সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মানবতার ধর্মে জ্ঞানের পরিধি কখনই স্রষ্টাকে অতিক্রম যোগ্য নয় | আমাদের শিল্পসাহিত্য



নজরুল ইসলাম তোফা:: সৃষ্টিকর্তার সুপরিকল্পিত এমন সুন্দর পৃথিবীতে মানুষের জীবন যাপনের দিক নির্দেশনা ও সাম্য-মৈত্রীর বানী নিয়েই যেন যুগেযুগে বিভিন্ন ধর্মের আগমন ঘটেছে। ইতিহাসের কথা মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতবর্ষ হচ্ছে ধর্মের আদি ভূমি। তা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধর্মের নামে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অসচেতন মানুষরা রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে। আবার, ধর্মই মানুষকে করেছে সুসংহত, মানবতাবাদী ও ভালোবাসার বন্ধনেই যেন সকল ধর্মীয়  মানুষরা সামাজিক পরিমণ্ডলে বসবাস করছে। আসলে সকল ধর্ম বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। যদি বলা হয় যে বিজ্ঞানটা যুক্তিবিজ্ঞানের উপরে নির্ভর করে, যে কারণে দুটি প্রায়ই সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। তাই বিজ্ঞান ও ধর্ম নিয়ে প্রায়ই তর্কের জায়গাতেই পৌঁছে যায়। বিজ্ঞান এবং ধর্ম এদুটি একই সঙ্গে সাবলীল গতিতে চলে তা বলা যেতেই পারে। কিন্তু কিছু গোঁড়া বিজ্ঞানীরা কিংবা বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ বিজ্ঞানের অপব্যবহার করছে। তারা বিজ্ঞান দ্বারা ভুল বা ভ্রান্ত যুক্তির মাধ্যমে ধর্মের মিথ্যা প্রমাণটাও যেন করতে চায়। এদের ভ্রান্ত যুক্তি না বুঝে অনেকেই খারাপ দিকেও চলে যাচ্ছে, অস্বীকার করছে সৃষ্টি কর্তাকে এবং ধর্মকে। মনে রাখতে হবে সৃষ্টিকর্তা সবার, ধর্ম যার যার। 'সৃষ্টিকর্তা' একজনই। কেউ তাকে আল্লাহ, কেও ভগবান কেউ ঈশ্বর বলে। যেকোন ধর্মে কট্টরভাবে ধর্ম পালনের কথা বলা হয় নি। বরং সুষ্ঠু ভাবেই যেন ধর্মকে পালনের পাশাপাশি অন্যান্য সকল ধর্মের মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার শিক্ষা দিয়ে থাকে। মানব জীবনে এ ধর্মটা হচ্ছে একটি জীবন 'ব্যবস্থা বা শৃঙ্খলা'। অথচ এই সুন্দর ধর্মকে কিছু মানুষ- ভুল প্রমাণিত করতে চায়। আসলেই কোন কিছুই আপনা-আপনি উদ্দেশ্যহীনভাবেই সৃষ্টি হয় না। মানুষের জ্ঞানের পরিধি কখনই অতিক্রম যোগ্য নয় তা মানতেই হবে।

এই পৃথিবীতে ধর্ম এবং অধর্ম বলে দুটি কথা আছে। ধর্ম মানুষকে সঠিক পথে আর অধর্ম মানুষকে বিপথেই যেন পরিচালিত করে। মানুষ সৎ কাজ কিংবা পুণ্য কাজ যত গোপনে বা প্রকাশ্যে করুক না কেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তা জনসাধারণের কাছে গোচরীভূত হয়। তদ্রূপ- পাপকর্ম বা মিথ্যা তথ্য অতি গোপনীয়ভাবে করা হলেও তা আপনা আপনি লোকসমাজে জানা জানি হয়ে যায়। কথায় বলে, সত্য কোন দিন গোপন থাকে না। ধর্ম মেনে চললে কিংবা  স্বার্থত্যাগ করে পরার্থে নিজেকেই ব্যাপৃত রাখলে সুফল হয়। কিন্তু স্বার্থপরেরা ধর্মটাকে যেন চাপা দিয়ে বিজ্ঞানের যুক্তি-তর্ক দাঁড় করিয়েই যেন স্বার্থান্বেষী হয়ে বিপথে পরিচালিত হয়। কিন্তু এই "বিজ্ঞান" চেতনার স্বার্থপর মানুষরা সত্যকে চাপা দিয়ে কোনো অসত্যকেই কখনো প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না, কপটচারীর মুখোশ একদিন খসে পড়বেই। সৃষ্টিকর্তার এ বিশ্বাস নিয়েই যেন সকল ধর্মাবলম্বীদের অবস্থান। কারণ যা খুব সত্য তাকে কোনো আবরণ দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। যা ন্যায় এবং সত্য তা অন্যায় এবং অসত্যের মতো কোনো কিছু দিয়ে দুরে ঠেলে দিতে চাইলেও দিবালোকের মতোই উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে। এক একটা সত্যকে চাপা দিতে হলে অনেক মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। তাই 'সত্যের জয়' অবশ্যম্ভাবী, তা মিথ্যার জাল ছিন্ন করেই প্রকাশ পায়।
