সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

‘‘প্রকৃত বন্ধু চিনে যুক্তিযুক্ত সম্পর্ক দোষের নয়’’ - নজরুল ইসলাম তোফা |আমাদের শিল্পসাহিত্য

মানুষে মানুষে খুব পাস্পরিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে তৈরি হয় বন্ধুত্ব। বিনা কারণে যেমন বন্ধুত্বের জন্যেই বন্ধুত্ব হয়, আবার প্রয়োজনেও বন্ধুত্বের পরিধি খুব বাড়ে। সে প্রয়োজন শুধু আর্থিক ও বৈষয়িক হবে এমন কোনো কথা নেই। বন্ধুত্ব হওয়ার মাঝে যা যা প্রয়োজন তার মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে চিন্তা-চেতনা কিংবা রুচির মিল। সমমনা দুজন মানুষের একটি জগৎ থেকেই তো শুরু হয় বন্ধুত্ব। আসলেই বন্ধুত্ব ছাড়া ব্যক্তি, পরিবার কিংবা সমাজ কার্যত কোনোটাই তেমন চলতে পারে না। খুব ভালো বন্ধু পরিবার, সমাজ ও চারপাশের মনোসামাজিক উন্নয়নের জন্যে দরকার আছে। আবার ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্ব মানেই প্রেম, অসম বয়স হলে চোখ কপালে তোলে প্রেমের নামে অহেতুক বন্ধুত্ব করা উচিত না। ভালো রেস্তোরাঁয় খাওয়ালে বা ভালো উপহার দিলে যে ভালো বন্ধু হওয়া যায় না, সেটাও বুঝতে হবে। সুন্দর এবং উন্নত সমাজ বিনির্মাণে বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্কে গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই,- বন্ধুত্বের গুরুত্ব যেমন বেশি তেমনি বন্ধুত্ব বা সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব তারচেয়ে বেশি। সত্যিকারের বন্ধুত্ব মানে 'আজীবন বন্ধুত্ব'। এ ধারণাটিও সবসময় ঠিক নাও হতে পারে। ছোটবেলা যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে, শিক্ষা জীবনে যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে, কর্ম জীবনে প্রবেশ করার পর তার অধিকাংশই হারিয়ে যায়। আবার বাসস্থান পরিবর্তনের কারণেও পুরানো বন্ধুর জায়গাতে নতুন বন্ধুর সৃষ্টি হয়। কর্মজীবী মহিলাদের বেলায় এমন ব্যাপারটি আরও আস্পষ্ট। কর্ম জীবনে ও শিক্ষা জীবনে অনেকের সাথে তাদের বন্ধুত্ব হয়। তারা কর্ম এবং শিক্ষা জীবন ত্যাগ করেই পুরোপুরি গৃহিণী হয়ে গেলে বন্ধুত্বের আওতাটা পুরোপুরি পাল্টে যেতে পারে। তবে এ ধরনের খণ্ডকালীন বন্ধুত্বকেও কম গুরুত্ব পূর্ণ মনে করার কোন প্রয়োজন নেই। জীবনের নানা সময়ে নানা কালে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রয়োজনীয় ও আনন্দদায়ক বন্ধুত্ব হতেই পারে। তাকে যথাযত মুল্যায়নের দৃষ্টিতেই দেখা দরকার বলেই মনে করি। তাদের সংসার জীবনের স্বামী-স্ত্রীর যে সু সম্পর্ক তা বন্ধুত্বের কাতারে চলে আসে। তাঁদের মধ্যে মতামতের মিলেই বন্ধুত্ব হয়। এরফলেই বিবাহবিচ্ছেদও কমে যায়। আবার শিক্ষক-ছাত্রের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্কটা

থাকলে তা শেখার প্রক্রিয়াকেও সাবলীল করে। বন্ধুত্বটা মানেই তো একে অপরের মনের মিল থাকা। একজনের সঙ্গে অন্যজনের আগ্রহ ও চিন্তার মিল থাকবে। সুতরাং, সুখ-দুঃখ বা বিপদ-আপদে একেঅন্যের পাশেই থাকার চেষ্টাটাই বন্ধুত্ব। 



