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা বিভাগ থেকেই এমএফএ করেছেন। এখন তিনি কর্মরত আছেন কর্মরত রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয় অর্থাৎ চারুকলার এক জন মাস্টার বা চিত্রশিল্পী।'শুনেছো- ঠিকই শুনেছো। তাঁর কেনো সুনাম থাকবে না, কেন বলো? কতকাল ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে এ কাজ করে আসছি’ শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নাটক সংগ্রহ' গ্রন্থের ‘স্বর্গে কিছুক্ষণ’ নাটকের সংলাপ এটি। এমন এ সংলাপ তাঁর অনেক ভালো লাগে। তাই মাঝেমধ্যেই এমন গ্রন্থটি বের করে তিনি পড়েন। কথা গুলো তিনি এক নাগাড়েই যেন বললেন। গ্রন্থ-প্রেমী, নাট্যকার এবং নাট্যাভিনেতা- নজরুল ইসলাম তোফা বলা যায় যে, তিনি সরল মনের মানুষ। তাঁর অভিনয়ে অবাধ বিচরণ ছিল গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে বহমান আত্রাই নদী'র তীর। নওগাঁ জেলার ১৩ নং কশব ইউনিয়নেই স্থায়ী ঠিকানা। তাঁর পিতার হলেন, মোঃ কমর উদ্দীন শাহানা। তাঁর দ্বিতীয় সন্তান- নজরুল ইসলাম তোফা। তিনি পড়া শোনা করেন, গ্রামের স্কুলেই ৫ম শ্রেণী আর চকউলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এস এস সি'র পরপরই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগে ভর্তি হন। তারপরে প্রচণ্ড স্বপ্নবাজ এমন গ্রন্থ-প্রেমী সাদা মনের মানুষটি নাট্যাঙ্গনের প্রতি মনোযোগী হয়েছেন। এ ভাবে দিনেদিনে নানা ধরনের নাটক নির্মাণ করার সহিত নানান নাটকের চরিত্রে অভিনয়ে মগ্ন থেকেছেন তিনি।নজরুল ইসলাম তোফার জন্ম ০৫ জুলাই ১৯৭৫ সালে। তিনি এখন থাকেন রাজশাহীর বর্নালীর মোড়েই, হেতেম খাঁতেই অবস্থিত-"গ্রীন গার্ডেন টেকনিক্যাল এন্ড বি.এম কলেজের পার্শ্বে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা বিভাগ থেকে পড়া শোনাশেষ করে রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশিই অভিনয় করেন। গ্রন্থপ্রেমী নাট্যসমগ্র সংগ্রহে নেশা পূর্ণভাবে শুরু করেন। নান্দনিক দৃষ্টিতে ঘরে অসংখ্য পুস্তকের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। বই গুলো শুধু সংস্কৃতিমনা মানুষদের ভালো লাগবে মনে করি। শুধু বই ক্রয় করে সেলফে রাখেননি, কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিদিনই যেন একটি হলেও নাট্য পান্ডু লিপি পড়েন। জানা গেল, তাঁর মনের ক্ষুধা অনেক বড়। সেই ক্ষুধা মেটানোর জন্য তিনি যখনই সুযোগ পান তখনই বই পড়েন। শৈশবে নজরুল ইসলাম তোফা স্কুল ওপূঁজা-পার্বণেও যাত্রা করেছেন। তাঁর নিজ গ্রামে গ্রামে ঘুরে অভিনয় ও কৌতুক করে মানুষ হাঁসাতেন। সে যাত্রা কিংবা কৌতুক পরিবেশনের পাণ্ডু লিপি যেন তিনি কপি করতেন নিজ হাতে লিখে। আর তাঁর সঙ্গে যারা কৌতুক বা অভিনয় করতেনতাঁদের 'প্রম্পট ও অভিনয়' শিখিয়ে দিতেন। এইভাবেই তাঁকে বই পড়ার নেশাটি পেয়ে বসে। পরে ভিডিও নাটকে অভিনয় শুরু তাঁর। এইভাবেই বৃহৎ পরিসরে প্রতিশ্রুতিশীল ও প্রতিভাবান এই নাট্যাভিনেতা আলোচিত ব্যক্তি হয়ে উঠেন। এলাকাজুড়ে সমালোচিত হতেও শুরু করেন, কারণটি হলো এই তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ির পাশে আত্রাই নদীর পাড় এবং সেখানেই স্কুলমাঠ আর সে মাঠে বিরাট কড়ই গাছ। গাছের গোড়ায় বসেই ঘন্টা পর ঘন্টা উচ্চস্বরে ও হেলে দুলে অভিনয় চর্চা আর মাঝে মাঝে বিরতি নিয়েই 'ক্রিয়েটিভ চিত্রকর্ম' চর্চা করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বলা যায় যে, সবই ছিল তাঁর পাগলের মতো। তারই ফলশ্রুতিতে প্রায় চার হাজার মতোই নাট্য সমগ্র গ্রন্থ তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। যে কারণেই কোনো প্রহসন নয়, অনুপ্রেরণার গল্পই বলা চলে।