🌙
জ্ঞানী মানুষ সহনশীলতা এবং ধৈর্য ধারণ উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে, কি অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিতরা তা পারে না। এখানে এমন কথা বলছি একারণেই যে, ধর্মের প্রতি কোনো আঘাত বা কটূক্তি সৃষ্টি হলেই তাদের 'রক্ত গরম' হয়ে উঠে। এটা একেবারেই ধর্মের আদর্শ নয়, সেটা যেই ধর্মাবলম্বীর মানুষ হোক না কেন। আসলে বলতে হয় যে অন্ধ বিশ্বাসেই যে কোনো ধর্মকে আঁচড়ে ধরা ঠিক নয়।ধর্মটা হচ্ছে জ্ঞান অন্বেষণের জন্যে বৃহৎ প্লাটফর্ম। মহান স্রষ্টা বিশ্ব জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রশংসিত জ্ঞানী, তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাই তিনার জ্ঞানভাণ্ডার থেকে জ্ঞানঅর্জনের চেষ্টা করতে হবে। যা কিছু ঠিক নয় তা কখনো করাটাও উচিত নয়। সঠিক পথ ও দয়া সৎকর্মপরায়ণদের জন্যে সৃষ্টি কর্তা রেখেছেন। যারা মহান স্রষ্টাকে জ্ঞান ও সঠিক চেতনা দিয়ে স্মরণ করে বা পবিত্রতা বৃদ্ধি করেই দানের মাধ্যমে এগিয়ে আসে বা পুনরুত্থান সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে তারাই তো আসল 'ধর্মপরায়ন'। এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা কিনা মানুষকে মহান সৃষ্টিকর্তার সঠিক পথ থেকে ভূল পথে চলার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা গুলি সংগ্রহ করে অন্ধ ভাবে সৃষ্টি কর্তাকে নিয়েই ঠাট্টা বিদ্রূপ করে, এদের জন্যেই রয়েছে 'অবমাননাকর শাস্তি'। তিনি তো তাদেরকে 'বিচার' করবেন। এমন কথা গুলো একটু সাজিয়েগুছিয়েই বলার চেষ্টা মাত্র। যখন তাদের সামনে মহান স্রষ্টার কথাগুলো অাবৃতি করা হয় ঠিক তখন ওরা দম্ভের সাথে এমন ভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়- যেন ওরা তা শুনতেই পায়নি অথবা যেন ওদের দু'কান বধির, শোনে না সৃষ্টিকর্তার সঠিক কথা। সুতরাং, ওদেরকে কষ্টদায়ক শাস্তির সংবাদ দাও। শান্তি দেওয়ার কথাটা বলা হয় নি। আমরা রক্ত গরম মানুষ, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী ভুল পথের মানুষ। একটু অসংগতি খবর পেলে তেলেবেগুনেই যেন গর্জে উঠি। সৃষ্টিকর্তার খুব সঠিক দিক নির্দেশনা মানতে চাই না। আসলে বলতেই হয় যে অতৃপ্তি মানব চরিত্রেরই একটি স্বভাবধর্ম। অধিকাংশ মানুষই স্বীয় অবস্থায় সুখী ও সন্তুষ্ট নয়। অসংগতি দেখলেই অশিক্ষিত কিংবা অল্প শিক্ষিত মানুষের রাগ। এমন রাগ দেখানো ঠিক নয়।
🌴
সৃষ্টিকর্তা বলেন, বরং জুলুমকারীগন সুস্পষ্ট ভূল পথেই পতিত হচ্ছে তারা জ্ঞান শূন্য হিসেবেই বিবেচ্য। সূ-মহান স্রষ্টা মানুষকে জ্ঞান দান করেছেন, তার যথাযথ প্রয়োগ ও পরিচর্যা করেই ধর্মকে চিনতে হবে। এ মর্মে বলা যায়  যে, তারা মহান স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং সহনশীল হতেই হবে। যে কৃতজ্ঞ হয়, সেতো কেবল নিজ কল্যানের জন্য কৃতজ্ঞ হয়- আর যে অকৃতজ্ঞ হয়, সেই মানুষেরাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট হতভাগ্য, অধম। জ্ঞানী লোকই তাদের মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকে 'সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত' বা এরাই সফলকাম। সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেই যেন প্রতিটি ধর্মে বা বিশেষ করে পবিত্র কোরআনে নিষেধ আছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে জোরজবরদস্তি নেই। ভ্রান্ত মত ও পথকেই যেন সঠিক মত ও পথ থেকে ছাঁটাই করে পরিশুদ্ধ ভাবেই তা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ‘'তোমাদের ধর্মটা তোমাদের জন্যে, আমাদের ধর্ম আমাদের জন্যে।’ একে অন্যের ধর্ম পালন করতে গিয়ে কেউ কোনোরূপে সীমা লঙ্ঘন কিংবা বাড়াবাড়ি করবে না। অন্য কেউ যদি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেও ফেলে তবে ভুলেও যেন কোনো মানুষ এই ধরনের হীন ও জঘন্য কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত না করে। এই বিষয়টিই নসিহত স্বরূপ মুমিনদের উদ্দেশে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব অন্য ধর্মাবলম্বীর মানুষ জন দেব-দেবীর পূজা-উপাসনা করে, তোমরা তাদের একটি গালিও দিও না। যাতে করে তারাই শিরক থেকে- আরো অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত যেন আল্লাহ তায়ালাকে গালি দিয়ে না বসে।’ সুতরাং, যেখানে অন্য ধর্মের দেবতাকেই গালি দেওয়া নিষিদ্ধ, সেই খানে মন্দির ভাঙচুর ও মানুষ হত্যা কীভাবে বৈধ হতে পারে? একজন প্রকৃত মানুষকে জ্ঞান অন্বেষণের জন্য চেষ্টা করা দরকার। কখনোই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে সামান্য আঘাত আসে- এমন ধরনের একটি কাজও করা যাবে না। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘'কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে বা তাদের ওপরে জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব।" আল্লাহ্তায়ালার নবী আরো বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিম কিংবা বিধর্মীদের হত্যাকারীরা জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবেনা। ৪০  বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকে ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে।’ যাক  অনেক কথাই বলা হচ্ছে আর একটা উদাহরণ দিই অন্য এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, ‘'যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে আল্লাহতায়ালা সেই মানুষদের জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের চিরাচরিত এক চমৎকার নিয়ম ছিল, যখন কোনো সেনা বাহিনী প্রেরণ করার প্রয়োজন হতো, তখন যুদ্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন নসিহতের পাশা পাশি দিকনির্দেশনার সাথে এই কথা অবশ্যই বলে দিতেন যে, ‘যুদ্ধকালীন সময়ে কিংবা যুদ্ধের পরেও কোনো মন্দির, গীর্জা, উপাসনালয় ভেঙে ফেলবে না।’

সুতরাং বলতে চাই, এ জগৎ সংসারে প্রজ্ঞাময় মানুষের অভাব রয়েছে। ধর্ম মিথ্যাচার নয়, ধর্ম গুজব সৃষ্টি কারী কোনো বিধান নয়, ধর্ম প্রতারিত করা বা গুম, খুন, ধর্ষণ করার মতোও সাংবিধানিক নিয়ম নয়। হে মানব জাতি! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর এবং ভয় কর এমন এক দিবসকে, সেই সময় যখন নাকি পিতা পুত্রের কোন কাজেই আসবে না এবং পুত্রও তার পিতার কোন উপকার করতে পারবে না। নিঃসন্দেহে মহান সৃষ্টিকর্তার  প্রতিজ্ঞা সত্য। সুতরাং 'পার্থিব জীবন' যেন তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয় এবং মহান স্রষ্টা সম্পর্কে প্রতারক ও মন্দ মানুষেরাই যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে। নিশ্চয় মহান স্রষ্টার কাছেই পুনরুত্থান দিবসের জ্ঞান আছে তা অর্জন করো- তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ তা জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। মহান স্রষ্টা সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে তিনি সম্যক জ্ঞাত। তিনিই জ্ঞানী, তাঁর বিধানের জ্ঞান অর্জনে ব্রত হও। বিজ্ঞানটাও তাঁরই সৃষ্টি, বিজ্ঞান ও ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে, এ দু'টিকে সাবলীল গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। মানুষের জ্ঞানের পরিধি কখনই সৃষ্টিকর্তা ব্যথিত অতিক্রম করা সম্ভব নয়। তাই শুধুই বিভেদ সৃষ্টি  নয়, জ্ঞান অর্জন করেই আমাদের ধর্ম কিংবা বিজ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন।

লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...