বন্ধুত্ব মানে হলো যে একে অন্যের সুখে-খুশিতে লাফিয়ে ওঠা একেঅন্যের দুঃখে পাশেও দাঁড়ানো। মন খুলে কথা বলা, হেসে গড়াগড়ি খাওয়া আর চূড়ান্ত ভাবে পাগলামি করার একমাত্র আধার বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব কোনো বয়স মেনে হয় না, ছোটবড় সবাই বন্ধু হতে পারে। বন্ধুত্বের মধ্যে যে জিনিসটা থাকা দরকার তা হলো, সু-গভীর ভালোবাসা। একজন বন্ধুর আত্মার সঙ্গে অন্য বন্ধুর আত্মার টানটাই বন্ধুত্ব। পরিসংখ্যানে জানা যায় যে, দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের মধ্যে 'আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতা' বেশি থাকে। তাই বলে, নতুন বন্ধু হতে হলে, তাকে ১০/১২ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে—বন্ধুত্বের দাবির জন্যে, এমনটাও ঠিক নয়। তরুনদের জীবনে খুবই খারাপ সময় বা হতাশার মুহূর্তে বড়দের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেই তাদের নতুন জীবনের সূচনা করে দিতে হবে। এসবই তো সঠিক বন্ধুত্বের মধ্যে পড়ে‌। ছোটরা বয়সে বড় যে কোনো মানুষদেকে নিজের গোপন কষ্টের কথা জানানোটা দোষের কিছু না, তা তো বন্ধুত্বের মধ্যেই গন্য হয়‌। বিজ্ঞজন এবং বড়রা ছোটদের জীবন পরিচালনার আস্থা তৈরি করে দেয়া খুবই গুরুত্ব পূর্ণ বন্ধুত্ব‌। আসলেই সঠিক বন্ধুত্বের তালিকায় 'নারী না পুরুষ' কিংবা 'ছোট নাকি বড়', সেইটা মুখ্য হয়ে ওঠে না।আবেগ, সমস্যা ও আনন্দ-অনুভূতি এবং উপলব্ধিগুলো বন্ধুর কাছে শেয়ার করা উচিত। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় থাকা দোষের নয়। স্হায়ী বন্ধুদের সঙ্গেই আড্ডা দেওয়া উত্তম। স্থায়ী বন্ধুদের বেশ কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য উপস্থিত থাকে। যেমন ধরা যাক: নিজস্ব যোগ্যতা, আস্থা, সততা,

সহানুভূতি, সহমর্মিতা, সমবেদনা,পারস্পরিক, অনুভূতি প্রকাশ, একে অপরের সঙ্গ, স্নেহ, বোঝাপড়া সহ প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটু অন্য ভাবেই বলার চেষ্টা করি, তা হলো,- "নির্বোধ এবং বোকা মানুষদের বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকো। কারণ তিনি উপকার করতে চাইলেও তার দ্বারা আপনার ক্ষতি হয়ে যাবে।'’ এমন কথাটা- হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন। আবারও হজরত ইমাম জাফর আস-সাদিক রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছিলেন ‘পাঁচ ব্যক্তির সাথেই বন্ধুত্ব করা সমীচীন নয়। তারা হলো মিথ্যাবাদী, নির্বোধ, ভীরু,পাপাচারী ও কৃপণ ব্যক্তি।’