কোনো দুর্লভ এবং ব্যতিক্রমধর্মী নাট্য সমগ্র পুস্তকসমূহ সংগ্রহের প্রয়োজন পড়ে, সবার আগেই তিনি মনে করে রাজশাহীর বুক পয়েন্টের মালিক চন্দন দার কথা। তিনি কলকাতা ও ঢাকা গিয়ে তাঁকে মনের খোরাক মেটানোর জন্য নাট্যসমগ্র এনে দিতেন। নিজস্ব বুদ্ধিদ্বীপ্ত চেতনায় বই পাগল নাট্যপ্রেমী মানুষ বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে নাটক করছেন এবং আগামীতেও দক্ষতার সহিত করে যাবেন। তাঁর নাট্য গুরু শিমুল সরকারের অবদান তিনি কখনোই অস্বীকার করতে পারেন না। কারণ- তাঁর গুরু 'অনুপ্রেরণা বা সুযোগ' না দিলে জীবনের অনেক অর্জন অপূর্ণ থেকেই যেত। গ্রন্থ-প্রেমী 'নজরুল ইসলাম তোফা' নিজের শৈল্পিক চিন্তায় বইয়ের মলাট করে রাখেন তুলি কলম দিয়ে পূর্নাঙ্গভাবেই প্রচ্ছদ অংকন করে। শুধু তাই নয়, সেই গ্রন্থ গুলোকে ক্রমিক নম্বরের আওতায় এনেই তা ডায়রিতে ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী লিপিবন্ধ করেছেন।আর তিনি এমন রুচিশীল ব্যক্তি হবেনা কেন? তিনি তো চিত্রশিল্পী, চারুকলা কলেজের শিক্ষক। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে গ্রন্থ খুঁজে পেতে চমৎকার লেখাটি মনোযোগ আকর্ষণ করবে। নাট্যগ্রন্থ প্রেমী নজরুল ইসলাম তোফা দেশি-বিদেশের লেখকদের লেখা নাটকের সমগ্র সংগ্রহ করেন। বর্তমানে তার সংগ্রহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, উৎপল দত্ত, বাদল সরকার, বুদ্ধদেব দাশ গুপ্ত, বুদ্ধদেব বসু,শরবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোজ মিত্র, অলোক রায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, শুম্ভ মিত্র, নভেন্দু সেন, চন্দন সেন, লোকনাথ ভট্টাচার্য, ধনঞ্জয় বৈরাগী, ব্রাত্যরাইসু, সেলিম আল দীন, আব্দুল্লাহ আল- মামুন, মান্নান হীরা, মামুনুর রশীদ,হুমায়ূন আহমেদ,মমতাজউদ্দীন আহমদ, রামেন্দ্র মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, আলী যাকের,আহম্মেদছফা, আবুল হোসেন, সিকান্দার আবু জাফর, প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক সহ দেশি-বিদেশি খ্যাতিমান সব লেখকদের বাংলা ভাষায় লেখা নাটকের অনেক রুচিশীল নাটকসমগ্র। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া শোনা চলাকালীন থেকেই বহু ধরণের বই সংগ্রহের নেশায় মগ্ন ছিলেন। তাঁর সংগ্রহ শালাতে আজও রয়েছে ১ম শ্রেণী থেকেই আরম্ভ করে শিক্ষা জীবনের কেনা যত গুলি বই- সবগুলোই।তবে তাঁর নাটকের সমগ্র সংগ্রহের নেশা তৈরি হয়েছিল- ১৯৯২ সালের দিকেই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগে ভর্তি হবার পরে। নাটকের গ্রন্থ সংগ্রহের বিষয়ে বলতে গিয়েই তিনি বলেছেন ২০১০ সালের দিকে আমি ধারাবাহিক 'চোরকাব্য' নাটকে কাজ করেছিলাম। তখন শ্যুটিং এর জন্যে ঢাকায় ছিলাম। সেইজন্য ‘টিভি নাটক সমগ্র’ গ্রন্থটি সংগ্রহকরার জন্যেই গিয়ে ছিলাম ঢাকার নীলক্ষেতে। আর সেখানে গিয়ে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। আমার পরনের শার্টটি ছিঁড়ে যায় দ্রুত চলমান রিকশায় বেঁধে। সেই ছিঁড়া টিশার্ট পরেই মার্কেটের ভিতরে ঘুরতে থাকি। নতুন শার্ট কেনার জন্যে না,পছন্দের সেই গ্রন্থটি কেনার জন্যে। মনটা খারাপ হলেও টি-শার্ট কেনার জন্য কোনও আগ্রহ ছিল না। কারণ হলো শার্টের চেয়ে গ্রন্থটি বেশি প্রয়োজন ছিল তখন। আবেগ জড়িত কন্ঠেই তিনি আরো বলেন, আর একটা বিষয় হলো সেসময় চাইলেই হয়তো টি-শার্ট কিনে নিতেই পারতাম, তবে শার্ট কিনলে গ্রন্থটি কেনার টাকা হতো না। 