সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাটের মাধ্যমে সুখের প্রদীপটাকে নিভাতে চায় | আমাদের শিল্পসাহিত্য

নজরুল ইসলাম তোফা:: আমাদের এ সমাজকাঠামোর নানান দিক বদলায়, নানান বাঁক আর উথাল পাথালকে ছুঁয়েও যেতে হয়। এইজীবনটাকে খুব সুন্দর করতে হলে সৌন্দর্যের নিদর্শন হিসেবে লেখালেখি শিল্পটাকেই মানব জীবনের বিশিষ্ট স্থানে আসন না দেওয়াটা বোকামি। কে বা কারে সেই যোগ্য স্থানটা করে দিবে। যে যার- নিজের স্বার্থেই ব্যস্ত। হুমায়ূন আজাদের একটি উক্তি মনে পড়ে, ''যতো দিন মানুষ অ-সৎ থাকে, ততো দিন তার কোনোই শত্রু থাকে না, কিন্তু- যেই সে সৎ হয়ে উঠে, ঠিক তখনই তার শত্রুর অভাব থাকে না।'' অ-মানুষ কি সৎ মানুষকে দিনেদিনেই শত্রুর কাতারে ফেলছে। এতো দিন ধরে বহু গণমাধ্যমের বহু লোকদের নিকটে- "ভালো লাগা কিংবা ভালোবাসার কথা অনেক শুনেছি। বহু স্মৃতিকথা গুলো বারবারই যেন লেখালেখির মাঝে উৎসাহ যোগায়। সেই মানুষরাই যখন অতীত স্মৃতিকথা গুলোকে ভুলে বিভিন্ন নেতিবাচক কথা শুনায়, বহুত খারাপ লাগে। লেখালেখি করলেই কি, তাদের কাছ থেকে এই ধরনের নেতিবাচক কথা গুলো শুনতেই হয়ে। কোনো মানুষের নিকটে কিছু চাওয়ার থাকে না। তবুও আঘাত পেতে হবে। উইলিয়াম শেক্সপিয়র বলেন, ''আমি সবসময় নিজেকে সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করিনা, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময়ই যে দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়"। এই উক্তির সঙ্গে এজীবনের কিছুটা হলেও মিলে যায়। কিন্তু অমানুষরা কি করেই বুঝে, সুখী মানুষের সুখ যে কোনো উপায়ে নষ্ট করতে হবে। সুতরাং এমন পরিবর্তনশীল মানুষের চরিত্রগুলো আজকে খুবই ভাবায়, বড়ই অবাক করে। বেশকিছু অমানুষ কৌশলেই ফেসবুকের ইনবক্সে ইদানিং নেতিবাচক বহু শব্দ শুনায়, আমি তাদেরকে ডব্লিউ জি নেহাম এর উক্তির সঙ্গে এক মত পোষণ করেই বলি, 'আমি জ্ঞানী নই, কিন্তু ভাগ্যবান কাজেই আমি সর্বতোভাবে সুখী।
👀 
অনেকটা গাছে উঠলে চারপাশ যেইরকম রঙ্গিলা লাগে, ঠিক সেরকম লেখা লেখির জগৎটা ভীষণ রঙ্গিলা মনে হয়, অবশ্যই তা অনেক আগের কথা। কিন্তু- এখন আর রঙিন লাগে না, বর্তমানে মনের গহীনে এক বিষাক্ততার রক্তিম ছোবলে সাঁতার কাটতে হয়। এখন হতাশায় বেশ বড়সড় দীর্শশ্বাস ফেলি। দুনিয়া জুড়েই কি গণ মাধ্যমের মাঝেই বিষাক্ত বাতাস ছড়িয়ে বেড়ায়। এমন গণ মাধ্যম ও মিডিয়া জগৎটাকে কেউ কি কখনো উপলব্ধি করতে পারে না, ভালো লেখক না হলে কোনোকিছুই সৃষ্টি হতো না। এই কথাটিকে বোঝার মতো চেতনা কি কারো নেই। কতো দিন আর সহ্য করে যাবে ভালো মানুষ। মারিয়াক তাঁর এক উক্তিতে বলেছেন,- 'বলির পাঠারা সব সময়েই ধারন করেছে মানুষের- অত্যাচার, দুর্নীতি আর খুব কষ্ট করার হিংস্র প্রবণতাকে মুক্তি দেয়ার রহস্যময় ক্ষমতা।' ভালো