জীবনে চলার পথে প্রত্যেকেরই জীবনে বন্ধু নামের এক বিশ্বাস কি়ংবা মজবুত  সুসম্পর্কের সৃষ্টি হয়। যে সম্পর্ক কখনো লাভ অথবা ক্ষতির ভাবনায় গড়ে ওঠে না। কিছু মুহূর্ত আমাদের সামনে হাজির হয়ে যায়। যেখানে বন্ধু'র গুরুত্ব অপরিসীম। মেকি বা প্রহসনের বন্ধু দরকার নেই, তারা ক্ষতিই করে। রবীন্দ্রনাথ বলেন, বন্ধুত্ব আটপৌরে। বন্ধুত্বের আট পৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গাতে ছেঁড়া থাকিলেও চলে,.. ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই,.. হাঁটুর নীচে না পৌঁছিলেও তা পরিতে বারণ নাই।... গায়ে দিয়া আরাম পাইলেই হইল। বন্ধুত্ব সম্পর্কটিই তো তাই। স্থান, কাল, বয়স ও লিঙ্গ নির্ধারণ করে তো বন্ধুত্ব হয় না। যার কাছে মনের সব লুকানো কথা, আস্থা ও বিশ্বাসের সাথে খুলে বলা যায়। সেই তো 'প্রকৃত বন্ধু'। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে টেনে তোলা হয় বিপৎসীমা থেকে খুবই নিরাপদ স্থানে। সেই তো "প্রকৃত বন্ধু"। আবার খুব ভুল সিদ্ধান্তের অন্ধকার হতে ফিরিয়ে আলোকিত পথের সন্ধান দেওয়া যায়। সেই তো 'প্রকৃত বন্ধু'। বিশ্বাসের সু-সম্পর্কের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে বন্ধুত্বের আসনে বসিয়ে তাকে 'বন্ধু  বলাটাই উচিত। আসলে, সঠিক বন্ধু মানুষের হতে পারে এক থেকে একাধিক। আত্মার সাথে আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হলো বন্ধু। এরিস্টটল বন্ধুত্ব সম্পর্কে বলেছেন যে, ‘'প্রতিটি নতুন জিনিসকেই উৎকৃষ্ট মনে হয়। কিন্তু বন্ধুত্ব যতই পুরোনো হয়, ততই উৎকৃষ্ট ও দৃঢ় হয়।'’ তা ছাড়াও এমিলি ডিকেনসন বলেছেন যে,- ‘আমার বন্ধুরা আমার সাম্রাজ্য।’ তবে আমার কাছেই আমার বন্ধু'রা হলো হাত আর চোখের মতো।...হাত যখন ব্যথা পায়,...চোখ দিয়ে তখন জল ঝরে পড়ে।. আর চোখ দিয়ে যখন জল ঝরে পড়ে,.....তখন সেই ব্যথায় ব্যথাতুর হাতটি চোখের জল মোছার জন্যে ব্যস্ত হয়ে যায়। সুতরাং ব্যথা আর চোখের জলের সম্পর্ক যেমন ঘনিষ্ঠ, আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধনও একই সুতায়। একে অপরের কাছে থেকে দূরে থাকলেও অন্তরে টান থাকে ষোল আনা।

বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ''সতর্কতা অবলম্বন'' করা জরুরি। কারো সম্পর্কে জানা শুনা না করে যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করা ঠিক হবে না। কেননা সাধরণ মানুষরাই বন্ধুর স্বভাবেরই অনুকরণ করে প্রতারনা করে থাকে। ইসলাম ধর্মের দৃষ্টি কোণ থেকে এক হাদিসের আলোকেই বলার চেষ্টা করি। "রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" বলেছিলেন,- মানুষ তার বন্ধু স্বভাবী হয়, তাই তাকে বা মানুষকে লক্ষ্য করা উচিত, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে। (তিরমিজি) সত্যবাদী, নামাজি, দ্বীনদার ও পরোপকারী ব্যক্তিই হতে পারে মানুষদের সর্বোত্তম বন্ধু। তবেই তৈরি হবে একটি সুন্দর সমাজ ও আদর্শের এক সমাজ। যিনি আপনাকে অনুভব এবং অনুকরণ করে, তিনিইতো হবে আপনার প্রকৃত বন্ধু। গোপন কথাগুলি অন্য কাউকে না জানিয়েই বিশ্বস্ততার পরিচয় দিবে। এমন অনেক প্রকৃত বন্ধু'রা থাকে তারা সারা জীবনে নীরবেই উপকার করে। বলা যায় যে, কথা দিয়ে, কাজ দিয়ে কিংবা টাকা দিয়ে। কখনোই বলে বেড়ায় না কতোটা উপকার করেছে। সেই বন্ধুটি খুব অল্প দিনের চেনা হলেও আপনার কাছের বা 'গুরুত্ব পূর্ণ বন্ধু ভাবা' উচিত। তার সাথেই ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাকে আপনাকেই 'চিনে ও বুঝে'  নিতে হবে। "রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" বন্ধুত্বের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন,- ‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে,- আতর বিক্রয়কারী বা কামারের হাপরের ন্যায়। সুতরাং এমন আতরওয়ালা আপনারকে নিরাশ করবে না। হয় আপনি তার নিকট থেকেই আতর কিনবেন বা আতরওয়ালার কাছেই সুঘ্রাণ পাবেন। আর কামারের হাপরটা, হয় আপনার 'বাড়ি জ্বালিয়ে' দেবেন, নচেৎ আপনার কাপড় পুড়িয়ে দেবেন আর তাও নাহলে তার কাছে দুর্গন্ধ পাবেন।’ (বুখারি)