'ঢাকা থেকে বাড়ি' ফিরতে বই কেনা টাকা ব্যতিত পকেটে ছিলো মাত্র ৫ শত টাকা। যাক অনেক কথাই তাঁর স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠে, তাঁর বাবা হঠাৎ একদিন বলেই বসেছেন, এতো পুস্তক সংগ্রহ করছো কি হবে- এতো? উত্তরে তিনি বলেন, বই আমার অপূর্ণতাকে কাটিয়ে উঠার সহায়ক হচ্ছে, তা ছাড়া তুমি তো একদিন থাকবে না। তখন আমারছেলেকে বলবো, আমার বাবা আমাকে এমন এ লাইব্রেরি করে দিয়েছে। তুমিও তোমার সন্তানদেরকে বলবে। আসলেই নজরুল ইসলাম তোফার বাবা সেইসময় কান্না জড়িত কন্ঠে তাঁর দিকে চেয়ে বলেন, তোমার চিন্তা-চেতনার জায়গা আমি বুঝি রে বাপ। তারপরে তাঁর বাবা বই সংগ্রহ নিয়ে কোন কথা বলেননি। এটি ছিলো তোফার পুস্তক সংগ্রহের বড় শক্তি।গ্রন্থ সংগ্রহ করতে করতে বর্তমানে তার সংগ্রহে শুধুমাত্র নাটকের সমগ্র গ্রন্থ প্রায় ৪ হাজারের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের গ্রন্থও প্রয়োজনের তাগিদে কিনে থাকেন। তাঁর সংগৃহীত বইয়ের মধ্যে যেন আছে বাংলাদেশ,ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান লেখককের শুধু বাংলা ভাষায় লেখা নাট্য সমগ্র বা অনুবাদ করা নাট্যগ্রন্থ। সেই গ্রন্থগুলো দিয়েই নিজের বাড়িতে তৈরি করেছেন একটা সংগ্রহশালা। কেন তিনি এতো গুলো নাট্য সমগ্র সংগ্রহ করেছেন কিংবা এখনো তা সংগ্রহ করেই যাচ্ছেন এবং সেই গুলোকে সযত্নে সংরক্ষণ করেন জানতে চাইলেও নজরুল ইসলাম তোফা বলেছেন,- ‘'ছোট বেলা থেকেই নাটকে অভিনয় করি আর'নাটকের বই' পড়ার দরকার পড়ে, সে চেতনা থেকেই নাটকের বই কিনি এবং পড়তে ভালোবাসি। স্কুলে পড়া কালে মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়েই শুরু হয় নাটক বা অভিনয় করা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরেই নাট্যগুরু পরিচালক শিমুল সরকারের সঙ্গে থিয়েটারে যুক্ত হই। এই ভাবে নাটক করতে করতে এক সময় টিভি নাটকে কাজের সুযোগ আসে। সুতরাং- সেখানে গিয়ে কাজ করার সময়, নিজের ভিতরেই কিছু অপূর্ণতা আছে তা মনের মধ্যেই যেন জাগ্রত হওয়া শুরু করলো। অপূর্ণতাকে কাটিয়ে উঠতে, আর নাটক কিংবা অভিনয় সম্পর্কে আরো বেশি জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যেই যেন বিভিন্ন খ্যাতিমান নাট্যকার ও লেখকদের লেখা নাট্যগ্রন্থ সংগ্রহ করে পড়তে শুরু করি। এভাবেই আমার সংগ্রহে জমা হতে থাকে একের পর এক নাট্যগ্রন্থ।

পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষের জীবন ভাবনা থাকে আর থাকে স্বপ্ন। কিছু মানুষ আছে যাদের মধ্যে স্বপ্নের জগৎ অনেক বড়। নজরুল ইসলাম তোফাও যেন সে ভবিষ্যত স্বপ্ন পরিকল্পনায় স্বপ্ন বাজদের দলেই। তিনি পথ নাটক, মঞ্চ নাটকএবং টেলিভিশনে শতাধিক নাটকে অভিনয় করে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তারমধ্যেই যেন টিভিতে তাঁর প্রচারিত নাটক- প্রায় তিরিশটার মতো। বর্তমানে একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকারের সেই টেলিফিল্মের নাম- "গুপ্তধন এবং একজন বৃদ্ধ''। অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েকটি নাটকও লিখেছেন। আগামীতেই একটি স্ক্রিপ্ট পরিচালক শিমুল সরকার পছন্দ করেছেন। সুতরাং- নাট্যগ্রন্থ সংগ্রহ তাঁর দিনে দিনেই কাজে দিচ্ছে। এই নাট্যগ্রন্হ নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু করার পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চাইলেও তিনি বলেন, ‘এসব কাগজের গ্রন্থ তো বেশি দিন অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করা সম্ভব না। সেই জন্যেএসব দেশ বিদেশের 'মূল্যবান গ্রন্থ গুলো' অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করার জন্য ই-বুকে রুপান্তরিত করে একটি 'ই-লাইব্রেরি বা অনলাইন আর্কাইভ' তৈরির পরিকল্পনা আছে। যাতে সযত্নে নিজের সংগ্রহে রাখার পাশাপাশি গ্রন্থগুলো দ্বারা অন্যদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়তাও করতে পারে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...