মানুষের যেন নিজস্ব কর্মে বাধা, সৃজনশীলতাকে সঠিকভাবে ভালো মর্যাদা পূর্ণ জায়গা থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের একটা কথা বিশ্বাস করতে হবে গণমাধ্যম কিংবা মিডিয়া জগতে ভালো মানুষের অভাব। আজ তাঁরা যদি ভালো থেকেছে কালই সব কিছুকে ভুলে চোখ পাল্টিয়ে ফেলেছে। লেখকেরা আজকের দিনে সে সব মানুষদের কাছে অবহেলিত। এমন কথা গুলো লিখতে এবং টাইপ করতে চাইনি কিন্তু বাধ্য করেছে বেশ কিছু গণমাধ্যমের মানুষ। এই অঙ্গনের এমন হীনচরিত্রের মানুষ যে আছে, তারা এতোটা কুৎসিৎ মনের অধিকারী, আজকে গভীর কষ্টে যেন বারবার ভাবিয়ে তুলে। লেখকরাই তো তাদের অলংকার হওয়া উচিত, তাদের স্ব স্ব জায়গাতে প্রতিটা লেখকের মনের কথা সহ নান্দনিকতার সুন্দর রুপ ফুটে ওঠে। তাদের নিকট লেখকসমাজের জীবন কি পুরাটাই বৃথা হয়ে যাবে, গলা ফাটায়ে সমালোচনা করবে আবার সেই লেখকদের নামে বদনাম করবে। কেউ আবার সেই লেখকের নাম পরিচয় বাদ দিয়েই লেখকদের নান্দনিক লেখাটাকে তাঁরা নিজ পত্রিকা কিংবা অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ করবে। এটা খুবই দুঃখ জনক ব্যাপার, তখন কষ্ট রাখার জায়গা থেকে না।
🎓
আসলে এই লেখালেখি মানুষের সহজাত ধর্ম। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে এমন ভাবেই তৈরি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যে, তাদের প্রকাশের একটা নিজস্ব ভঙ্গি থাকে। কেউবা তাকে বক্তব্যের মধ্যে ভালো প্রকাশ করে, কেউ বা লেখা লেখির মাধ্যমেই প্রকাশ করে থাকে। আবার কেউ কেউ নাচ, সাজ গোজ, আর্ট কিংবা চিত্রাঙ্কন এবং অভিনয়ের মাধ্যমেই প্রকাশ ভঙ্গি দেখিয়ে থাকে। কেউ লিখে প্রকাশ করলে তাকে 'অনেক ছোট' করেই দেখা হবে কেন? যদি এলেখালেখিটা মানুষের প্রকাশের সবচেয়ে বড় ধর্ম হয়ে থাকে, তবুও সবাই লিখতে পারে না। এটি অবশ্য একটি অনন্য গুণ, যা চর্চা করতে হয়। আপাতত সৃষ্টিতে লেখা- লেখিকে বিশ্বাসের ভিত্তিভূমি বানিয়েই বুকের মধ্যে যেন আগলে রেখেছিলাম, তা আজ কেমন যেন আলগা হয়ে গেলো। কি করে পৌঁছে গেলাম- এই পচনশীল সমাজের অসৎ মানুষের কাছে, আজ শুধু মাত্রই তাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে নির্বোধ থাকতে হয়। সমস্ত আবেগকে যেন নিরাশ্রয় করা একজন শূন্যতাবোধের মানুষ আমি। তবে এখন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই না, সময় ও সুযোগ পেলে লিখনিতেই তাদের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। যা অসুন্দর, যা কদর্য, যা কুৎসিৎ, যা কদাকার সে সবকে কোনো-না-কোনো উপায়ে জীবন থেকে তাড়াতে হবে। খুব সত্য যেমন বাঞ্ছনীয় জীবনের অপরিহার্য এক অঙ্গ, শ্রেয় যেমন বাঞ্ছনীয় এ জীবনের অপরিহার্য একটি অঙ্গ, সুন্দরও তেমনি সেই বাঞ্ছনীয় জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। কিছু