প্রবাদেও আছে যে, সৎসঙ্গ স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গ সর্বনাশ। তাই পরস্পর সু-সম্পর্ক বজায় রাখলে আরশের ছায়ায় স্থান পাবে বলেও একটা ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্ব নবি। তিনি বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা, ‘আমায় মর্যাদার কারণে কিংবা আনুগত্যের কারণেই পরস্পরের বন্ধুত্ব স্থাপনকারীরা আজ কোথায়? আমি আল্লাহ তালা তাদেরকে আজ আমার ছায়া তলে আশ্রয় দেব। যে দিন আমার ছায়া ব্যতিত আর কোনো ছায়া থাকবেনা।’ এটি মুসলিম থেকে প্রকাশিত কথা। একারণে মানুষের উচিত ভালো বন্ধু নির্বাচন করা। একটি উল্লেখ যোগ্য উদাহরণ দেই, যেমন ধরুন: লেখালেখি, গান, আড্ডা, কৌতুক বা সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রেম থেকেই যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সঙ্গে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের একটা দারুণ বন্ধুত্ব হয়েছিল। যদিও সেই বন্ধুত্ব অনেক পরে নষ্ট হয়ে যায়। এটাই যেন বাস্তব উদাহরণ। সুতরাং,- সঠিক বন্ধু চিনেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। 'কুরআন সুন্নাহ কিংবা ইসলামের ইতিহাসে' বন্ধুতের মর্যাদা ও গুরুত্বের ব্যাপারে আছে সুস্পষ্ট দিক- নির্দেশনা। যা মানুষকে সফলতার পথ দেখায়।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে পারস্পরিক সুসম্পর্ক তৈরি করে যেন একে অপরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পরকালের সুন্দর জীবন লাভে বন্ধুত্ব কিংবা পাস্পরিক সুসম্পর্ক তৈরি করায় আত্মাতে শক্তিশালী বন্ধন সৃষ্টি করে। উচ্চ শিক্ষাতে সমাজ বিদ্যা, সামাজিক মনো বিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব ও দর্শনে বন্ধুত্বের শিক্ষা দেয়া হয় । ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ডেটাবেজ গবেষণায় দেখা গেছে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণেই 'মানুষ সুখী' হয়। আল্লাহ বলেছেন,‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা 'ভাল কথার শিক্ষা' দেয় ও মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামাজ প্রতিষ্ঠা করে জাকাতও দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবনটা পরিচালিত করে। এদেরই উপরেই আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। (সুরা তাওবা: আয়াত ৭১)। 'বন্ধু' শব্দের মাঝেই সব লুকায়িত আছে। এতে কোনো বয়সটা বাধা নয়। কিশোর বয়সের কোন ছেলে এবং মেয়ের সঙ্গে যদি তারচেয়ে বড় কারো সাথে বন্ধুত্ব হয়, তবে তাদের অবশ্যই জ্ঞানের পরিসীমা বাড়তে বিরাট ভূমিকা রাখে। বাবা- মায়েরাও সন্তানদের ভালো বন্ধু হতে পারে। ভালো মন্দ সব কিছু খোলামেলা আলোচনা করে সন্তানদেরকে গড়ে তুলবে হবে। তারাই আগামী দিনের আলোকিত সুন্দর বা সুখের মানুষ পিতা মাতার কাছ থেকেই যেন হয়। বন্ধুর সঙ্গে অকপটেই সব ভালোমন্দ কথার সহিত মন্দ যত খারাপ হোক র্নিদ্বিধায় বলতে পারাটার নামই প্রকৃত বন্ধু।

✍️লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৫২’র ভাষা শহীদদের জীবনী : রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিউর | আমাদের শিল্পসাহিত্য

শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর), থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। তিনি মানিকগঞ্জ বায়রা কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে আই কম পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। কলেজের পাঠ ত্যাগ করে ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনায় যোগ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাসকগোষ্ঠীর জারীকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে বিক্ষোভ মিছিল হয় সেখানে তিনি অংশগ্রহন করেন।পুলিশের বেদম লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাসের কারনে অন্যান্যদের সাথে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আশ্রয়গ্রহন করতে যান। এ সময়ে পুলিশের একটু গুলী সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে ও তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। শহীদ আব্দ...