মানুষ, মানুষকেই চিনছে না। মানুষের মধ্যেই সত্য, সুন্দর বা মঙ্গল বোধের এতোই অভাব। ভালোটাও ভালো লাগে না। বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ আজকের এ দিনে হিংসায় লিপ্ত। নিন্দা করা ছাড়া যেন তাদের মগজ কাজ করেই না। সুতরাং উইলিয়াম শেক্সপিয়রের মতের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলা যায়,- ''তারাই সুখী যারা নিন্দা শুনে এবং নিজেদের সংশোধন করতে পারে''।
🎷
লেখকদের অসম্মানিত করবেন ইতিহাস বলে ঊনবিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম সাহিত্যিক রূপে খ্যাত 'বিষাদ সিন্ধু'র অমর লেখক 'মীর মশাররফ হোসেন'। তিনি সেই সময় যা কিছু লিখেছেন সেইটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। গদ্য, পদ্য, নাটক, উপন্যাসে মীর মশাররফ হোসেন প্রায় ৩৭টি গ্রন্থ রচনা করেছিল। তার গদ্যরীতিটা ছিল বিশুদ্ধ বাংলা, যা তদানীন্তনকালে কোনো বিখ্যাত হিন্দু কিংবা মুসলমান লেখকও লিখতে পারেননি। তাঁর প্রতি অনেক মানুষের জেলাসি ছিল। তিনি তো জমীদার দর্পণ নাটক লিখে তদানীন্তনকালে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের মর্যাদা লাভ করেছিল। কেউ তার মুক্ত চিন্তা চেতনা থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে পারে নি। সুতরাং কারও কারও ক্ষেত্রেই লেখা লেখি এমনিতে আসে। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রচুর পড়তে হয়। গুনাগুনেরা বলেছিলেন, এক লাইন লেখার আগে অন্তত ২০ লাইন পড়ে নাও। উল্লেখ যোগ্য আরও একটি কথা বিখ্যাত সাংবাদিক লেরি কিংকেই একবার একজন প্রশ্ন করেছিল, আপনার লেখা লেখি, প্রকাশনী কিংবা টিভি টক শোর প্রশ্ন এত শক্তিশালী কীভাবে হয়? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'লেখা বা বলার আগে পড়তে হবে। তাহলেই আপনার লেখনী শক্তিশালী হবে।' এই যে প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন কাজে অ-কাজে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে মিশি, তা লেখার জন্যেই খুব বড় সহায়ক উপাদান। তবে নিরন্তর সাধনাটা হচ্ছে একটি খুব ভালো লেখার পূর্বশর্ত। লেখক হয়ে ওঠার জন্যই প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। আর একাজে লেগে থাকতে হয় সদাসর্বদা। তবুও কিছু মানুষ পরিশ্রমী লেখকদের নাম পরিচয় বাদ দিয়েই তার নিজের 'নাম কিংবা পরিচয়' লাগিয়ে দিয়েই খুব সহজে লেখক খ্যাতি পেতে চান। একজন লেখকের সার্থকতাকে হরন করে বা তাঁর আদর্শের চিন্তা- চেতনায় আঘাত করে। আল ফারাবি বলেছেন, 'বৃক্ষের সার্থকতা যেমন ফল ধারণে সেরকম নৈতিক গুনাবলীর সার্থকতা শান্তি লাভে। চরম এবং পরম শান্তি লাভের পথটা হচ্ছে- ক্রমাগত সৎ জীবন যাপন করা'। সুতরাং বলতেই হচ্ছে, সৎ মানুষের বড় অভাব, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর' বলেছিলেন, -"এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধুই- সুখ চলে যায়"। তাই তো আজকের দিনে অমানুষদের জাঁতা কলে পিষ্ট হয়ে প্রকৃত এবং ভালো মানুষদের ভালোবাসা বা সুখ ম্লান হয়ে যাচ্ছে। মরমি কবি 'হাছন রাজা' নিজস্ব জমিদারি ছেড়ে সুখের আশাতেই অজস্র গান ও কবিতা রচনা করেছেন। লোকমুখেই আজও শুনা যায়- 'লোকে বলে বলে রে,.... ঘর বাড়ি ভালা নায় আমার,.... কী ঘর বানাইমু আমি,...... শূন্যের-ই মাঝার,..... ভালা করি ঘর বানাইয়া,... কয় দিন থাকমু আর,... আয়না দিয়া চাইয়া দেখি,...... পাকনা চুল আমার।' জমিদারি ছাড়ার পরেই বৈরাগী ভাব নিয়ে ছিল যখন ঠিক তখন হাছন রাজাকে অনেকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিল। কিন্তু তাঁর মরমি সেই অজস্র 'গান বা কবিতা' আজও মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। মানুষের মনে দুঃখ থাকলে লেখার মধ্যে তেজ তৈরি হয় না। সুতরাং দুঃখের কাহিনি থাকলে প্রকাশটা শক্তিশালী হয়। হাছন রাজা তারই প্রমাণ।
🌈
দুনিয়াতে কতো লোকের যে জন্ম হয়েছে, কতো শাসক, রাজা চলে গেছে! দুনিয়া কাঁপিয়েছে অনেক বিশ্বনেতা। কিন্তু তারা দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছেন। সৃষ্টিশীল কর্মদ্বারা আজো যেন অনেকে বেঁচে আছে মানুষের মন মন্দিরে। বেঁচে থাকবেন আরও সহস্র বছর ধরে। ভাবনা অনেকের মধ্যেই থাকে। তার প্রকাশ না ঘটলেই তা যেন হয়ে যায় অনর্থক। লেখা লেখির মাধ্যমেই মানুষের মনে বেঁচে থাকার চিরঞ্জীব বাসনা তৈরি হয়- কবি, লেখক বা সাহিত্যেদে মন। তাদের মনে কখনোই আঘাত করা ঠিক নয়। তাদের কাজ, চিন্তা ও মূল্যবোধ মানুষের জীবনকে গভীরভাবে স্পর্শ করে যায়, তারা শারীরিক ভাবেই গত হলেও মানুষের জীবন এবং চেতনার মাঝে থেকে যান। লেখকের থরেথরে সাজাতে হয় রাজনীতি, সমাজনীতি, প্রবন্ধ, সংস্কৃতি, ইতিহাস, শিল্পকলা, উপন্যাস ও কবিতা, গল্প, ধর্মীয় নানান দিক, জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিকসহ আইনের বিভিন্ন দিক। মানুষ মাত্রই ভুল করে, তবুও তো তাঁরা চেষ্টা করে জাতিকে কিছু দেওয়ার। খুব স্বাভাবিক কারণে তাদেরকে অনেক পড়তেও হতো। তবে পেশাগত দরকারের বাইরেও তাদের প্রচুর পড়াশোনা করতেই হয় কিংবা লিখতেও হয় বলেইতো তাঁরা লেখক হন। আবার সামাজিক নানা কর্ম কাণ্ডে নিয়োজিত বা নিবেদিত প্রাণ আছে বলেই তো তাঁরা একটু 'আলাদা মাপের মানুষ'। এ লেখকেরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তৃতা করে। তা ছাড়া তারা হয়ে উঠেন স্থানীয় লাইব্রেরির সাধক। সব সময়েই টিভি, দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের খবরা খবর জানার জন্যেই চেষ্টা করে। সেই লেখকদের অসম্মানিত করা মোটেও ঠিক হবেনা। ইদানিং বেশকিছু গজিয়ে ওঠা 