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন এক নজরে

✍️অনেকটা বিসিএসের আদলে নেয়া হয় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি। 📌সারাদেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ  প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ আবশ্যক।  📌আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (NTRCA) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে। 📌দেশের কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা কলেজে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরীর কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। ✍️শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতাঃ ________________________ 📌শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। আর স্কুল পর্যায় -২ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। 📌তবে যারা সদ্য পাস করেছে সেসব প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। 📌নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনে...

কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল : জেনে নিন এক নজরে

কবিতা লেখা অনেকেরই শখ। তবে সেই কবিতাগুলো যদি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান, তাহলে প্রয়োজন পাণ্ডুলিপি। অনেকেই কবিতা লিখে রাখেন খাতায়, মোবাইলের নোটে বা ফেসবুকে পোস্ট আকারে। কিন্তু সেগুলো পাণ্ডুলিপিতে রূপ না দেওয়ায় কখনো বই হয়ে ওঠে না। আজ আমরা জানব—   👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? 👉 কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 কবিতার পাণ্ডুলিপির আদর্শ কাঠামো কোনটি? 👉 কবিতার পাণ্ডুলিপি আকর্ষণীয় করার জন্য কার্যকর কিছু কৌশল! ক) কবিতার পাণ্ডুলিপি কী? কবিতার পাণ্ডুলিপি হলো বইয়ের জন্য প্রস্তুত একটি গোছানো খসড়া। এখানে কবিতাগুলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী সাজানো থাকে, যেন প্রকাশক তা সহজেই বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন। কবিতার পাণ্ডুলিপিতে থাকে: ভূমিকা বা কবির কথা, উৎসর্গ বা কৃতজ্ঞতা, কবিতাগুলোর ধারাবাহিক ও বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, প্রতিটি কবিতার নির্ভুল নাম ও বানান, শেষে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী। খ) কীভাবে কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? নিচে ধাপে ধাপে পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো: 👉 ধাপ ১: কবিতাগুলো সংগ্রহ ও নির্বাচন: আপনার লেখা সব কবিতা একত্রিত করুন। টাইপ করে একটি ডকুমেন্টে নিয়ে আসুন। মানসম্প...

রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সেরা কৌশল - জেনে নিন এক নজরে

রহস্য উপন্যাস মানেই পাঠককে একটা অজানা কিছুর পেছনে টেনে নেওয়া। এখানে প্রতিটি চরিত্র সন্দেহভাজন, প্রতিটি ক্লু বিভ্রান্তিকর, আর সমাপ্তি এমন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর সেই কাজটি শুরু হয় একটি শক্তিশালী পাণ্ডুলিপি দিয়ে। আজ আমরা জানব— 👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী 👉 কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?  👉 আদর্শ রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির কাঠামো কেমন হওয়া উচিত?  👉 রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিকে আরও আকর্ষণীয় করার কৌশল! ক) রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কী? রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ, গুছানো ও প্রকাশযোগ্য খসড়া। এখানে একটি রহস্য ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়। এতে কাহিনির সূচনা, ক্লু, সন্দেহভাজন চরিত্র, বিভ্রান্তি, তদন্ত এবং সমাধান—সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে গাঁথা থাকে। পাঠক যেন প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে একধরনের মানসিক উত্তেজনায় থাকে। খ) কীভাবে একটি মানসম্পন্ন রহস্য উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? ✅  শুরুতেই রহস্য তৈরি করুন: গল্প শুরুতেই এমন একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিন যা পাঠকের কৌতূহল জাগায়। যেমন: সকালবেলা চায়ের কাপের পাশে একটা চিঠি পড়ে ছিল। তাতে লেখা: ‘আমি...

শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ এর জন্য বই আহ্বান

৩য় বারের মতো শব্দকথা প্রকাশন-এর উদ্যােগে আটটি বিভাগে "শব্দকথা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫" প্রদানের জন্য বই আহ্বান করা হয়েছে।  ✅ বিভাগগুলো হলো: ১। কবিতা ২। উপন্যাস ৩। প্রবন্ধ ও গবেষণা ৪। শিশু-কিশোর সাহিত্য  ৫। সায়েন্স ফিকশন  ৬। ছোটোগল্প  ৭। অনুবাদ সাহিত্য  ৮। আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী  ✔️দিনব্যাপী একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটটি বিভাগে নির্বাচিত লেখকগণকে সম্মাননা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। ✔️২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। ✔️প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ✔বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ✔️বই জমা দেওয়ার পর যে কোনো পর্যায়ে অথবা পুরস্কার প্রদানের পর যদি অবগত হওয়া যায় যে, কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের অনুকরণ অথবা আংশিক প্রতিরূপে রচিত, সেক্ষেত্রে বইটি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার এবং পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। ✔️পুরস্কারের যে কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচ...

প্রজন্মের জন্য 'চিরকুট' - শাহীদুল আলম | আমাদের শিল্পসাহিত্য

প্রিয়,  দুনিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী। যাঁরা এই চিরকুট পড়া শুরু করতে যাচ্ছো, যাদের এই লেখা পড়তে কোনো কষ্ট হয়না এমনকি আগামী প্রজন্মের জ্ঞানপিপাসু, অনুসন্ধানী নব তরুণ, যারা মেধা বিকশিত হওয়ার পথে ও ভালোমন্দ বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। যারা সত্যকে জানার জন্য উদগ্রীব থাকে প্রতিনিয়ত, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালামসহ একরাশ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও চিরকুট পড়ার ভুবনে সু-স্বাগতম।  তোমাদের জন্য আমার কিছু কথা ভবিষ্যতের জন্য বলে যেতে চাই, কিছু কথা রেখে যেতে চাই, যে কথাগুলো হবে  তোমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য, জীবন চলার পথে শক্তি ও মুক্তি আবার হয়তো  মহাচিন্তার কারণ। তবে জেনে রেখো এটাই সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে লেখা অপ্রিয় সত্য বাণীই হবে তোমাদের আগামীর পথচলার, ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক। যদি এই চিরকুটের কোনো চরণ তোমাদের জীবন চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার কারণ কিংবা কাজে এসেছে মনেহয় তাহলেই হবে আমার লিখে যাওয়া চিরকুটের সার্থকতা।  শুরুতে বলতে চাই "চিরকুটটা" সম্পূর্ণ পড়ার মনমানসিকতা ও ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি লাইন পড়তে হবে দ্রুত পড়তে যেয়ে হয়তো কোনো লাইন বাদ দিয়ে চলে যাবে ফলে মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ব...

পাণ্ডুলিপি কী এবং কীভাবে প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন?

প্রথম বই প্রকাশ করার স্বপ্ন সব লেখকের মনেই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা। ব্যাপারটি অনেকের কাছে কঠিন ও জটিল মনে হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজভাবে বুঝতে পারবেন পাণ্ডুলিপি কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে গুছিয়ে তৈরি করবেন আপনার প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি।   👉 পাণ্ডুলিপি কী? বই প্রকাশ করার আগে যেটি তৈরি করা হয়, সেটিই পাণ্ডুলিপি। এটি আপনার বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া। এটি হতে পারে হাতে লেখা অথবা টাইপ করা। তবে ডিজিটাল এই যুগে টাইপ করা পাণ্ডুলিপি বেশি গ্রহণযোগ্য। পাণ্ডুলিপিতে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত লেখা থাকে, অধ্যায়/পর্ব/অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো থাকে, লেখকের ধারণা অনুযায়ী নাম, ভূমিকা, উৎসর্গ, সূচিপত্র ইত্যাদি থাকে। পাণ্ডুলিপিই প্রকাশকের হাতে যায় বই প্রকাশের জন্য। এটি প্রকাশযোগ্য কিনা, তা বিচার হয় এই পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতেই।  👉 কীভাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি করবেন? প্রথমবারের মতো পাণ্ডুলিপি বানাতে গিয়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাজটি একদমই কঠিন নয়, যদি আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করেন: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (আপনি কী লিখতে চান): প্র...

বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখতে চোখ রাখুন এসএটিভি'র পর্দায়

কাজী সাইফ আহমেদের নির্মাণে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ কাহিনী চিত্র ❝প্রেম বলে কিছু নেই❞ দেখবেন ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮:টায়। রচনা: পাভেল ইসলাম   অভিনয়ে:  গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মাফতোহা জান্নাত জীম, পাভেল ইসলাম, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় : সোহাগ খান এসকে                 ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: জাহিদ হাসান আনন               নির্বাহী প্রযোজক : ফাল্গুনী মুখার্জী  প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান :  অরোরা অ্যাড মিডিয়া                      একটি শঙ্খচিল এন্টারটেইনমেন্ট নির্মাণ   ।           

আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহ্বান

আর্টলিট পাবলিকেশন আয়োজন করছে 'আর্টলিট পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪'। সারাদেশের যেকোনো লেখক যেকোনো বিষয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পাণ্ডুলিপির সেরা ১০ লেখক পাবেন অগ্রিম রয়্যালিটি, বইয়ের সৌজন্য কপি-সহ নানান সুবিধা। এছাড়া নির্বাচিত ৩০ পাণ্ডুলিপির লেখকরা পাচ্ছেন বই প্রকাশে বিশেষ সুযোগ! 👉 প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:> > ১. পাণ্ডুলিপিটি হতে হবে মৌলিক ও অপ্রকাশিত। ২. লেখক চাইলে যেকোনো ক্যাটাগরির যেকোনো বিভাগে যেকোনো সংখ্যক পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারবেন। ৩. সকল বিভাগের পাণ্ডুলিপির শব্দসংখ্যা উন্মুক্ত।  ৪. গুছিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পাঠাতে হবে। যেমন: বইয়ের নাম, লেখক নাম, ফ্ল্যাপ, উৎসর্গ, সূচিপত্র, পৃষ্ঠাসংখ্যা, লেখার শিরোনাম, কনটেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থাকতে হবে। ৫. পাণ্ডুলিপির সাথে লেখকের ছবি, সংক্ষিপ্ত পরিচয়, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস পাঠাতে হবে। ৬. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর সময় ইমেইলের সাব্জেক্টের ঘরে ক্যাটাগরি ও বিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। ৭. পাণ্ডুলিপি SutonnyMJ অথবা ইউনিকোড ফন্টে কম্পোজ করে পাঠাতে হবে। ৮. পাণ্ডুলিপি পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা: ar...

আসছে বিজয় দিবসে দেশাত্মবোধক নাটক ‘পতাকা'

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত এবং নাগরিক ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার আকুতি কতটুকু এমন প্রশ্নকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটক 'পতাকা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও কাজী সাইফ আহমেদের পরিচালনায় বিজয় দিবসের বিশেষ এই নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রতিভবান অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও মডেল অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি উত্তরা, ৩০০ ফিট, শাহবাগ সহ ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নাটক প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন,‘শরাফত নামের যে চরিত্রটি আমি করেছি সে নদীভাঙা এক হতভাগ্য। কাজের সন্ধানে সে ঢাকায় এসে মৌসুমী পণ্যের হকারে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সে পতাকা বিক্রি শুরু করে এবং ঘটনা ক্রমে লক্ষ্য করে বিপন্ন-পরাস্ত দেশপ্রেমকে। একই প্রসঙ্গে সাফা কবির বলেন,‘প্রথমেই বলবো, এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের নাটক নয়। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়েছি এবং নিজেকে ভাঙতে পারলাম এই প্রথম। নাটকটি শৈল্পিক অভিমুখতায় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে পরিচালক সাইফ ভাইয়ের ইউনিট ছিল অসাধারন। সবাই ছিল খুব বেশি কো-অপারেটিভ। তরুণ নির্দেশক কাজী স...