'পত্রিকা বা অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং মিডিয়া নামধারী মানুষ'রা' অহরহ অনেক বাজে আচার আচরণ করে থাকে। যে লেখা গুলো পছন্দ হতো না, তা তিনারা প্রকাশ করেন না। একজন লেখকের- সব লেখা ভালো নাও হতে পারে, সেই লেখাটিতে ভালো তথ্য নাও থাকতে পারে। আবার বেশি তথ্যের কারণে লেখাটি বড় হয়ে যেতেই পারে। কিন্তু দেখা যায় কিছু মানুষ অহেতুক লেখকদের টেনশনে রাখে। পছন্দ হওয়া- 'আর্টিকেল বা ফিচারটি' নিজস্ব ডেস্ক কিংবা নিজস্ব প্রতিবেদক বলেও চালিয়ে দেন। লেখকেরা তাদের কাছে কি পায়? নাম বা পরিচয় লেখকের নাইবা থাকে কেনো কষ্ট করে লিখবে।আবার বলে পত্রিকা সম্পাদনার নিয়োম নাকি সে ভাবে প্রকাশ করা। যদি লেখকরা কিছু নিয়ম কানুন ও অর্থের কথা তুলে ধরে, তা হলেই শুরু হয়ে যাবে মান অভিমান। কি আর করা সে কিশোর কালে পড়া আর লেখার প্রতি যে ঝোঁক তৈরি হয়ে ছিল, তা আজও আছে সমানতাল। তাইতো হাজারও বাধা বিপত্তি এবং বহু কষ্ট সহ্য করেই লিখে যেতে হচ্ছে।

বহু বই-পুস্তক, ম্যাগাজিন, পত্রিকা সহ বহু নাটক সমগ্র  কিনে নিয়ে ঘর বোঝাই করে লেখকরা। পড়ালেখা এবং কর্ম জীবন ছাড়া ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ খুব কম থাকে। যখন একটি ভালো লাগা ও ভালোবাসার লেখা পত্রিকা কিংবা অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রকাশ হয় তখন যে কতো আনন্দ একজন লেখকের তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু সেই পরিমণ্ডলে বেশ কিছু জানা-অজানা  চেনা-অচেনা অজস্র ধোঁকাবাজ মানুষের সঙ্গেই সম্পর্ক যখন গড়ে উঠে লেখকের খুব দ্রুত গতিতে, দেখাও যায় তার স্থায়ীত্ব কালটাও যেন অনেক দ্রুতগতিতে শেষ হয়। এই সব অভিজ্ঞতা কখনো পুলকিত করে আবার কষ্টের মাঝেই ডুবিয়ে রাখে। নিজের কর্মক্ষেত্রে বারবার সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেও বেশকিছু ভালো মানুষদের কারণেই যেন ফিরে আসতে হয়েছে। তাদের একধরনের আলাদা তাগাদা থাকায় মনের ভেতর আবার লেখালেখির স্হান সৃষ্টি হয়েছে। নানা সময়ে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থাকে বলা যায় কাজের ব্যবস্থার চাপে, সেই আলোকেই বর্তমানের বাস্তবতা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা আর অলীক কল্পনার ছোটা ছুটিতেই মস্তিস্ক যেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। মাঝে মধ্যে নিজের কানে বাজত বঙ্কিম চন্দ্রের কপাল কুণ্ডলার সেই একটি প্রশ্ন,- ''পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?'' আবারও তাই সজাগ হয়েই লেখা লেখির অদ্ভুত নেশা মধ্যেই যেন তীব্র ভাবে উঁকি-ঝুঁকি দেওয়ার চেষ্টা করি। যখন সুযোগ পেয়েছি, ঠিক তখন নিজের হাতের ছোট্ট এক মোবাইল ফোনের নোটবুক বা এক টুকরো কাগজের পাতায় মনে জমে থাকা দাগ গুলো লেখার মধ্য দিয়ে কেটে দেওয়ার চেষ্টা করেছি, শুধুই কষ্টের স্মৃতিকথা গুলো লিখে, যখন যা মনে আসে বলা যায় হিজিবিজি লিখে। এমন দেশের 'ম্যাগাজিন', 'অনলাইন নিউজ পোর্টাল', 'দৈনিক পত্রিকা' ও 'গবেষণা জার্নালে' নানা সময়ের বিক্ষিপ্ত ভাবনাগুলো ছাপা হয়েছে। সমসাময়িক 'প্রবন্ধ বা ফিচার' নিয়ে লেখা প্রকাশ করার জন্যও অনুরোধ পেয়েছি। সেগুলো একটু ঝালাই করলে নতুন আরও অনেক ''প্রবন্ধ, সংকলন বা ফিচার ও প্রতিবেদন হিসেবেই একটি বই প্রকাশ সম্ভব। প্রতি দিনের ব্যস্ততায় ভাবি, আসলেই কি তা করে যেতে পারবো। ব্যক্তিগত লাইব্রেরির দিকে তাকালে শুধুই যেন আক্ষেপ হয়, অন্যের লেখা বই পড়ি কিন্তু নিজের লেখা বই আকারে প্রকাশ হলো না। তাই আগামী 'বই' মেলাতে দু'টি 'প্রবন্ধ বই প্রকাশ' করার ইচ্ছা পোষণ করি। হাজার দুঃখ কষ্টের মাঝেও বলতে চাই যে, 'এখন আমার জেগে ওঠার সময় এখন আমার সময় পথে নামার এখন সময় নতুন সূর্যের....এখন সময় পূর্বপানে চাওয়ার।' বয়স তো হয়েছে, হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ''লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়েই মনের কথা বলতে পারে না। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধুমাত্র যেন পাগলরাই। আর পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী'।

পরিশেষে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতেই চাই যে, 'আমার এ ধূপ না পোড়ালে গন্ধ কিছুই নাহি ঢালে,.../ আমার এ দীপ না জ্বালালে দেয় না কিছুই আলো'। লিখছি লিখেই যাব। ভালো বাসুক আর নাই বা বাসুক, নিন্দা করুক বা নাই বা করুক। জ্ঞানের অন্বেষণের তৈরি হওয়া মানুষ ও ভালোবাসার মানুষ দু'একজন হলেও আছে। বলতে হয়, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হাছন রাজা, মীর মশাররফ হোসেন" এর মতো রুটিনমাফিক নিজের দায়িত্ব পালন করতে না পারলেও চেষ্টার অবহেলা নেই। দৈনন্দিন খুবই ব্যস্ততার মধ্যে লেখালেখি করি। বাংলা সাহিত্যের সব শাখাগুলো অমশ্রিণ হলেও কবিতা, গান, গদ্য, নাটকসহ শিল্প চর্চার সবকিছুতেই যেন এ হাতের ছোঁয়া রয়েছে। পারদর্শিতার বড়াই নয়। কেবল মাত্রই চেষ্টা আর চেষ্টা। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির এমন কোনো শাখা নেই, যেখানে আমার যত সামান্য হলেও কিছু অবদান আছে। "কবিতা, ছোট গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, চিঠি সাহিত্য, নাটক, সংগীত, চিত্রকলা সহ সব শাখায় দাপটের সহিত নাহলেও চেষ্টা করে যাই।আবারও হুমায়ূন আহমেদের কথাতেই বলি,- "পৃথিবীতে আনন্দ কিংবা দুঃখ সব সময়ে থাকবে না সমান-সমান। বিজ্ঞানের ভাষায় আনন্দের সংরক্ষণশীলতা।.. একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে'।

লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...